শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

কবিতা

শিশুদের খুশি 

মুহাম্মদ শহীদুল ইসলাম ফকির

শিশুদের পার্ক আছে

নদীটার পাশে,

তারা সবে খেলা করে

খিলখিল হাসে।

 

নাগরদোলায় চড়ে

ঘুরপাক খায়,

পাহারায় থাকে সদা

বাবা আর মায়।

 

দুপুরের পর থেকে

জমে যায় মেলা,

হইচই করে করে

কেটে যায় বেলা।

 

ছুটাছুটি তারা করে 

আমি সুখ পাই,

শিশুদের খুশি দেখে

ছড়া লিখে যাই।

 

 

ব্যাঙের ছাতা 

হোসাইন মোস্তফা 

রোদ থেকে আর বৃষ্টি থেকে 

দায় বাঁচানো মাথা

ব্যাঙেরা তাই তৈরি করে 

দৃষ্টিনন্দন ছাতা।

 

বৃষ্টি এলেই ছাতার তলে

ব্যাঙেরা গায় গান 

ঘ্যাঁকু ঘ্যাঁকু সুরের তালে

যায় জুড়িয়ে প্রাণ। 

 

হঠাৎ তাকায় ইতিউতি 

চারদিকে খাঁ খাঁ

ছাতা তাদের চুরি গেছে 

আকাশটাও ফাঁকা! 

 

মানুষের প্রতি ব্যাঙদের হয়

রাগ অভিমান খুব 

ব্যাঙের ছাতার রেসিপিতে

খায় মজাদার স্যুপ। 

 

ভরাট করে পুকুর ডোবা

ব্যাঙদের খাসরুম 

ব্যাঙের ছাতার নাম দিয়েছে 

ওরাই তো মাশরুম!

 

ভোরের পাখি 

আসাদুজ্জামান আসাদ

প্রভাত বেলা ভোরের পাখি আল্লাহ নামে ডাকে 

মধুর সুরে আজান শুনি নামাজ পড়ি আগে 

ফুলবাগানে প্রজাপতি মেলে রঙিন ডানা

হিংসা-বিভেদ যাই যে ভুলি দেই না কোনো হানা।

 

চোখের কোণে হাজার স্বপ্ন ঘুরে ফিরে আসে

সুবাসিত ফুলের ঘ্রাণ যে বাতাস হয়ে ভাসে

কুরআন পড়ি সকাল বেলা শান্তি থাকে বুকে 

আল হাদিসে সুখের পরশ থাকি মহা সুখে।

 

টাপুর টুপুর বৃষ্টি

জাহিদুল ইসলাম

টাপুর টুপুর বৃষ্টি

কি অপরুপ সৃষ্টি

ওই দেখ কার যাচ্ছে মামা

গায়ে পড়ে নতুন জামা

ঝোলায় ঝোলে মিষ্টি

টাপুর টুপুর বৃষ্টি

 

ছাতা মাথায়

চটির চটায়

হাঁটছে চটাং চটাং

একটু পরে

পিছলে পড়ে

হল সে চিৎপটাং।

 

সোনামণির ঘুম

মাহমুদুল হাসান মুন্না 

রঙিন ডানার রঙিন পরী

কইরে তোরা আয়, 

সোনামণির ঘুম যে পেল

আদর পেতে চায়।

 

ঘুমপরীরা চোখের পাতায়

দিয়ে গেল চুম,

তাই দু'চোখে নেমে এলো

খুব আদুরে ঘুম।

 

স্বপ্নপরী নিয়ে এলো

ময়ূরপঙ্খী নাও, 

সোনামণি পৌঁছে গেল

ফুলপরীদের গাঁও।

 

চারপাশে ফুল প্রজাপতি

মৃদু বাতাস বয়, 

নিত্য দিনে সোনামণির

তাই ভালো ঘুম হয়।

 

নতুন করে ফুটছে

শফিকুল আলম সবুজ 

সাহস আছে কথা বলার সাহস আছে লড়ার

স্বপ্ন দেখে এই ছেলেটা বাংলাদেশটা গড়ার।

এই ছেলেটাই আগামীকাল হবে দেশের নীতি

তোমরা একটু স্মরণ করো গড়ে উঠার স্মৃতি। 

 

কোথায় ছিলো এই ছেলেটা কোথায় এখন বাস্ত

কত্ত হাজার বার চেয়েছে এই ছেলেটার নাশ?

পারছে বলো- নাশ করিতে? বরং, আরো ছুটছে 

মৃত ফুলের গাছ থেকে সে নতুন করে ফুটছে।

 

প্রশ্ন

আবরার নাঈম 

ছোট্ট খোকা মায়ের কাছে

প্রশ্ন করে কয়,

ফুলের মাঝে বাহারি রঙ

কোত্থেকে যে হয়?

 

বলো না মা এতো সুবাস

কে দিয়েছে ফুলে,

মনমাতানো গন্ধ বিলায়

মৃদু হাওয়ায় দুলে।

 

কার ইশারায় ফোটে কলি

ফুল হয়ে ফের ঝরে,

সকাল থেকে সন্ধ্যা যাবৎ

কার মহিমা স্মরে।

 

খোকার এসব প্রশ্ন শুনে

মুচকি হেসে মা'য়,

আদর মেখে কাছে ডাকে

বলছি খোকা আয়।

 

যার হুকুমের আজ্ঞাবহ

এই পৃথিবীর সব,

তিনি হলেন সবার মালিক

আল্লাহ মহান রব।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ