শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া কোনও দেশ বা জাতি উন্নতি করতে পারে না -প্রধানমন্ত্রী

গতকাল বুধবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে Bangladesh Development Forum (BDF)-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -ছবি : বাসস

স্টাফ রিপোর্টার: জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাব মোকাবিলায় অনেক দেশ, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও উন্নত দেশের প্রতিশ্রুতি পেলেও সহায়তা পাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অথচ জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য বাংলাদেশ দায়ী না হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য দায়ীদেরই বেশি দায়িত্ব পালন করা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
গতকাল বুধবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম ২০২০ (বিডিএফ) সম্মেলন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় নিজস্ব অর্থেই তহবিল গঠন করা হয়েছে বলেও উন্নয়ন সহযোগীদের জানান প্রধানমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্ডউইগ স্কেফার, জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো, এডিবির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিক্সিন চেন জাইকার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মি. জুনিচি ইয়ামাদা, এছাড়া ৩০ থেকে ৪০টি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ও দেশের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে খুব বেশি শর্ত না দিয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা দেওয়া প্রয়োজন। বাংলাদেশ ১৯৪১ সালে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী হবে। দারিদ্র নিরসনে বিশ্বেও উদাহরণ তৈরি করেছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন করা দেশে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করছে আওয়ামী লীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি দেশকে গড়ে তুলতে গেলে যেমন একটি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের দরকার, তেমনি একটি পরিকল্পনাও দরকার। প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই একটি পরিকল্পনা থাকবে যে দেশটাকে তারা কীভাবে গড়তে চায়। সেভাবেই তারা দেশের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করবে। আমরা সেই কাজটিই করেছি।
তিনি বলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর আমরা একটি পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা গ্রহণ করি। সেটি ছিল ৬ষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা। পাশাপাশি আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নেই ২০১০ থেকে ২০২০, এর মধ্যে বাংলাদেশকে আমরা কীভাবে আমরা গড়তে চাই। এ লক্ষ্যে আমরা রূপকল্প ২০২১ প্রণয়ন করি। রূপকল্পে আমরা দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণকে অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা প্রণয়ন করি।
আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের দিক তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না, না খেয়ে থাকবে না, বিনা চিকিৎসায় মারা যাবে না। সে লক্ষ্যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করে মানুষকে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হচ্ছে। হাওড়, চর ও পাহাড়ী এলাকায় আবাসিক স্কুল তৈরি করা হচ্ছে। যাতে শিশুরা সেখানে থেকে পড়াশুনা করতে পারে। কারিগরি শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি স্কুল করে দিচ্ছি। সাড়ে ৩ হাজার ইউনিয়নে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়েছে। ই-গভর্নেন্স চালু করা হয়েছে। ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টার চালু করা হয়েছে। ঘরে বসেই অনলাইনে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ। লার্নিং এন্ড আর্নিং কমসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব কর্মসূচি টেকসই করতে আর্থিক সহযোগিতা প্রয়োজন।
দুই বছর পর আবার হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম সম্মেলন (বিডিএফ)। এবারের সম্মেলনের শ্লোগান, ‘কার্যকর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন’। সম্মেলনে সরকার এবং দাতাগোষ্ঠীর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে। গত ২৭ জানুয়ারি সাংবাদিকদের এসব জানান, ইআরডি সচিব মনোয়ার আহমেদ।
দুই বছর পর আবার হচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরাম সম্মেলন (বিডিএফ)। এবারের সম্মেলনের শ্লোগান, ‘কার্যকর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে টেকসই উন্নয়ন’। সম্মেলনে সরকার এবং দাতাগোষ্ঠীর অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ও বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার বিষয়গুলো তুলে ধরা হবে।
এবারের বিডিএফ সম্মেলন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী স্মরণে উৎসর্গ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতির পিতা যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিলেন, সেটা বাস্তবায়ন করাই আমাদের লক্ষ্য। তা করতে পারলেই দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা যদি এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে পারি, তাহলে ২০২৪ সালে আমরা উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পাবো এবং ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে আমাদের অবস্থান হবে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হসিনা বলেন, ‘এটা মাথায় রাখতে হবে, রাজনৈতিক কমিটমেন্ট ছাড়া কোনও দেশ বা জাতি উন্নতি করতে পারে না। সেটা বাংলাদেশের জন্য একেবারেই সত্য। জাতির পিতা দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত ও উন্নত করার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ থেকে ৭৮ পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা নিয়েছিলেন তিনি। আমরা ২১ বছর পর সরকার গঠন করে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনাও গ্রহণ করি, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও গ্রহণ করি। ষষ্ঠ শেষ করে, সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন জায়গাগুলো গুরুত্বপূর্ণ, তা চিহ্নিত করেই আমরা পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাচ্ছি।’
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বাংলাদেশের অবস্থানের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় আমরা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছি। শুধু বাংলাদেশ নয় যেসব ছোট দ্বীপ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাদের সবার প্রতিই সহায়তা করা প্রয়োজন। উন্নত রাষ্ট্রগুলোকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা যেহেতু বদ্বীপ, তাই ডেল্টা প্ল্যান ২০১০ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়নের কাজও শুরু করেছি। আমাদের নদীগুলো ড্রেজিং করতে হবে। নাব্য বাড়াতে হবে। তাহলে বন্যার হাত থেকে আমরা মুক্তি পাবো। আর ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে আমরা অনেক ভূমিও উদ্ধার করতে পারবো। সেসব ভূমি কৃষিকাজসহ বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবো। নদীতে নাব্য থাকলে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সহজ হয়ে যাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন থেকেই আমরা সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
আগামী দিনের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দেশকে আমরা কীভাবে গড়তে চাই, ২০২১ থেকে ২০৪১ সাল পর্যন্ত আমরা কীভাবে এগিয়ে যাবো, এটা শুধু শহরের মানুষের জন্য নয়, গ্রামের মানুষরাও যেন পিছিয়ে না থাকে, প্রতিটি মানুষের জীবন যেন অর্থবহ হয়, সেটিকে মাথায় রেখেই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’ টেকসই উন্নয়নের ক্ষেত্রে কোন জায়গাগুলো গুরুত্বপূর্ণ তা চিহ্নিত করেই পরিকল্পনামতো এগিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মতিঝিল আইডিয়ালে ওড়না নিষিদ্ধের সত্যতা মেলেনি
মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের ছাত্রীদের ওড়না পরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গতকাল বুধবার বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা এ কথা বলেন। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দিনের কার্যসূচি শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তদন্তে এমন অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সরকার সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নয়নকে গতিশীল ও স্থায়ী করতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছি। পাশাপাশি ধর্মীয় মূল্যবোধ, নৈতিকতা, সময়ানুবর্তিতা এবং সততার অনুশীলন করানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, মেয়েদের ওড়না পরা নিষিদ্ধ করা হয়নি। প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীদের ২০২০ সালের নির্ধারিত ইউনিফর্ম (ড্রেস কোড) হচ্ছে রয়েল ব্লু কামিজ ও সাদা সালোয়ারের সঙ্গে চওড়া ক্রস বেল্ট ওড়না। বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, সার্বভৌম ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য সব ধর্মের চেতনা ও মূল্যবোধকে সমুন্নত রাখতে বদ্ধপরিকর। বর্তমান সরকার ধর্মীয় অনুভূতি ও ম্ল্যূবোধে আঘাত করে এ রকম যে কোনো কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সর্বদা সচেতন রয়েছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য আহসানুল ইসলাম (টিটু) ও বিরোধী দলের প্রধান হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গার পৃথক দুই সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, যুব সমাজের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যুবকরা বেকার থাকুক সেটা আমরা কখনো চাই না। কর্মসংস্থানের জন্য শিক্ষিত হোক বা অর্ধশিক্ষিত, আমরা কর্মসংস্থান ব্যাংক করেছি; সেখান থেকে যে কোন যুবক বিনা জামানতে দুই লাখ পর্যন্ত টাকা নিতে পারে। সেটা এককভাবে বা যৌভাবে নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে সেই সুযোগটা আমরা সৃষ্টি করে দিয়েছি। আমরা এত কর্মসূচি নিয়েছি, বেকার থাকার সুযোগ নেই। কেউ যদি ইচ্ছে করে বেকার থাকে!
যুব সমাজের কর্মসংস্থানে নেওয়া নানা কর্মসূচি তুলে ধরে সংসদ নেতা বলেন, আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করছি। সেখানে যুবকদের কর্মসংস্থান হবে। ডিজিটাল সেন্টার করেছি এবং কমিউনিটি ক্লিনিক করেছি সেখানেও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া আমাদের অনেক উন্নয়ন প্রকল্প হচ্ছে সেখানে যে কেউ চাইলে কিছু করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করেছি। আমাদের লক্ষ্য যুবকরা কাজ করবে, সবার কর্মসংস্থানের সুবিধা থাকবে। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে যুবকরা নিজেদের ভাগ্য গড়তে পারবে। যুবকদের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে, তবে সেটা নির্ভর করে প্রতিটি যুবকের ওপর। তারা কি চাকরির পেছনে ঘুরবে নাকি নিজেরা কিছু কাজ করে অন্য লোকের চাকরি দেওয়ার সুযোগ করবে, উদ্যোক্ততা হয়ে নিজেদের গড়ে তুলতে পারে, সেই দিকে লক্ষ্য রেখে তাদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি উপজেলায় কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তাছাড়া ছাত্র ছাত্রীদের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে চাই যেন স্কুলজীবন থেকে নিজেদের ভেতরে প্রতিভা দিয়ে কিছু করতে পারে। নিজে কাজ করবে, নিজের পায়ে দাঁড়াবে।
সংসদ নেতা বলেন, যুবকরা নিজে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে, সে ধরনের অনেক সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি করেছি। কেউ যদি ইচ্ছে করে বেকার থাকে.. বেকার থাকার কোন সুযোগ নাই। এতো বেশি কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প চলছে সেখানে যে কেউ কিছু কাজ করলে কিছু করে খেতে পারবে।
মাদকাসক্তদের বিষয়ে বিশেষ কোন পদক্ষেপ নেবেন কি না? মসিউর রহমান রাঙ্গার সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি মনে হয় অনেক পিছনে পরে আছেন। ইতোমধ্যে আমরা ব্যবস্থা নিয়ে শুরু করে দিয়েছি। মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে এবং এটা চলতেই থাকবে। মাদক একটা পরিবারকে ধ্বংস করে, দেশেরও ক্ষতি হয়। যে সেবন করে সে নিজেরও ক্ষতি করে, এর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছি।
আহসানুল ইসলামের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, গত দশ বছরে ২০০৯ হতে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯ লাখ ৬ হাজার ৫৭৪ জন তরুণকে বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া দশ বছরে ৪ লাখ ২১ হাজার ৪৪১ জন প্রশিক্ষিত যুব ও যুবমহিলাকে ১ হাজার ২৪২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ফলে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৭ লাখ ৪ হাজার ৩৭৩ জন বেকার যুব ও যুবমহিলা সফল আত্মকর্মী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ