কবিতা
শিশুর মতো হও
শিশুর মতো হও,
হাজার কথা কও।
শিশুর কথা শোনো,
বর্ণমালা বোনো।
লক্ষ প্রাণের আশা,
কচি মুখের ভাষা।
হাজার গোলাপ ফোটে,
মিষ্টি লোবান ছোটে।
শিশুর কাছে যাও,
উদার চোখে চাও।
বুকের মাঝে নাও,
আদর টুকু দাও।
স্বপ্নলোক
আকাশট্রেন চন্দ্রলোকে
জ্বলছে গ্রহ তারা,
জ্বীন-পরী যে ভয়ে কাঁপে
দৈত্য দিশেহারা।
মেঘের পরে গাড়ি-ঘোড়া
বসত বাড়ি গড়ে,
স্বপ্নপুরে সোনার ফসল
চোখ ঝলসে পড়ে।
মঙ্গল দ্বীপে পশু-পাখি
মুক্তা ঝুরির মাঠ,
পাহাড় টিলা ঝরনা নাচে
স্বর্ণ তুলির হাট।
আকাশট্রেন সূর্যলোকে
যাত্রী হাজার নয়,
বিশ্ব জয়ের মিছিল নামে
সবুজ সাথীর জয়।
দোয়েল ছানা
মাদার গাছে দোয়েল পাখি
বাসায় তিনটি ছানা,
বুকের পরশ ঠোঁটে আহার
দিচ্ছে মুখে খানা।
ছানাগুলো বাসায় বসে
দেখে জগৎটাকে,
সূর্য উঠে চন্দ্র ফোটে
স্বপ্ন মনে আঁকে।
মায়ের পাশে ডানা ঝাড়ে
উড়ায় দুটি পাখা,
নীলাকাশে খুশির নহর
দোলে গাছের শাখা।
আদার পাঁচন
চিকন চিকন আদার পাতা
আদার রসে ঝাল,
পেটের পীড়া বিনাশ করে
পুড়ে উঠে গাল।
মুখের রুচি হজম বাড়ায়
বাতের ব্যথায় জোম,
রক্ত শোধন বক্ষপাঁচন
শীতল ধারায় বোম।
শিশু কিশোর সর্দিকাশি
লবণ আদার কষ,
সবুজ পাতায় হলুদ বাটা
বিষম ফোঁড়ায় যশ।
নগরকুলি
ঝাঁঝাঁ খাঁখাঁ রোদ পড়ে মাথায় টগর,
তাতা ঠাঠা তাপ দাহ জ্বালায় নগর।
নগরের কাঁদামাটি নগরকুলি,
ঝুলকালি সারা গাও কাঁধে যে ঝুলি।
লোনাভূমি নোনা রঙে যত ঝরে ঘাম,
পথে ঘাটে মাটি কাটা কতো তার কাম!
ইস্ ফিস্ ব্যথাতুর ঘুমের জহর,
দিন আনে দিন খায় সুখের কহর।
পান্তাভাত থালে আর কচুঘেঁচু পাতে,
এইভাবে দিন যায় তারা ফোটে রাতে।