বিসিএলের ফাইনালে সাউথ জোন-ইস্ট জোন
স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিসিএল) ফাইনাল নিশ্চিত করেছে সাউথ জোন ও ইস্ট জোন। গতকাল শেষ রাউন্ডে দল দুটি ফাইনাল নিশ্চিত করে। কক্সবাজারে তৃতীয় রাউন্ডের ম্যাচে মুখোমুখি হয় সেন্ট্রাল জোন এবং সাউথ জোন। নাটকীয়তায় ভরপুর ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত অমীমাংসিতই রয়ে যায়। তবে তিন ম্যাচে এক জয় আর দুই ড্র'য়ে ফাইনাল নিশ্চিত হয়েছে সাউথ জোনেরই। আর নাজমুল হোসেন শান্তর ডাবল সেঞ্চুরির পরেও শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে সেন্ট্রাল জোনকে। শুভাগত হোমের নেতৃত্বে কক্সবাজারে আগে ব্যাট করতে নেমে মার্শাল আইয়ুবের সেঞ্চুরিতে ২৩৫ রানে থামে সেন্ট্রাল জোনের প্রথম ইনিংস। সাউথের হয়ে তিনটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান। আর দু’টি করে উইকেট নেন শফিউল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক এবং নাসুম আহমেদ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অদ্ভুত এক সমীকরণের কারণে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১১৪ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন সাউথ জোনের অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক। দ্বিতীয় ইনিংসে ১২১ রানে এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নামে সেন্ট্রাল জোন। আর দ্বিতীয় ইনিংসে মহাকাব্যিক ২৫৩ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। আর ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৮৫ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে সেন্ট্রাল জোন। সাউথের হয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন নাসুম আহমেদ, আর ২টি উইকেট তুলে নেন শফিউল ইসলাম। সাউথের সামনে তখন ৫০৭ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য। তবে ভেঙে পড়েনি তারা, ওপেনার আনামুল হক বিজয়ের ৮৩, এরপর শামসুর রহমানের ১৩৩ আর নাসুম আহমেদের ৮৫ রানে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৮৬ রান তোলে সাউথ জোন। জয় তুলে নিতে না পারলেও ড্র করেই শেষ পর্যন্ত ফাইনাল নিশ্চিত করে আব্দুর রাজ্জাকের দল। বল হাতে ৪ উইকেট তুলে নেন মেহেদি হাসান মিরাজ আর ৩টি উইকেট নেন শুভাগত হোম। তৃতীয় রাউন্ডে দিনের অন্য ম্যাচে কক্সবাজারে মুখোমুখি হয় ইস্ট এবং নর্থ জোন। ইস্ট জোনের হয়ে দুই ইনিংসেই শতক হাঁকিয়ে দলকে জয় এনে দেন ইয়াসির আলী। শেষ দিনে ২১১ রানের জয়ের লক্ষ্য ৮ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় ইস্ট জোন। আর তাতেই ফাইনাল নিশ্চিত হয় ইমরুল কায়েসের দলের। এর আগে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মুশফিকুর রহিমের ১৪০ রানের ইনিংসে ভর করে ২৭২ রান তোলে নর্থ জোন। তবে মুশির থেকে আলোটাই কেড়ে নিয়েছিলেন স্পিনার নাইম হাসান।
বল হাতে একাই নর্থের ৮ ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়েছিলেন এই অফস্পিনার। জবাবে প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ইয়াসির আলীর ১৬৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৩৩১ রান তোলে ইস্ট জোন। আর নর্থের অধিনায়ক সানজামুল ইসলাম তুলে নিয়েছিলেন ৭টি উইকেট। প্রথম ইনিংসের ন্যয় দ্বিতীয় ইনিংসেও বল হাতে উজ্জ্বল নাইম হাসান। প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেট এরপর দ্বিতীয় ইনিংসেও নিয়েছেন ৫টি উইকেট। আর তাতেই নর্থের ব্যাটিং লাইন আপ ভেঙে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ইস্টের সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ২১১ রানের।
জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মোহাম্মদ আশরাফুলের অপরাজিত ৭০ আর ইয়াসির আলীর দ্বিতীয় শতকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইস্ট। ইয়াসির শেষ পর্যন্ত ১১০ রান করে ফিরে যান। আর তৃতীয় রাউন্ড শেষে ২ জয় আর এক হারে ২৩ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে ইস্ট জোন। অন্যদিকে ৩ ম্যাচে ২ হার আর এক ড্র'তে ৬ দশমিক ২২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থেকেই শেষ করতে হয়েছে নর্থ জোনকে।