শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

পাকিস্তানে বাংলাদেশের খেলা দেখে হতাশ বিসিবি সভাপতি পাপন

স্পোর্টস রিপোর্টার: পাকিস্তান সফরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলা দেখে হতাশ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাজে পারফরম্যান্স ছাড়া আর কিছুই হয়নি টাইগারদের। প্রথম দুই ম্যাচে বিনা লড়াইয়ে সিরিজ হারের পর তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত হয়। এই সিরিজে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানই ভালো করতে পারেনি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট হলেও অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে খেলেছেন তামিম, মাহমুদউল্লাহরা। দেশের ফেরার পর এখন পর্যন্ত কোনো ক্রিকেটার সফর নিয়ে আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেননি। তবে সিরিজের হতাশার কথা বললেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। গতকাল বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন পাপন। মাঠে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশের খেলা দেখে দেখা বিসিবি সভাপতি পাপন বলেন, ‘অনেকদিন পর বাংলাদেশের  খলা দেখে মনে হয়েছে এটা তাদের খেলা না। আমার কাছে মনে হয়নি বাংলাদেশ  খেলছিল, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে। এই ফরম্যাটে সাধারণত যেভাবে খেলি এটা সম্পূর্ণ উল্টো মনে হয়েছে আমার, তাদের মাঝে সেরকম কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি। বিগত বছরগুলোতে এমনটি আগে কখনো দেখেনি। ৯০’র ঘরে গিয়ে বিনা উইকেটে থেকেও আমরা রান করতে পারছি না। ১২-১৪ ওভার যাওয়ার পরও আমরা ডিফেন্সিভ খেলছি, এটা নতুন এক অভিজ্ঞতা।’ নিরাপত্তা নিয়ে তুমুল সংশয় ছিল পাকিস্তান সফরে। এ কারণে পাকিস্তান সফরে ক্রিকেটারদের সঙ্গেই ছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি কাছে থেকে দেখলেন, তিন ম্যাচের দু’টি মাঠে গড়িয়েছে। দু’টিতেই ভরাডুবি ঘটেছে বাংলাদেশের। শেষটি বৃষ্টির কারণে মাঠেই গড়ায়নি। তাই বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স নিয়ে কথা বলতে গিয়ে চরম হতাশা ফুটে ওঠে বিসিবি সভাপতির মুখে। এক কথায় তিনি জানিয়ে দেন, ‘এই বাংলাদেশ দলকে চিনতে খুব কষ্ট হয়েছে। এ আবার কোন বাংলাদেশ?’ তিনি বলেন,‘হেরে গেলেও আমরা যেমন খেলি, এই সিরিজে তার কিছুই দেখা যায়নি। নিজেদের মত করে খেলতেই পারিনি। এমন পরিস্থিতি আমার চোখেই পড়েনি যে, বিনা উইকেটে ৯৬ থেকে আমরা ১৩০-১৪০ এ আটকে গেছি। ১২-১৩ ওভারের পরে গিয়েও আমরা রানের গতি বাড়াতে পারিনি। ১৩০-১৪০ এ গিয়ে থেমে গেছি।’ পাকিস্তানের বিপক্ষে এই সিরিজ নিয়ে অনেকগুলো উপলব্ধি জমা হয়েছে বিসিবি সভাপতির মনে। তিনি বলেন, ‘এই সিরিজে অনেকগেুলো উপলব্ধি হয়েছে আমার। প্রথম উপলব্ধি হলো, ১৩০-১৪০ এমনকি ১৫০ রান করেও আজকাল টি-টোয়েন্টিতে জেতা যায় না; কিন্তু পাকিস্তানে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আমরা তার  চেয়েও কম রান করেছি। আমার মনে হয়, আমরা উইকেট চিনতে গিয়ে কিংবা উইকেটের আচরণ বুঝতে গিয়েও ভুল করেছি। আমরা প্রথম ম্যাচ ভেবেছি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। কিন্তু পরে দেখা  গেছে সে উইকেট স্লো। পরের ম্যাচে ব্যাটিং উইকেট ভেবে আগে ব্যাটিং নিয়ে দেখি উইকেট আদর্শ টি-টোয়েন্টির না।’ টস জিতে ব্যাটিং না ফিল্ডিং- এ সব বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিসিবি সভাপতি বেশ নাখোশ। টস জিতে ব্যাটিং নিয়ে ১৩৬ রানে আটকে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে বিসিবির বিগ বসের মন। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক বুঝতে পারছি না, আসলে সিদ্ধান্তটা কে নেয়? টস জিতে ব্যাটিং নেবে কি  নেবে না, টস জিতলে কি করবে- এসব সিদ্ধান্ত কে নেয় এটা নিয়ে আমি কনফিউজড। রিয়াদ তো এমনিতেই খুব কম কথা বলে, তারপরও আমি তামিম ও রিয়াদের সঙ্গে প্রচুর কথা বলেছি। প্রথম ম্যাচের পর এমনকি দ্বিতীয় ম্যাচের পরও।’ কোচের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টা উদঘাটন করার কথাও বলেন তিনি। বিসিবি সভাপতি বলেন,‘ মোটকথা বলতে পারেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে আমার দুই ম্যাচ এবং আনুসঙ্গিক বিষয নিয়ে কথা হয়েছে। তবে কোচের সঙ্গে এখনও কথা হয়নি। কোচের সাথে বসলে কথা বললে জানা যাবে, সিদ্ধান্তটা কে নিচ্ছে এবং কেন এই ভুলগুলো হচ্ছে?’

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ