শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

কবিতা

ছেলেবেলা

রফিকুল নাজিম 

লাল ফড়িংটা ধরতে গিয়ে

নীলটা গেলো কই?

হলুদ ফড়িং কলমি ডগায়

ডাকছে ওলো, সই।

 

রাজা ফড়িং মুচকি হেসে

গোঁফে দিচ্ছে তা,

বিমান ফড়িং ওড়ছে একা

ওড়ছে সাথে ছা! 

 

রাণী ফড়িং লালে সাজে

লাজুক মুখে হাসে,

ফুলের বাগে ফুলে ফুলে

মধুর সুখে ভাসে।

 

ওলো সই, চল্ না যাই

মালতীফুল বাগে,

ফড়িংয়েরা ডাকছে দ্যাখ্

গভীর অনুরাগে।

 

ফড়িং দলে মিশে মোরা

খেলবো মধুর খেলা,

সই পাতাবো ম-া খাবো

আয় রে ছেলেবেলা।

 

ভালো ছেলে

আলমামুন হোসেন 

ভালো ছেলে ছোট্ট খোকা

সকল কথা শোনে,

যায় না তাকে মন্দ বলা

রূপে কিংবা গুণে।

 

ভালো ছেলে সবার আগে

সকাল সকাল ওঠে,

লেখাপড়া শেষ করে নেয়

কথায় পুষ্প ফুটে।

 

ভালো ছেলে তারাই বটে

চলে হিসেব করে,

জীবন গড়তে হয় না কষ্ট 

রয় না পিছন পড়ে।

 

বৃষ্টি 

মোহাম্মদ আফজাল হোসেন মাসুম 

আকাশ জুড়ে মেঘ জমেছে 

আসলো বুঝি বৃষ্টি, 

বৃষ্টি পড়ে টাপুরটুপুর 

আহা মজার সৃষ্টি!

 

টিনের চালে বৃষ্টি পড়ে

মনটা ভরে শুনি,

পদ্ম পাতার বৃষ্টি ফোঁটা 

একে একে গুনি।

 

পুবাকাশ

রেজা কারিম

খুব ভোরে পুব দোরে চেয়ে থাকি রোজ

পুবাকাশ রঙ চাষ করে দেয় পোজ

রঙ রঙ বহু রঙ রঙের বাহার

চারুভাই ছবি আঁকে রঙিলা পাহাড়

কবি লেখে কবিতায় আহা কী আকাশ

ভোরে উঠে আনমনে আকাশে তাকাস

মুহূর্তে মুহূর্তে বদলায় রঙ

মন ভালো হয় দেখে আকাশের ঢঙ

লালে লাল পুবাকাশ কেড়ে নেয় মন

বাকি সবদিকে কোনো নেই আয়োজন

মনে হয় পৃথিবীর সব রঙ নিয়ে

সেজে আছে পুবাকাশ আজ তার বিয়ে।

 

পাখিরা গায় গান

তাইফুর রহমান

গাছে গাছে ফুল ফুটেছে 

পাখিরা গায় গান

চারদিকে রূপের মেলা

ক্ষেতে ভরা ধান ।

 

নীল আকাশে পায়রা উড়ে

দেখতে আমি পাই 

প্রজাপতির মেলা দেখে 

ভালো লাগে ভাই ।

 

দোয়েল, শালিক গান গেয়ে যায় 

পুলকিত মন

চারদিকে চোখে পড়ে 

সবুজ ঘেরা বন ।

 

সুস্বাদু সব ফল খেয়ে যে

শীতল আমার বুক 

ছয়টি ঋতুর রূপ দেখে ভাই 

মনে জাগে সুখ ।

 

সোনার ফসল কাটে চাষি

মাঠে তারা রয় 

নদীর বুকে জেলে ভাইয়ের 

মাছ যে ধরা হয় ।

 

বৃষ্টি পড়ে 

আমীরুল ইসলাম ফুআদ 

বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে

বৃষ্টি পড়ে মাঠে,

বৃষ্টি পড়ে ক্ষেতের আলে

নৌকা বাঁধা ঘাটে।

 

বৃষ্টি পড়ে জল পুকুরে

ভেজে নায়ের মাঝি,

বৃষ্টি পড়ে ভরদুপুরে 

মুচকি হাসে পাজি।

 

বৃষ্টি পড়ে গাছের পাতায়

রিনিঝিনি সুরে, 

বৃষ্টি পড়ে ফুলের মাথায়

আঙিনার অদূরে।

 

বর্ষা নূপুর

জান্নাত মিমি

চারদিকে জলের খেলা

দেখতে দারুণ ফর্সা

জল টুপটুপ বৃষ্টি নূপুর

এলো আবার বর্ষা।

 

কিশোর ছেলে নৌকা নিয়ে

হাওয়ায় খেলে দোল

গ্রামে গ্রামে গন্ধ ছড়ায়

ভেজা কদম ফুল।

 

প্যাঁক প্যাঁক খেলা করে

দল বেঁধে সব হাঁস

ঘ্যাঙর ঘ্যাঙর ব্যাঙে ডাকে

এলে আষাঢ় মাস।

 

নতুন জলের মন আনন্দে

খেলে মাছের পোনা

শাপলা ফোটা বিলের জলে

মাঝির স্বপ্ন বোনা।

 

বৃক্ষ রোপণ

জাকারিয়া আল হোসাইন

এসো তরুণ এসো নবীন

বৃক্ষ রোপণ করি

বৃক্ষসাজে সাজবে এ দেশ

এই স্লোগান ধরি।

 

অকারণে কাটবো না গাছ

কিংবা লতাপাতা

রোদ দুপুরের ক্লান্তি শেষে

বৃক্ষ বড় ছাতা।

 

বাড়ির পাশের বৃক্ষগুলো

যতœ নেবো অতি

বৃক্ষ তো ভাই বন্ধু সবার

করে না কো ক্ষতি

 

এসো এসো পণ করি তাই

বৃক্ষ লাগাই সবে

এতে করে তোমার আমার

বেশ উপকার হবে।

 

ইচ্ছে জাগে

জাহিদ বিন মোস্তফা

আমার মনে ইচ্ছে জাগে 

বিলের ধারে থাকতে,

পাখির মতো মধুর সুরে 

কুহু কুহু ডাকতে।

 

আমার মনে ইচ্ছে জাগে 

আকাশ পানে উড়তে,

মেঘের সাথে সঙ্গী হয়ে

পুরো আকাশ ঘুরতে।

 

আমার মনে ইচ্ছে জাগে 

পাহাড় সমান হইতে,

সবার সাথে মনটা খুলে

সুখের কথা কইতে।

 

আমার মনে ইচ্ছে জাগে 

নদীর স্রোতে চলতে,

নিঝুম রাতে একা ঘরে

মোমের মত জ্বলতে।

 

হতাম যদি 

জিৎ মন্ডল

ঐ দেখ মা বসছে দেখ

প্রজাপতির মেলা,

হাওয়ায় হাওয়ায় ভেসে ওদের

কাটছে কেমন বেলা। 

 

নিষেধ বারণ নেইকো দেখ

নেইকো পড়াশুনা,

যেথায় খুশি যাচ্ছে উড়ে 

মেলে রঙিন ডানা।

 

আমারও মা ইচ্ছে করে 

ওদের মতো উড়তে, 

সারাটাদিন ঘরের কোণে 

মন বসে না পড়তে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ