কবিতা
রোদ ঝলমল পথ
ইরশাদ জামিল
রোদ ঝলমল রোদের মাঝে পথের ‘পরে একা?
পথ হেসে কয়, যাও এগিয়ে পথের পাবে দেখা।
পথের কাঁটা বিঁধবে পায়ে পড়বো কাদায় খাদে,
দু'চোখ খুলে পথ চললেই পৌঁছে যাবি চাঁদে।
ভালোর সাথে থাকবি পথে এড়িয়ে যাবি কালো,
অশুভরাও এড়িয়ে যাবে সঙ্গী হবো আলো।
মনের ঘরে মেঘ জমলে খুঁজবো তখন কাকে?
পথ ভুলে কাল হারিয়ে গেলে কোথায় পাবো মাকে?
জুই-চামেলীর সুবাস পাবি ত্যাগেই সেসব আছে,
শিউলিবকুল পথ দেখাবো ফিরবি মায়ের কাছে।
সরল পথে সৎ থাকা চাই কথায় এবং কাজে,
মেঘপরীরাও সঙ্গে আছি রোদের ভাঁজে ভাঁজে।
দক্ষিণ বাতাস সঙ্গে আছি শীতল ছায়ার মতো,
ভয় পাবি না উড়িয়ে দেবো পথের ধূলি যতো।
বনের পাখি গান শুনাবো ক্লান্তি হবে দূর,
সঙ্গে আছি কোথায় যাবি কোন সে অচিনপুর।
জৈষ্ঠ্য মাসে
রফিকুল নাজিম
জৈষ্ঠ্য মাসে মধুর বাসে
সবাই মাতোয়ারা,
পাকা ফলের খোঁজে ব্যস্ত
দস্যিছেলে যারা।
কাঠবিড়ালির মতো তারা
ফলটা পেলে চাখে,
পাতার আড়াল বসে বসে
পাখির মতো ডাকে।
মধুর মাসে ইশকুল ছুটি
মজায় কাটায় দিন,
দস্যিছেলে বনবাদাড়ে
বাজায় খুশির বীণ।
গাছকে বাঁচাও
আতিকুর রহমান
গাছকে বাঁচাও গরম কমাও
আমার দেশের বুকে
তাহলে যে থাকবো আরো
একটুখানি সুখে ।
দেশটা হবে আরও সবুজ
অক্সিজেনে ভরা
এই কথাটা মানবো সবাই
একটুখানি কড়া।
নিজের গাছের ফলফলাদি
নিজেই খাব বেশি
পুষ্টিগুনে থাকবে শরীর
শুনেন ভাই ও দেশি।
রোগবালাই এর ঝর-ঝাপটা
যাবে অনেক কমে
এত এত গরম পড়া
যাবে যে ভাই দমে ।
কচি পাতার মেলা
সাইদুল ইসলাম সাইদ
গাছে গাছে সবুজ সবুজ
কচি পাতার মেলা
শুকনো পাতা যায় যে ঝরে
সকাল সন্ধ্যা বেলা।
গাছে গাছে ফুলের রেণু
কোকিল করে গান
ঝরা পাতার ছন্দ ঝরে
কিসের যেন টান।
এমন যদি হতো
আশরাফ আলী চারু
এমন যদি হতো
আমি হতাম শীতল বাতাস
নরম মাটির মতো।
প্রজাপতি, ফুল, পাখি বা
শাপলা শালুক হলে
দেখতো আমায় সুখ সানন্দে
সবাই দলেবলে।
জলের ধারা হতাম যদি
জল বিলাতাম ডেকে
তারা হলে দিক চিনাতাম
মনের আলোক থেকে ।
সাত সমুদ্র তেরো নদী
বরফ পাহাড় হলে
উৎসাহিত করতাম আমি
স্বপ্ন দিতাম বলে
শীতল বাতাস নরম মাটি
নরম মনের চাওয়া
হতাম যদি সব মিটাতাম
সকল চাওয়া পাওয়া।
ভরাও গাছে গাছে
মুহাম্মদ আলম জাহাঙ্গীর
পাহাড় পর্বত সমতল আর
সড়ক নদীর পাশে,
জেগে ওঠা নতুন চর দ্বীপ
ভরাও গাছে গাছে।
ফলজ, বনজ ওষুধি গাছ
রোপণ করো বেশি,
ভিনদেশি ঢের ফলের সাথে
রোপণ করো দেশি।
গাছ-গাছালি করলে রোপণ
আমার সোনার দেশে,
উঠবে ভরে ফুল-ফসলে
দেশটা আমার হেসে।
বই
রাজু মিয়া
বই পড়ব বই পড়ব
শিখবো অনেক কিছু
বই পড়িলে থাকবে না আর
মোদের মাথা নিচু।
বইয়ের মাঝে খুঁজে পাবো
নিত্য নতুন জ্ঞান
নতুন নতুন জ্ঞান নিয়ে সব
বাড়বে মোদের ধ্যান।
ধ্যান ধারণা পাল্টে যাবে
জানবো বিশ্বটাকে
বইয়ের মাঝে বিশ্ব গড়ার
স্বপ্ন অনেক থাকে।
জীবন গড়ার আলো
শেখ বিপ্লব হোসেন
দোয়েল ডাকে শিস বাজিয়ে
উঠরে খোকন উঠ,
মিষ্টি সকাল যায় পেরিয়ে
কুসুম হয়ে ফোট!
মিষ্টি মধুর ভোরের হাওয়া
বলছে, খোকা কই?
খুব সকালেই পড়া ভালো
নিজের পাঠ্যবই।
জানলা গলে সূর্য এসে
বলছে, খোকা জাগ!
সকালবেলা থাকলে ঘুমে
স্রষ্টা করেন রাগ।
ফজর পড়েই নিজের কাজে
লেগে পড়া ভালো,
সজীব মনে পাবে খুঁজে
জীবন গড়ার আলো।
সবুজ শ্যামল মা
বিচিত্র কুমার
আঁকা বাঁকা পথ চলেছে
পথের ধারে গাঁ,
সেই গ্রামেতে থাকে আমার
সবুজ শ্যামল মা।
সবুজ পাতার ছাউনি দিয়ে
ঘেরা যেন গ্রাম,
কী যে মায়া আলো ছায়া
জুড়ায় মনো প্রাণ।
পুকুর ঘাটে গাছের নিচে
মায়ের আঁচল পাতা,
সকল দুঃখ যাই যে ভুলে
যখন রাখি মাথা।
সুরা ফাতিহা
বাংলা রূপ:
তানজিনা আঁখি
সব গুণগান তোমার নামে
ওগো মহান রব,
এই পৃথিবীর মন্দ-ভালো
তোমার সৃষ্টি সব।
তুমি অসীম, তুমি মহান
পরম দয়াময়,
তোমার নামে সূর্য উঠে
আবার সন্ধ্যা হয়।
মালিক তুমি বিচার দিনের
তুমি শান্তি দাতা,
সব বিপদে তোমার কাছে
আমরা নোয়াই মাথা।
সহজ-সরল মানুষ হওয়ার
দেখাও সঠিক পথ,
যে পথ ধরে চলছে জ্ঞানী
পাচ্ছে নিয়ামত।
অভিশপ্ত পথটি প্রভু
বন্ধ করে দাও,
পাপী বান্দার এ-মিনতি
কবুল করে নাও।
গ্রামের সকাল
নাজমুল হুদা নাহিন ইসলাম
কিচিরমিচির পাখির ডাকে
সূর্যমামা ওঠে,
গোলাপ জবা নয়নতারা
সকাল বেলা ফোটে।
ছাগল ছানা ছুটে চলে
তিড়িং বিড়িং করে,
কখনো বা মায়ের সাথে
নাচতে নাচতে লড়ে ।
বাবুই পাখি বাঁধে বাসা
বড় তালের গাছে,
বুদ্ধি তাদের সবার সেরা
ছোট্ট মাথায় আছে ।
হাঁসের ছানা গোসল করে
দিঘির শীতল জলে,
এমনি করে গাঁয়ের সকাল
মজার সাথে চলে ।