শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪
Online Edition

সিলেটে র‌্যাব-পুলিশের সাথে পৃথক বন্দুকযুদ্ধে নিহত ২

সিলেট ব্যুরো : সিলেটে র‌্যাব ও পুলিশের সাথে পৃথক বন্ধুকযুদ্ধে এক শীর্ষ সন্ত্রাসী ও এক ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় র‌্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী হোসেন নিহত হয়েছে। অন্যদিকে বিশ্বনাথ থানা পুলিশের সাথে বন্ধুকযুদ্ধে এক অজ্ঞাতনামা ডাকাত সর্দার নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে উভয় ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ঘটে। এ দাবি র‌্যাব ও পুলিশের।
জানা গেছে, গোলাপগঞ্জ থানাধিন কদুপুর এলাকায় এক অভিযানে র‌্যাবের সাথে ‘বন্ধুকযুদ্ধে’ আলী হোসেন (৪০) নামের সনস্ত্রাসী নিহত হয়। এ সময় আরো ৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র‌্যাবের দাবি নিহত ব্যক্তি একজন দুর্র্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও সে হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলার আসামী। এ ঘটনায় র‌্যাবের এক সদস্য গুলীবিদ্ধ হয়েছেন বলেও র‌্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। র‌্যাব-৯ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একাধিক মামলার আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসী আলী হোসেনকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালালে সে তার দলবল নিয়ে গুলী ছুঁড়ে। এ সময় র‌্যাব পালটা গুলী চালালে আলী হোসেন নিহত হয়।
এদিকে, সিলেটের বিশ্বনাথে শুক্রবার রাতে ডাকাত-পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলাগুলীর ঘটনা ঘটেছে। পাল্টাপাল্টি গুলাগুলির ঘটনায় ডাকাত দলের ১ অজ্ঞাতনামা ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় মৃত্যুবরণকারী ডাকাত সদস্যের হাতে থাকা একটি দেশীয় পাইপগান ও ৩ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ডাকাত দলের গুলীতে বিশ্বনাথ থানার এসআই মিজানুর রহমান মিজান, কনস্টেবল চন্দন গৌর, রাসেল দাস গুরুতর আহত হয়ে পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-জগন্নাথপুর বাইপাস সড়কের মরমপুর-সুরিরখাল এলাকার মধ্যবর্তী জায়গায় সড়কের পার্শ্বের গাছ কেটে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল অস্ত্রধারী একটি ডাকাত দল। নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে শুক্রবার দিবাগত ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৩টার দিকে থানার এসআই মিজানুর রহমান তার সঙ্গিয় কনস্টেবল চন্দন গৌর ও রাসেল দাসকে নিয়ে এলাকা টহল দিচ্ছিলেন। পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে ডাকাত দল পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি করতে শুরু করে। এতে পুলিশ সদস্যরা গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। খবর পেয়ে থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) শামীম মুসা, পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী, এসআই নূর হোসেন, দেবাশীষ শর্ম্মা নিজের ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। পুলিশের উপস্থিতি বাড়ছে টের পেয়ে ডাকাতদল দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এরপর স্থানীয় লোকজনকে সাথে নিয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশি করলে স্তুপ করা মাটির উপর এক ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। এসময় ওই ডাকাত সদস্যের হাতে একটি দেশীয় পাইপগান ও কোমরে থাকা ৩টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করে। ডাকাত দলের সাথে পুলিশের গুলাগুলী, অস্ত্রসহ ১ ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার ও ৩ পুলিশ গুলীবিদ্ধ হওয়ার সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শামীম মুসা বলেন, ডাকাতিসহ সকল প্রকার অপরাধ দমনে থানা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ