শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪
Online Edition

কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা ড. কামালের

স্টাফ রিপোর্টার : গণফোরামের পাল্টা-পাল্টি কমিটি বহিষ্কারের প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করলেন ড. কামাল হোসেন। সংগঠনের প্যাডে তার স্বাক্ষরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গণফোরামের সভাপতি কামাল হোসেন এই কথা জানিয়েছেন। ২০১৯ সালের এপ্রিলে ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে ১০১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়েছিলো। যা ১০ মাস পর ভেঙে দেয়া হলো।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সংগঠনের স্থবিরতা দূর করতে ২৬ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে গণফোরামের বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই বিশেষ কাউন্সিল ২০১৯ কর্তৃক প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গণফোরামের সভাপতি হিসেবে আমি ৫ মে ২০১৯ তারিখে ঘোষিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করছি। পরবর্তী জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত দলের যাবতীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক দায়-দায়িত্ব পালন করার জন্য ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি ও ড. রেজা কিবরিয়াকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে গণফোরামের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটি গঠন করছি। এই কমিটি গণফোরামের গঠনতান্ত্রিক সকল ক্ষমতা প্রয়োগ করবে।
গত মাস থেকে গণফোরামে অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকট আকার ধারণ করে। পাল্টা-পাল্টি বহিষ্কারের ঘটনাও ঘটে। গত সোমবার গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমদের স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে সাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, লতিফুল বারী হামিম, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক খান সিদ্দিকুর রহমান ও প্রবাসী কল্যাণ সম্পাদক আব্দুল হাছিব চৌধুরীকে বহিষ্কার করা হয়। পরদিন মঙ্গলবার উক্ত চার জনের স্বাক্ষরে দলের সাধারণ সম্পাদক ড. রেজা কিবরিয়া, প্রেসিডিয়ামের সদস্য মহসীন রশীদ, শফিকউল্লাহ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশতাক আহমদকে দল থেকে বহিষ্কার করে পাল্টা বিজ্ঞপ্তি গণমাধ্যমে পাঠানো হয়। এই দুই বহিষ্কারের বিজ্ঞপ্তিতে ড. কামাল হোসেনের কোনো স্বাক্ষর ছিলো না।
গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে ড. কামাল হোসেন জানান, কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির অন্য সদস্যদের নামের তালিকা চলতি মাসেই ঘোষণা করা হবে। গণফোরামের মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটিসমূহ পূর্বের মতো যথারীতি বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
২০১৯ সালের ২৬ এপ্রিল বিশেষ কাউন্সিলের মাধ্যমে ড. কামাল হোসেনকে পুনরায় সভাপতি করে তাকে কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে নিয়মানুযায়ী সাব-জেক্ট কমিটি গঠন না করে ৩/৪ জন কেন্দ্রীয় নেতা নিজেদের পছন্দমতো কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করে সভাপতির  অনুমোদন গ্রহণ করেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। নবগঠিত কেন্দ্রীয় কমিটি গঠনের ফলে সংগঠনের গতি সৃষ্টির পরিবর্তে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয় এবং কতিপয় দায়িত্বশীল নেতা দায়িত্বহীনতার পরিচয় দেন এবং সাংগঠনিক শৃঙ্খলার অভাব দেখা দেয় বলে উল্লেখ করা হয় ড. কামালের বিজ্ঞপ্তিতে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ