দেশে ভুল তথ্য প্রদানের প্রধান উৎস সরকার
স্টাফ রিপোর্টার: ডেইলি নিউ এজ’র সম্পাদক নুরুল কবির বলেন, দেশে ভুল তথ্য প্রদানের প্রধান উৎস হলো সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয় বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, অথচ বর্তমান সময়ে এসে আমরা দেখতে পাচ্ছি এটি সঠিক তথ্য নয়। বিদ্যুতের ক্ষেত্রেও সরকার এমন ভুল তথ্য ছড়িয়েছে। ইতিহাস থেকে দেখা যায়, বিরোধী দলগুলোও ভুল তথ্য ছড়ায়। তিনি আরও জানান, যে বিষয়ে প্রতিবেদন করা হয়, তার সাথে শিরোনামের মিল থাকে না। এজন্য রিপোর্টার ও সম্পাদকদের প্রশিক্ষণের প্রয়োজন রয়েছে।
বাংলাদেশে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য, মিথ্যা খবর ও গুজব সংক্রান্ত বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করার লক্ষ্যে গত মঙ্গলবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের সহযোগিতায় গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) ঢাকায় কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক আয়োজিত সংলাপে তিনি এইসব কথা বলেন। সংলাপে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমের সিনিয়র সম্পাদক ও সাংবাদিক, ফ্যাক্ট-চেকার এবং সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সাররা অংশগ্রহণ করেন। কনফ্রন্টিং মিসইনফরমেশন ইন বাংলাদেশ সিজিএস’র উক্ত বিষয়ের উপর ধারাবাহিক কার্যক্রমের প্রথম আয়োজন এবং এর পরে ঢাকায় ও ঢাকার বাইরে এমন আলোচনা ও প্রশিক্ষণ আয়োজিত হবে। সংলাপের সঞ্চালনা করেন সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান।
সংলাপে উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে, দেশে সাংবাদিকতার বিভিন্ন সমস্যার বিষয়গুলো উঠে আসে এবং এর ফলে বিভ্রান্তিমুলক তথ্য, মিথ্যা খবর ও গুজব ছড়িয়ে পড়ার দিকটিও আলোচনা করা হয়। আলোচিত সমস্যাগুলোর মধ্যে রয়েছে তথ্য সংগ্রহে বাঁধা দেয়া বা তথ্য না দেয়া, সরকারের স্বদিচ্ছার অভাব ও ভুল তথ্য প্রদান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ভয়, রিপোর্টারদের নিয়মিত কাজের চাপ ও তার ফলে মানসম্পন্ন সংবাদের ঘাটতি, পর্যাপ্ত রিসোর্সের অভাব, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মালিকানাধীন মিডিয়া হাউজ ও তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়ন ইত্যাদি। এছাড়াও, সংবাদ মাধ্যমে নির্ভুল তথ্য যাচাইয়ের জন্য ফ্যাক্ট-চেকারদের সাথে সমন্বয় ও কিভাবে তথ্য যাচাই করা যায় সে সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।
সিজিএসের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী বলেন, দেশের মানুষ যদি গনমাধ্যমের উপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেন, তা দেশের জন্য ক্ষতিকর। গণমাধ্যমকর্মীদেরকেই এর জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সংলাপের শেষ পর্বে গণমাধ্যমকর্মীরা একটি জরিপে অংশগ্রহণ করেন এবং নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সংবাদ মাধ্যমে ভুল ও বিভ্রান্তমূলক তথ্য উপস্থাপন রোধে কার্যকরি ব্যবস্থার বিভিন্ন উপায় তুলে ধরেন।