আজ চুয়েটের ২১তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস
দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার একমাত্র উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। ২০০৩ সালে স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা চুয়েট আজ ১লা সেপ্টেম্বর তার গৌরবময় পথচলার ২১তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। মাত্র দুই দশকের পথচলায় চুয়েট আজকে দেশের প্রকৌশল শিক্ষা ও গবেষণার অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয়। যার প্রমাণস্বরূপ যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্ববিখ্যাত কিউএস র্যাংকিংয়ে পরপর দুইবার পেয়েছে ঈর্ষনীয় সফলতা। সর্বশেষ ২০২৪ সালের জন্য প্রকাশিত কিউএস র্যাংকিংয়ে এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৪০১-৪৫০ এর মধ্যে এবং দক্ষিণ এশিয়ার ৯২তম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান অর্জন করেছে। এছাড়া সারাদেশের মধ্যে শীর্ষ ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৫ম, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২য় সেরা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ৩য় সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে র্যাংকিংয়ে স্থান পেয়েছে চুয়েট।
চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার পাহাড়তলি ইউনিয়নের চট্টগ্রাম-কাপ্তাই মহাসড়কের পাশে উনসত্তরপাড়া মৌজায় চুয়েট অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহরের উত্তর-পূর্বে বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে এবং কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে প্রায় ২০ কিলোমটার দূরে এক মনোরম প্রাকৃতিক পাহাড়ি ভূমিতে প্রায় ১৭১ একর জায়গাজুড়ে চুয়েট ক্যাম্পাসের অবস্থান। মনোরম এই ক্যাম্পাসে একইসাথে পাহাড়, সমতলভূমি ও লেকের অপূর্ব সম্মিলন ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ৫ কিলোমিটার আয়তনের মধ্যেই দেশের একমাত্র খরস্রোতা কর্ণফুলী নদী বহমান।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে “চট্টগ্রাম ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ” হিসেবে মাত্র ৩টি বিভাগ এবং ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে পরবর্তীতে ১৯৬৮ সালে “বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি), চট্টগ্রাম” হিসেবে উন্নীত হয়। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে ২০০৩ সালের ১লা সেপ্টেম্বর “চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়” নামে একটি স্বায়ত্তশাসিত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানটি নবরূপে আত্মপ্রকাশ করে। বর্তমানে ১৮টি বিভাগে ৯২০ আসনের (উপজাতি কোটাসহ মোট ৯৩১ আসন) বিপরীতে স্নাতক পর্যায়ে ৪ হাজার ৫০০ জন এবং স্নাতকোত্তর পর্যায়ে আরও ১২০০ জন সবমিলিয়ে মোট ৬ হাজার ছাত্র-ছাত্রী অধ্যায়নরত রয়েছেন। প্রেসবিজ্ঞপ্তি।