শুক্রবার ০১ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

কবিতা

ভূত  

আতিক হেলাল

ভূতে আমার বিশ্বাস নাই

তারপরও ভূত আছে

আকাশ-পাতাল, ভূ-মণ্ডল

বন-জঙ্গল, গাছে। 

 

নাই তবুও ভূত ব্যাটাকে

বাঁচিয়ে রাখে কারা?

ভূত সেজে ভয় দেখিয়ে করে

স্বার্থ আদায় যারা।

 

মানুষই ভূত সাজে আবার 

মানুষই ভয় পায়

কেউবা করে আনন্দ আর 

কেউ করে হায়-হায়। 

 

ভূতটা কোথায়? অন্ধকারে, 

কিংবা ঘরের কোণে?

আমি বলি, নাই সে কোথাও,

ভূত মানুষের মনে। 

 

 

বই

সোহেল আহম্মেদ 

বই কে তুমি বন্ধু বানাও 

বই কে বানাও সাথি,

বইয়ে তোমার মনের ঘরে

জ্বালবে জ্ঞানের বাতি।

 

বইয়ের সাথে থাকো যদি 

সকাল বিকাল সাঁঝে,

বইয়ে সঠিক পথ দেখাবে 

তোমার সকল কাজে।

 

এ দুনিয়ার সফল মানুষ 

জ্ঞানী গুণি যারা, 

জেনে রেখো বইয়ের কাছে 

ঋণী আছে তারা।

 

কাশফুলেরা

আল আমিন মুহাম্মাদ

সূয্যি মামার ঘুমটা ভাঙে

একটু করে দেরি

দুষ্টু মেঘের ছানাপোনা

বেড়ায় করে ফেরি।

 

রোদের গায়ে ঝিরিঝিরি 

বৃষ্টি যখন পড়ে

ভিজে পাতা ঝলকে ওঠে

পাখির ছানা নড়ে।

 

পূর্ণিমাতে শিউলি সুবাস

ভিটেয় নামে পরী

পুকুর জলে চাঁদের নাচন 

ইচ্ছে করে ধরি।

 

দিঘির পাড়ে কাশফুলেরা

নেচে নেচে বলে

সাদা মনের খেলবো খেলা

তোমরা এসো চলে।

 

আমার প্রিয় দেশ

চয়ন্ত বণিক

আমার দেশ ও দেশের মাটি,

এই ভুবনে তার চেয়ে কিছু নাই আর খাঁটি।

আমি তার মাঝেই হারিয়ে যাই,

আমি তার মাঝেই আপনাকে খুঁজে পাই।

 

তার আলো-বাতাস গায়ে মাখি,

হৃদয়ের চিত্রপটে সদা তারই ছবি আঁকি।

রক্তে কেনা আমার এই বাংলাভাষা,

জাগায় যে এই মনে-প্রাণে অতীব আশা।

 

আছে মেঘনাকন্যা তিতাস নদী,

সেথায় সন্তরণ করে পানকৌড়ি নিরবধি।

এই দেশটা আমার কত আপন,

সুখে-শান্তিতে রেখেছে মায়ের মতন।

 

বৃষ্টি ভেজে বক

শামীম খান যুবরাজ

বৃষ্টি এলে কাশের বনে

বক ডেকে যায় বাঁশের বনে

আর পাখিরা চুপ মেরে যায়-

পাশের বনে।

 

বৃষ্টি এলে বকরা খুশি

মাছের ছোটাছুটি,

ছানার জন্য আনা যাবে

দারকিনি আর পুঁটি।

 

 

বৃষ্টি ভেজে বক,

এক দুটো মাছ পেয়ে ডাকে

খুশিতে কক কক।

 

 

বৃষ্টি ও বর্ষা

মাহমুদ সালিম

বর্ষা এলো আমার গাঁয়ে

এলো চতুর্দিক

রোদের কিরণ লাগে ভালো

করেরে ঝিকমিক।

 

সাদাকালো মেঘ জমেছে

নীল আকাশের তল

বৃষ্টি ভেজা রাত দুপরে

জল করে টলমটল।

 

বর্ষা এলেই পুকুর ঘাটে

শাপলা দেখি ভাসে

বৃষ্টি আড়াল হলেই তখন

রোদ মামা যে হাসে।

 

কদম কেয়া জাগছে প্রাণে

জাগছে শালুক পাতা

বর্ষাকালে বৃষ্টি এলেই

লাগে সবার ছাতা।

 

শরৎ 

জান্নাত মিমি

নীল আকাশে শুভ্র সাদা

ভাসে মেঘের ভেলা

নদীর জলে পানকৌড়ির

ডুবসাঁতারের খেলা।

 

সারি সারি নৌকা ভাসে

শাপলা ফোটা বিলে

তীক্ষè চোখে দৃষ্টি ফেলে 

ডানা মেলে চিলে।

 

নদীর ধারে কাশফুলেরা

মৃদু হাওয়ায় দোলে 

শরৎ শরৎ সুবাস ছড়ায়

শিউলি ছাতিম ফুলে।

 

 

বৃষ্টি

রামপ্রসাদ সূত্রধর

মেঘলা আকাশ

শীতল বাতাস

সূর্য হাসে

সবুজ ঘাসে।

টাপুর টুপুর

সকাল দুপুর

বৃষ্টি পড়ে

পাতা নড়ে।

দুষ্টু ছেলে

পড়া ফেলে

ভিজতে আসে বৃষ্টিতে

আনন্দ কী সৃষ্টিতে।

 

বাড়াবাড়ি

শামীম শাহাবুদ্দীন 

মিফতা সোনা ভাত খাবে না

মুখ করেছে ভারি,

এর পেছনের কারণ নাকি

মায়ের খবরদারী।

 

এই করো না সেই করো না

খেলতে গেলেও মানা,

রিমোটটাতে হাত দিলেও

করতে থাকেন না না!

 

এসব কথা শুনলে বাবা

মা খাবে ঠিক ঝাড়ি,

বুঝবে তখন এই আচরণ

নিছক বাড়াবাড়ি।

 

পড়ার সময় পড়ে সে তো

কাজের সময় কাজ,

মায়ের সঙ্গে সব বিরোধের

বিহীত হবে আজ!

 

 

বৃষ্টি মামা 

নূর মোহাম্মদ দীন

ভাল্লাগে না গরম রোদ আর

বৃষ্টি নামুক খুব

ইচ্ছে মতন পুকুর জলে

দিব একটা ডুব।

 

আষাঢ় গেল শ্রাবণও যায়

বৃষ্টি তবু নাই

তার ওপরে লোডশেডিংও

বলো কোথায় যাই?

 

‘আয় না রে আয় বৃষ্টি মামা

আয় রে শহর গাঁয়

একটু পরশ পাই যদি তোর

প্রাণে শান্তি পায়।’

 

সকালবেলা

জহুর মুনিম

সকালবেলার সূর্য মানে

চোখ ধাঁধানো মন জুড়ানো

তাই সকালে জাগলে থাকে

মনটা সারাক্ষণ জুড়ানো।

 

 

রোদ মাখানো মিষ্টি সকাল

জুড়ায় আমার দৃষ্টি সকাল

তাই উঠি ঘুম থেকে

সকালবেলার দৃশ্য রাখি 

ছবির খাতায় এঁকে।

 

 

লক্ষ্য আমার

সোহানুর রহমান আশিক

লক্ষ্য আমার দক্ষ হয়ে

জীবনটাকে গড়ব

মনন মেধার শান বাড়াতে 

বই ম্যাগাজিন পড়ব।

 

লক্ষ্য আমার নাবিক হয়ে

নীল সাগরে ঘুরব

পাখির মতো মুক্ত হয়ে 

আকাশ পানে উড়ব।

 

লক্ষ্য আমার হিমগিরিতে

হিমচূড়াতে উঠব

হিমপ্রবাহের মতো ভেসে

প্রবল বেগে ছুটব।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ