শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

চৌহালীতে যমুনার ভাঙ্গনে হুমকির মুখে ২টি স্কুল ৩টি মসজিদ হাটবাজার ও বসতভিটা

চৌহালী (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার দক্ষিণাঞ্চলের শুরু হয়েছে যমুনার তীব্র ভাঙন। দেড়সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ২৩টি ঘর-বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া হুমকির মুখে পড়েছে ২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩টি মসজিদ ও হাট-বাজার সহ প্রায় অর্ধশতাধিক বসতভিটা। স্থানীয়রা দ্রুত ভাঙন রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন। জানা যায়, চৌহালী উপজেলার বাঘুটিয়া ইউনিয়নের ঘুশুরিয়া, হিজুলিয়া ও খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের কাঠালিয়া চর সহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রায় ৯ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে শুষ্ক মৌসুমে নতুন করে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। গত দেড় সপ্তাহের ব্যবধানে বহু ফসলি জমি, ঘুশুরিয়া হাট-বাজার ও নৌকা ঘাট সহ প্রায় ২৩টি ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। এছাড়া ভাঙনে হুমকির মুখে পড়েছে ঘুশুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিজুলিয়া জামে মসজিদ, ঘুশুরিয়া বাজার, জামে মসজিদ ও মোল্লা পাড়া জামে মসজিদ। এসব এলাকার ক্ষতিগ্রস্থরা আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে। এলাকাবাসির অভিযোগ, ভাঙনরোধে এখনো নেয়া হয়নি কার্যকর কোন পদক্ষেপ। স্থানীয় আশরাফ মেম্বার ও ঘুশুরিয়া বাজারের সভাপতি সেলিম মোল্লা জানান, এখনই ভাঙন রোধে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেয়া না হলে চিনাবাদাম, মাসকলাই, সরিষাসহ কয়েক হাজার হেক্টর ফসলি জমি নদী গর্ভে বিলীন হবে। চরে আশ্রয় এমন অনেক পরিবার রয়েছে, যারা এক সময় বহু জমির মালিক ছিল। অথচ এখন তারা অন্যের জমিতে মজুরি খেটে সংসার চালাচ্ছে। টাকার অভাবে সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে পারছে না। বাঘুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল কাহ্হার সিদ্দিকী জানান, নদী শুকিয়ে ছোট-বড় চরের সৃষ্টি হওয়ায় অসময়ে নদী ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়া হলে বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চল বিলীন হয়ে যাবে। এবিষয়ে চৌহালীর ইউএনও দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, ভাঙন এলাকা রক্ষায় দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া ও অসময়ে নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলকে জানিয়ে দেয়া হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ