শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ছড়ানো সেই বন্যপ্রাণীটি খুঁজছেন বিজ্ঞানীরা

২৭ ফেব্রুয়ারী, বিবিসি: বন্যপ্রাণীর মধ্যে ছড়ায়। আক্রান্ত একটি প্রাণীকে ধরার পর সেটি সেটি যায় পশুপাখি বিক্রি হয় এমন একটি বাজারের কর্মীদের মধ্যে। এরপর আক্রান্ত হয় মানুষ। এভাবেই একটি বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাব শুরু হয়। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার এ চক্রটি প্রমাণের জন্য বিজ্ঞানীরা ভাইরাস আক্রান্ত প্রাণী খুঁজে বের করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

লন্ডনের জুলজিক্যাল সোসাইটির অধ্যাপক অ্যান্ড্রু কানিংহ্যাম বলেন, কোনো ঘটনার ধারাক্রম খুঁজে বের করাটা কিছুটা গোয়েন্দা গল্পের মতো। এতে কিছু বন্যপ্রাণী, বিশেষ করে বাদুড়ের কয়েকটি প্রজাতি, যারা বিভিন্ন ধরনের করোনাভাইরাসের বাহক হতে পারে, তাদের চিহ্নিত করে অনুসন্ধান চালানো হবে।

বিজ্ঞানীরা যখন একজন রোগীর শরীর থেকে নতুন ভাইরাসের কোড শনাক্ত করতে সক্ষম হন, তখন থেকেই ভাইরাস ছড়ানোর জন্য সন্দেহের তীর ছোটে বাদুড়ের দিকে। স্তন্যপায়ী এই প্রাণী দল বেধে থাকে, অনেক দূর পর্যন্ত উড়ে যেতে পারে এবং পৃথিবীর সব অংশেই তাদের বিচরণ আছে। তারা প্রায় কখনোই অসুস্থ হয় না, কিন্তু দূর-দূরান্ত পর্যন্ত রোগের জীবাণু ছড়ায়। ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের অধ্যাপক কেইট জোনস বলেন, বাদুড় দীর্ঘক্ষণ ওড়ার ক্ষমতা রাখে এবং ডিএনএ’র ক্ষতি সারিয়ে তোলার ক্ষেত্রেও অন্য পাখিদের চেয়ে তারা বেশি সক্ষম, এমন কিছু প্রমাণ তারা পেয়েছেন।ইউনিভার্সিটি অব নটিংহ্যামের অধ্যাপক জোনাথন বল বলছেন, স্তন্যপায়ী প্রাণী হবার কারণে মানুষের মধ্যে সরাসরি অথবা মানুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কোনো প্রাণীর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়াতে পারে বাদুড়। কিন্তু ধাঁধাঁর দ্বিতীয় অংশ হচ্ছে, কে সেই রহস্যময় প্রাণী যে নিজের শরীরে সেই ভাইরাসকে ডিমে তা দেয়ার মতো পুষেছে এবং উহানের সেই বাজারে পৌঁছে দিয়েছে। আর এক্ষেত্রে সন্দেহভাজন প্রাণীটি হচ্ছে প্যাঙ্গোলিন। বলা হয় পিপড়া খেকো, শক্ত আঁশযুক্ত এই স্তন্যপায়ী প্রাণীটি পৃথিবীর সবচেয়ে বেশি পাচার হওয়া প্রাণী এবং প্রায় বিলুপ্তির পথে। ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধ তৈরিতে প্যাঙ্গোলিনের আঁশ ব্যবহার হয় বলে এশিয়াজুড়ে এর কদর।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ