কবিতা
শাহারুল ইসলাম সুজন’র গুচ্ছছড়া
ইচ্ছে জাগে
খুব করে আজ ইচ্ছে জাগে
পাখির মতো উড়তে-
সাদা মেঘের ভেলায় চড়ে
নীল আকাশে ঘুরতে।
রংধনু সাত রঙের ছোঁয়ায়
রঙিন ছবি আঁকতে-
সূয্যি মামার কাছে গিয়ে
মিষ্টি কিরণ মাখতে।
দূরত্বকে আপন করে
একটু ভালোবাসতে-
দুঃখ-সুখের গল্প বলে
হৃদয় খুলে হাসতে।
বাংলা ভাষা
প্রাণের চেয়ে অধিক প্রিয়
আমার বাংলা ভাষা,
এই ভাষাতেই কথা বলে
মিটাই মনের আশা।
ভাব প্রকাশে বাংলা ভাষা
সব ভাষারই সেরা,
লক্ষ কোটি স্মৃতি দিয়েই
বাংলা ভাষা ঘেরা।
রক্ত মেখে বাংলা ভাষা
গড়ল ইতিহাস,
ভিনদেশিদের হাতে কভু
বাংলা হয়নি দাস।
এই ভাষা তো রবের দেয়া
অনেক বড় দান,
রাখবো অটুট সারাজীবন
বাংলা ভাষার মান।
কুরবানির ঈদ
কুরবানির ঈদ এলো আবার
একটি বছর পরে,
শান্তি-সুখের বইছে বাতাস
মুসলমানের ঘরে।
ধনীগরীব দীন অসহায়
সবাই মিলে আজ,
ঈদগাহেতে শামিল হয়ে
পড়বে রে নামাজ।
নামাজ শেষে সামর্থ্যবান
পশু জবাই দেবে,
তিনটি ভাগের একটি রেখে
বাকিটা বিলাবে।
বিভেদ ভুলে পরস্পরে
রাখবে বুকে ধরে,
করবে পালন আযহার বিধান
আল্লাহ পাকের তরে।
মা
মা যে আমার নয়নমণি সবার সেরা ধন,
ভুবন জুড়ে মায়ের মতো নেই তো কেউ আপন।
জন্ম যেদিন হলো আমার এই ধরনীর বুকে,
ভেজা চোখে আদর দিল আমার ছোট্ট মুখে।
ছেলেবেলায় দিতাম কেঁদে লাগলে পেটে ক্ষুধা,
মা জননী বুকে নিয়ে পান করাতো সুধা।
আমায় ঘিরে স্বপ্ন হাজার পুষে রেখে মনে,
দু'হাত তুলে করে দোয়া প্রতিটা দিন-ক্ষণে।
জীবনেরই প্রতিকূলে কেউ পাশে না থাকে,
মা জননী ছায়া হয়ে আমায় বেঁধে রাখে।
ছোট থেকে করলো বড় হাজার কষ্ট সয়ে,
সারাটা ক্ষণ পাশে ছিল আমার সাহস হয়ে।
দেহ মাঝে প্রাণটা বেঁচে থাকবে যতদিন,
কভু যেনো না হয় মায়ের মুখটা অমলিন।
সবার সেরা জায়গা হলো মায়ের ঐ আঁচল,
জান্নাতি ঘর খুঁজে পাবে মায়ের পায়ের তল।
জোনাকপোকা
জোনাকপোকা! জোনাকপোকা!
একটু শুনে যাও,
কোথায় এতো আলো পেলে
আমায় বলে দাও।
মিলেমিশে চলার দিশা
কেমন করে পাও?
কখনো যে দল ছাড়ো না
আসলে বাধাটাও!
ছোট্ট পাখায় উড়ে চলো
রাতের আঁধার খাও,
মনমাতানো আলোকছটা
রঙিন করো গাঁও।
ভালোবেসে দুচোখ মেলে
আমার পানে চাও,
তুমি আমি বন্ধু হবো
সঙ্গী করে নাও।