ঢাকা, শুক্রবার 19 April 2024, ০৬ বৈশাখ ১৪৩০, ৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

ধর্ষণ মামলার সাক্ষীকে ডেকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ!

সংগ্রাম অনলাইন ডেস্ক:ধর্ষণ মামলার এক সাক্ষীকে ডেকে সন্ত্রাসীদের হাতে তুলে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। এ সময় সন্ত্রাসীরা ওই যুবককে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে। গত শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পাবনার সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের গাছ পাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার ওই যুবকের নাম আবদুল আলীম (৩৬)। তাঁর বাড়ি জেলা সদরের নূরপুর পাঁচপুকুর মহল্লায়।

আহত আবদুল আলীম জানান, মালিগাছা ইউনিয়নের একটি ধর্ষণ মামলার তদন্তের বিষয়ে কথা বলতে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে ডেকে নেন সদর থানার ওসি (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম। এ সময় সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করছিল একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী। কিছুক্ষণ কথোপকথনের পর একটি ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মালিগাছা ইউপি চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরিফের ছোট ভাই আরিফুলের সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। পুলিশের সামনেই সন্ত্রাসীরা লোহার রড, হকিস্টিক দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে শুরু করে। একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে মোটরসাইকেলে করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

এদিকে আবদুল আলীমকে মারধরের দৃশ্য সিসিটিভি ফুটেজে রেকর্ড হয়ে যায়। ভিডিও ফুটেজে মারধরের সময় পুলিশের ওসি তদন্ত খাইরুল ইসলাম ও একজন সিপাহীকে বের হয়ে চলে যেতে দেখা যায়। এ ঘটনায় ওই পুলিশ কর্মকর্তা ও সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীর স্বজনরা। 

অভিযোগের বিষয়ে পাবনা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খাইরুল ইসলাম বলেন, আমি পাবনায় নতুন এসেছি। সাক্ষীদের ডেকে সাক্ষ্য নেওয়ার সময় উত্তেজনার আঁচ পাই। নিরস্ত্র ও ফোর্স সঙ্গে না থাকায় ঘটনাস্থল থেকে বের হয়ে এসে আশপাশে থাকা ফোর্সদের ঘটনাস্থলে আসতে বলি। এর মধ্যেই মারপিটের ঘটনাটি ঘটে। তবে ঘটনাটি আমার সামনে হয়নি।

এদিকে হামলার ঘটনাকে আকস্মিক ও অনাকাঙ্খিত দাবী করে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস বলেন, হামলার ঘটনায় তদন্তকারী কর্মকর্তার গাফিলতি আছে কিনা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) শামিমা আকতারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।।

উল্লেখ্য, এর আগেও পাবনায় থানা পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষিতা গৃহবধূকে ধর্ষকের সঙ্গে থানায় বিয়ে দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলে সন্ত্রাসীদের সহযোগিতা, মেয়ে হত্যার বিচারপ্রার্থী বাবার মামলা গ্রহণ না করে উল্টো ডাকাতির মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছিল।

ডিএস/এএইচ 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ