শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

দেশের বিচার বিভাগ সঠিক বিচার করতে পারছে না

গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির উদ্যোগে বিদ্যুৎ পানির মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন (ইনসেটে) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর -সংগ্রাম

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের বিচার বিভাগ সঠিক বিচার করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। একইসাথে সরকারের চাপে বিএসএমএমইউ‘র চিকিৎসকরা বেগম খালেদা জিয়ার সঠিক প্রতিবেদন দিতে পারেননি বলেও তিনি মন্তব্য করেন। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পানি ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি এই অভিযোগ করেন। মির্জা ফখরুল বলেন, দুর্ভাগ্য আমাদের যে, আজকে পিজি হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) ডাক্তাররা যাদেরকে এদেশের মানুষ শ্রদ্ধা করে, তাদের ওপর নির্ভর করে, তারা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঠিক রিপোর্ট দিতে পারলেন না। সরকার তাদেরকে বাধ্য করেছে সঠিক রিপোর্ট না দেয়ার জন্য। দুর্ভাগ্য আমাদের বিচার বিভাগ, উচ্চ আদালত সঠিক বিচার করতে পারেন না। কারণ এখানে আজকে একনায়কতন্ত্রের ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রব্যবস্থার শাসন চলছে।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা তুলে ধরে মির্জা ফখরুল বলেন, তিনি অত্যন্ত অসুস্থ। ২৫ ফেব্রুয়ারি যে ব্লাড পরীক্ষা করা হয়েছে, সেখানে দেশনেত্রীর ফাস্টিং সুগার ১৮ দশমিক ৫ ছিলো। নিয়মিত সুগার এই মাত্রায় হলে তা হার্ট, কিডনিসহ লাংয়ে প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু এই সরকার এতোই প্রতিহিংসা পরায়ন যে, তার (খালেদা জিয়া) প্রাপ্য জামিন পর্যন্ত দিচ্ছে না। খালেদা জিয়ার মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবানও জানান তিনি।
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ কারাবন্দি খালেদা জিয়ার সর্বশেষ স্বাস্থ্য প্রতিবেদন দেয়। মেডিকেলের প্রতিবেদন পাওয়ার পর সকালেই হাইকোর্টের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি কেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার জামিন শুনানী শেষে বিকেলে তার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
বিদ্যুৎ এবং ওয়াসার পানির দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপির ঘোষিত সারাদেশের জেলা সদরে মানববন্ধন কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সকাল ১১টা থেকে একঘন্টার এই কর্মসূচি হয়। ফুটপাতে দাঁড়িয়ে নেতা-কর্মীরা বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদের পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতেও শ্লোগান দেয়।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এই সরকার লুটেরা সরকার, এই সরকার ব্যর্থ সরকার, এই সরকার জবরদখলকারী সরকার। আওয়ামী রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেই কারণে এখন সে জোর করে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে বন্দুক-পিস্তল দিয়ে ৩০ তারিখে নির্বাচনে ২৯ তারিখ করে দিয়ে সে ক্ষমতা দখল করে আছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাঁচার করা। আমাদের স্বাধীনতা আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে, আমাদের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হবে, আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে। বিদ্যুৎ-পানির দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে না আসলে ‘জনগণের আন্দোলনে’ সরকার ভেসে যাবে বলে হুশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই সরকারের কাছে বলতে চাই, এই মুহুর্তে পানির দাম যেটা না সেটা প্রত্যাহার করুন, বিদ্যুতের দাম যেটা বাড়িয়েছেন সেটা প্রত্যাহার করুন, গ্যাসে দাম যেটা বাড়িয়েছেন সেটা প্রত্যাহার করুন।  অন্যথায় জনগণের যে উত্তাল তরঙ্গ সৃষ্টি হবে সেখানে আপনি (সরকার) ভেসে যাবেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আপনারা দেখেছেন পানির দাম কমপক্ষে দশবার বেড়েছে এবং সেই পানি যে পানি মুখে দেয়া যায় না, খাওয়া যায় না। বিদ্যুতের দাম আগে ৮ বার বেড়েছে। কারণ কী? এই যে কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের নামে তারা যে সমস্ত লুট করেছে, প্রতিদিন লুট করছে তাদের ভর্তুকি দেয়ার জন্য, জনগণের পকেট কেটে তারা বিদ্যুতের দাম বাড়াচ্ছে। তারা যে চুক্তিগুলো করেছে যদি কোনো পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ সরবরাহ না করে তারপরেও তাকে পয়সা দিতে হবে। অর্থাৎ প্রতিবছর তাদের ৫১ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এই টাকা বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট থেকে নিয়ে যাচ্ছে। যখন দ্রব্যমূল্য বাড়ছে, চালের দাম বাড়ছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে, লবনের দাম বাড়ছে, কাঁপড়ের দাম বাড়ছে, বাড়ি ভাড়া বাড়ছে তখন আবার এই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে, পানির দাম বাড়িয়ে নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত মানুষদের চরম অসহায়ত্বের মধ্যে ফেলে দিয়েছে এই সরকার।
তিনি বলেন, এই সরকারের জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নেই। তারা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়নি, তারা রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় এসেছে। সুতরাং তাদের জনগণের দুঃখ-দুদর্শা বুঝার মতো কোনো ক্ষমতাই নেই। আবার তাদের সাধারণ সম্পাদক বলছেন, বিদ্যুতের দাম অতি সামান্য বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি জনগনকে বলেছেন তারা যেন এটা মেনে নেন। জনগণ মেনে নেবে না। আপনারা গত ১২ বছর ধরে জনগণের ওপর যে অত্যাচার-নিপীড়ন-নির্যাতন-হত্যার যে স্টিমরোলার চালাচ্ছেন জনগণ কখনোই তা আর মেনে নেবে না। আপনাদেরকে অবশ্যই জনগণের কাছে জবাবদিহি করতে হবে, কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
গত বৃহস্পতিবার এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) বিদ্যুতের দাম সাধারণ গ্রাহক, পাইকারী ও সঞ্চালন পর্যায়ে বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়, যা পহেলা মার্চ থেকে কার্য্কর হয়েছে। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে (খুচরা) প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম গড়ে ৩৬ পয়সা বা ৫ দশমিক ৩ শতাংশ, পাইকারিতে প্রতি ইউনিট গড়ে ৪০ পয়সা বা ৮ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বিদ্যুৎ সঞ্চালন মূল্যহার বা হুইলিং চার্চ প্রতি ইউনিটে শূণ্য দশমিক ২৭৮৭ টাকা থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০১৭ সালের নভেম্বরে পাইকারি বিদ্যুতের দাম বাড়িয়েছিলো সরকার যা ওই বছর ডিসেম্বর থেকে কার্য্কর হয়।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক হচ্ছে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক যদি হবে তাহলে এনআরসি তৈরি করে বাংলাদেশী বংশোভুতদেরকে আজকে তারা (ভারত) কেনো জোর করে ফেরত পাঠিয়ে দিচ্ছে? বার বার তাদের মন্ত্রীরা বলেছে, অবৈধ বাংলাদেশীদের আমরা ফেরত পাঠিয়ে দেবো। অথচ সরকার এখনো বলছে যে, এটা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এরা নতজানু সরকার, পুতুল সরকার। তাদেরকে দিয়ে জনগণের আশা-আকাংখা পুরণ হবে না। আমাদের স্বাধীনতার এই মাসে আমরা বলতে চাই, এই স্বাধীনতাকে তারা (সরকার) রক্ষা করতে পারবে না, এই স্বাধীনতাকে তারা বিক্রি করে দিচ্ছে। আমরা একাত্তর সালে যুদ্ধ করে বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। আমাদেরকে অবশ্যই রুখে দাঁড়াতে হবে, আমাদেরকে জেগে উঠতে হবে। আসুন, আমরা সবাই জেগে উঠি। আপনি জাগেন, সবাই জাগি,  জেগে আমরা এই ভয়াবহ দানবকে আমরা পরাভুত করি এবং জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠা করি- এই হোক আমাদের শপথ।
সরকারের নতজানু পররাষ্ট্র নীতির সমালোচনা করে ভারতের সাথে দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কের চিত্র তুলে ধরেন চার দলীয় জোট সরকারের সাবেক এই প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আপনারা দেখবেন আমাদের পররাষ্ট্র নীতিকে তারা (সরকার) সর্বনাশ করে ফেলেছে। এই যে রোহিঙ্গা সমস্যা আজ পর্যন্ত সরকার এই সমস্যার সমাধান করতে পারে নাই, পৌনে দুই বছর হয়ে গেলো। অবশ্যই অনেকে বলে রোহিঙ্গা সমস্যা তারা নিজেরাই জিয়ে রেখেছে। এটা দিয়ে তাদের লাভ হয়। পশ্চিমা বিশ্বের একটা সমর্থন পাওয়া যায়, এইড আসে, সাহায্য আসে, সেটা থেকে কিছু ভাগ-বাটোয়ারাও পাওয়া যায়। অন্যদিকে আজকে আমার সীমান্তে মানুষ হত্যা করা হয়, সেই হত্যা বন্ধ করবার জন্য কোনো কার্যকরী ব্যবস্থা তারা (সরকার) গ্রহন করেনি। সীমান্ত দিয়ে যে নদীগুলো ভারত থেকে আমাদের দেশে এসেছে সেই নদীগুলোর পানির কোনো ব্যবস্থা আমরা এখন পর্যন্ত পাইনি। তিস্তা নদীর পানির ব্যবস্থা আমরা করতে পারেনি। অথচ ফেনী নদীর পানি আমরা দিয়ে দিয়েছি। কানেকটিভি দিয়েছি, পোর্ট ব্যবহার করতে দিয়েছি। সব কিছু দিয়েছি।
সরকারের কঠোর সমালোচনা করে ফখরুল বলেন, এই সরকার লুটেরা সরকার, এই সরকার ব্যর্থ সরকার, এই সরকার জবরদখলকারী সরকার। আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। সেই কারণে এখন সে জোর করে রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে বন্দুক-পিস্তল দিয়ে ৩০ তারিখে নির্বাচনে ২৯ তারিখ করে দিয়ে সে ক্ষমতা দখল করে আছে। এর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- বাংলাদেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাঁচার করা। এই সরকার বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দিয়েছে। ব্যাংকিং সেক্টার ধবংস করেছে, অর্থনীতিকে ধবংস করেছে, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধবংস করেছে, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ধবংস করেছে। তারা সুপরিকল্পতভাবে সংবিধান কেটে-সেটে নষ্ট করে দিয়ে জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং একটা একনায়কোতন্ত্র ফ্যাসিবাদী সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। আমাদের স্বাধীনতা আমাদেরকে রক্ষা করতে হবে, আমাদের অর্থনীতিকে রক্ষা করতে হবে, আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে নিয়ে আসতে হবে।
স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, এই সরকার বিদ্যুত-পানি-গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে। তারা একটি ব্যাংকক্রাফট গভার্মেন্ট। আজকে তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে, মানি লন্ডারিং করেছে, তারা দুর্নীতির মাধ্যমে দরিদ্র জনগনের ট্যাক্সের টাকা সরিয়ে নিয়েছে। যে প্রজেক্ট হচ্ছে ১‘শ কোটি টাকা লাগ, মেগা প্রজেক্টের নামে সেই প্রজেক্টের নামে তারা  ১ হাজার কোটি টাকা বানিয়েছে। বাকী ৯‘শ কোটি টাকা কাদের পকেটে যাচ্ছে জনগন সেটা জানতে চায়। এই সরকার বিনা ভোটের সরকার, তারা জনপ্রতিনিধিত্ববিহীন সরকার। তারা এদেশের মানুষকে লুটেপুটে খাচ্ছে। এই সরকারকে সরিয়ে জনগনের সরকার কায়েম করতে হলে আমাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে, আমরা রাজপথে আছি, আমরা রাজপথে থাকবো-এটাই হোক আমাদের শপথ।
মহানগর দক্ষিন বিএনপির সভাপতি যুগ্ম মহাসচিব হাবিব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিত্বে সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় এই মানববন্ধনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান, কেন্দ্রীয় নেতা অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন, হাবিবুর রহমান হাবিব, খায়রুল কবির খোকন, ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল এবং অঙ্গসংগঠনের মধ্যে য্বু দলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের আবদুল কাদের ভুঁইয়া জুয়েল, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, মৎস্যজীবী দলের আবদুর রহিম বক্তব্য রাখেন।
মানবন্ধনে বিএনপির ডা. দেওয়ার সালাহউদ্দিন, শিরিন সুলতানা, আমিনুল হক, শফিউল বারী বাবু, খন্দকার আবু আশফাক, মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, আবদুল আউয়াল খান, শামীমুর রহমান শামীম, আমিরুজ্জামান শিমুল, রফিক শিকদার, নিপুন রায় চৌধুরী, হেলেন জেনি খান, মোরতাজুল করীম বাদরু, নুরুল ইসলাম নয়ন, এসএম জাহাঙ্গীর, শফিকুল ইসলাম মিল্টন, রফিকুল আলম মজনু, ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমূখ নেতারা ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ