বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সলঙ্গায় বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকরা

সলঙ্গা : বাঁধা কপির ক্ষেত

সলঙ্গা সংবাদদাতা : উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি। তাই সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার কৃষকরা শীতকালীন সবজি বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। সলঙ্গা ৩ নং ধুবিল,  রামকৃষ্ণপুর,  ঘুরকা, মাধাইনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে কৃষক বাঁধাকপি চাষে ঝুঁকে পড়েছে। এই শীতকালীন সবজি চাষে উৎপাদন খরচ কম, লাভ বেশি তাই এই ফসলের প্রতি ওই থানার কৃষকেরা বেশি নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। থানার আমশড়া, ঝুরঝুরি, মাহমুদপুর, জালসুকা,ঝাউল, ধুবিল,মালতিনগর, শ্যামিরঘণসহ বিভিন্ন এলাকায় বাঁধাকপি চাষ হয়েছে সবচেয়ে বেশি। ওই এলাকার কৃষকেরা জানান, বাজারে বাধাকপির চাহিদা রয়েছে। ব্যাপক। 

প্রতি কেজি বাঁধাকপি ২৫ - ৩০ টাকা  কেজিতে বিক্রি হচ্ছে হাটে বাজারে। নতুন জাতের বাঁধাকপির ফলন ও দাম বেশি হওয়ায় অন্য চাষিরা ধান চাষের চেয়ে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন কারণ ধান চাষে খরচ বেশি সেই তুলনাই বাজারে ধানের দাম কম। সেই কারণে প্রতি বছর লোকসান গুনতে হয় অনেক টাকা।  সলঙ্গার ঝাঐল গ্রামের আমির আলী এবার তিনি ৩ বিঘা জমিতে লাউ, ৪ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি,গাজর, ক্ষীরাসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজির চাষ করেছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার লাউ ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন শীতকালীন সবজি বিক্রি করেছেন। ঝুরঝুরি গ্রামের আব্দুল মান্নান জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে ডাটা পিঁয়েজ তুলে তাতে লাভ করেছেন সব খরচ বাদে প্রায় ৯৫ হাজার টাকা। 

 সেই ঐ ১ বিঘা জমিতে আবার  বাঁধাকপি চাষ করেছেন। এই ফসল উৎপাদন করতে খরচ কম লাভ বেশি। তাই শীতকালীন এই সবজি চাষে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার কৃষকেরা দিনদিন আগ্রহ দেখাচ্ছে। উপজেলা সহকারী কৃষিকর্মকর্তা আব্দুল হাই জানান, বাঁধাকপি প্রথমে চারা তৈরি করতে হয়। 

এরপর তা জমিতে রোপণ করা হয়। জমিতে রোপণ করার ৬০-৭০ দিনের মধ্যে তা খাওয়ার উপযোগী হয়। রায়গঞ্জ উপজেলার কৃষকেরা দুই জাতের বাঁধাকপির চাষ করে থাকে। এর একটি হচ্ছে রুবি জাতের অন্যটি পিং কেবেজ জাতের বাঁধাকপি। আগামীতে ওই উপজেলার কৃষকেরা আরও বেশি পরিমাণ জমিতে এই ফসল চাষ করবেন বলে তিনি আশা করেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ