রবিবার ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

গরু মারলো লাথি

শামীমা আক্তার সাথী

ঈদুল আযহা এসেছে। কালো সাদা রঙ্গের একটা বিরাট গরু আনলো সোহেল এর বাড়ি। কি যে অহংকার তার। কি এক হৈ চৈ! চারিদিক বলে বেড়াচ্ছে আমার গরুই সেরা। যাচ্ছে দিন, চলছে আয়োজন। রাত-দিন গরুর যতœ নিচ্ছে সে। সেখানে মাঝে মাঝে ভাবছে এত টাকার দামি গরুটা জবাই করে দিয়ে সবাইরে খাওয়াবো ফ্রিতে? তার চেয়ে ভালো মাংস বেশি ভাগ ফ্রিজে রেখে দিবো।

এইভাবে আনন্দে দিন কাটতে লাগলো সোহেলের।

পাশের বাড়ির সাইফুল তার প্রতিবেশি। এত বেশি তার সামর্থ্য নাই দামী গরু আনার। তবুও সে তার সাধ্যমতো অল্প দামে ছোট একটি ছাগল নিয়ে আসলো কুরবানির জন্য। তার কথা একটাই ছোট হোক বড় হক নিজ সাধ্যমতো কুরবানি দেওয়াটাই বড়। এদিকে সোহেল সাইফুলের ছাগল দেখে বলে, এটা দিয়ে কি কুরবানি করবে? কত বা মাংস হবে। সাইফুল বলে, যতটুকুই হোক আল্লাহ খুশি হলেই হলো।

তারপর দিন সোহেল গেলো খুব আনন্দে উল্লাসে তার দামি কালা সাদা রঙ্গের গরুকে চড়াতে মাঠে। কেউ তারে একটু ধরতে গেলেও তার জানি গায়ে কাঁটা লাগে। দুর দুর করে সবাইকে। তাই কেউ তেমন যায় না। দুই দিন পর তো কুরবানি ঈদ। আহা! কি আনন্দে সে গরু চড়াচ্ছে। হঠাৎ এই কি হলো! 

গরু দিলো দৌড়। গরুর দৌড়ে সোহেল সামলাতে গিয়ে পড়লো ধপাস করে। গরু দিলো তারে  উল্টা লাথি। লাথি খেয়ে সোহেল ছিটকে পড়ে কাদামাটিতে। বাচ্চারা তা দেখে সে কি যে দারুণ হাসি।

কাদায় পড়ে সোহেল বলে আমার গরুটাকে ধরো সবাই। তখন ছোট্ট ছেলে একটা বলে উঠে, কে বা ধরবে তোমার গরু। আমাদের তাড়ানোর জন্য। সোহেল বলে- আমার শিক্ষা হয়েছে, আজ সবাই থাকলে আমার এই অবস্থা হতো না। বেচারা উঠতে পারে না। পা মনে হয় ভেঙ্গে গেছে গরুর লাথি খেয়ে। তবে তার গরুকে গ্রামের তরুণ ছেলেরা ধরে তার বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে। এদিকে সাইফুল ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ছাগলটাকে খুব খুশি মনে চড়িয়ে ঘরে নিয়ে যায়।

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ