কবিতা
পাখির রাজা ফিঙে
হোসাইন মোস্তফা
খুব সাহসী ভীষণ তেজি
পাখির রাজা ফিঙে
হালকা পাতলা গড়ন ধরন
দেখতে টিং টিঙে।
বিশাল বপুর ষাঁড়কেও সে
করে হেলাফেলা
শিঙে বসেই ফিঙে পাখি
করতে পারে খেলা!
কাক-কিংবা ঈগল বলো
পরোয়া নেই কারও
ধাওয়া করে হাওয়ায় উড়ে
দেয় না মোটে ছাড় ও।
বাসার চারদিক জারি করে
ওয়ান ফরটি ফোর
ছানার লোভে হানা দিবে
নাই তো এমন চোর!
আমার গাঁয়ে এসো
মজনু মিয়া
খালে বিলে ছোট মাছ নদী ভরা জল,
গাছে গাছে চারদিক সবুজের ঢল।
ঝুলে আছে গাছে গাছে রসে ভরা ফল,
জলধারা বয়ে চলে নদী কলকল।
সাঁকো আছে নদী পাড়ে তুমি যদি চাও,
দেখে যাও ঘুরে যাও আমার এ গাঁও।
মায়ের আদর ভালোবাসা বুক ভরা খুব,
দেখে দুচোখ জুড়াবে অপরূপ রূপ।
খেলাধুলা মাঠে মাঠে সাঁতারের ঘাট,
বিদ্যালয়ে সুশিক্ষা হয় মজার পাঠ।
পাখপাখালির গানে ভরে যায় মন,
তুমি যদি আসো পাবে সবুজের বন।
পিঠাপুলি
গোলাপ মাহমুদ সৌরভ
চালের গুড়ি তালের রস
মা'র হাতের পিঠা,
ভাদ্র মাসের পিঠাপুলি
খাইতে বড়ো মিঠা।
পাকা তালের মিষ্টি ঘ্রাণ
কি যে ভালো লাগে,
পাকা রসের তালের পিঠা
খেতে যে সাধ জাগে।
মিষ্টি রসের তালের পিঠা
খেয়ে জুড়ায় প্রাণ,
বাড়ি বাড়ি সুবাস ছড়ায়
পাকা তালের ঘ্রাণ।
ইচ্ছে করে
জান্নাত মিমি
ইচ্ছে করে হতে আমার
রাখার ছেলের বাঁশি
ইচ্ছে করে হতে আমার
সূর্য মামার হাসি।
ইচ্ছে করে নতুন জলের
চঞ্চলা মাছ হই
না হয় ভোরের পাখি হয়ে
মনের কথা কই।
ইচ্ছে করে ঘাসের ডগায়
শিশির হয়ে হাসি
আমায় ছুঁয়ে মাঠে যাবে
আমার গায়ের চাষি।
ইচ্ছে করে মেঘের মতো
পাখির মতো উড়ি
ইচ্ছে করে আমি হব
নাটাই ছেড়া ঘুড়ি।
কবি হতে চায় মন
কাজল নিশি
শরৎ এলে ধরার বুকে কাশবনে দেয় দোলা
সাদা মেঘের স্বপ্ন ভেলা, চলে আপন ভোলা।
ঝাঁকবাঁধা সব শালিকেরই, হলুদিয়া ঠোঁটে
শরতেরই আগমনে, নব হাসি ফোটে।
বর্ষা শেষে শরৎ রাণী, কিযে মিষ্টি হেসে
ঘোমটা দিয়ে এলো আমার, সোনার বাংলাদেশে।
খোকাখুকু আঁকছে দেখো, শরতেরই ছবি
রূপ দেখিয়া মনটা আমার, চায় যে হতে কবি।
পড়ব নামাজ
মাহমুদ হাসান ফাহিম
ফজর নামাজ পড়ব মা’গো
সূর্য ওঠার আগে,
আম্মু আমার জাগিয়ে দিয়ো
যখন কেউ না জাগে।
ভুল করো না মা’গো আমায়
ডাকতে গিয়ে শেষে,
পড়ব নামাজ মা’গো তোমার
জায়নামাজটা ঘেঁষে ।
নামাজ শেষে শিখতে যাব
রবের কালাম মা’গো,
আমায় তুমি জাগিয়ে দিয়ো
যখন তুমি জাগো।
ভালো লাগে
প্রিন্স মাহমুদ হাসান
বাতাস হলো শান্ত এখন
বাজছে ঢাক ঐ মেঘে,
উধাও হলে রোদের খেলা
সূয্যি পালায় রেগে।
বনের পাখি ফিরলো ঘরে
ভেজা পালক নিয়ে,
বাদল দিনের খবর এলো
বৃষ্টির ফোঁটা দিয়ে।
সেই খুশিতে কাগজ দিয়ে
নৌকা বানায় খোকা
পুকুর জলে নৌকা এনে
ভাসিয়ে দেয় টোকা।
কদম কেয়ার খুশির দোলায়
হেসে উঠে মনটা,
মুক্তো হয়ে বৃষ্টি নামে
ভালো লাগে ক্ষণটা।