সারাক্ষণ শীত লাগে? বড় রোগের লক্ষণ কি না পরীক্ষা করান
সারাক্ষণ শীত শীত করা আর শীত কালের শীতের মধ্যে কিন্তু পার্থক্য রয়েছে। আমাদের চারপাশে প্রায়ই আমরা এমন অনেককে দেখি, যাদের সারাক্ষণই শীত শীত লাগে। শীত হোক কিংবা গরমকাল, তাদের এই শীত বোধে কোনও তফাৎ নেই। সর্বক্ষণই তারা ঠাণ্ডায় জবুথবু হয়ে থাকেন। অনেকে শীতে কাতর। ব্যাপারটা ঠিক সেটাও নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের শরীরে যখন রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে হয় না, তখন হাত পা ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এমনকী সারাক্ষণ শীত শীত ভাবও লাগতে পারে। এছাড়া রক্ত সঞ্চালন সঠিকভাবে না হলে হৃদরোগেরও শঙ্কা থেকে যায়। তাই এমন লক্ষণ থাকলে কখনওই অবহেলা করবেন না। অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত মাত্রায় একাকীত্ব, বিষন্নতা, ক্লান্তিও ঠাণ্ডা লাগার একটি কারণ। এছাড়াও বলা হয়, মেদ শরীরে গরম ধরে রাখতে সাহায্য করে। তাই যে ব্যক্তির ওজন কম, যার ওজন বেশি তার তুলনায় রোগা ব্যক্তির ঠাণ্ডা বেশি লাগে। বিজ্ঞানীদের মতে, ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের একটু বেশিই ঠাণ্ডা লাগে। তাই শীতকাল ছাড়াও অন্যান্য সময়ে মেয়েদের ঠাণ্ডা-ঠাণ্ডা বোধ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে অতিরিক্ত সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যদি সঠিকভাবে ঘুম না হয়, তাহলে শরীরের তাপমাত্রা পড়তে শুরু করে। শরীরকে সুস্থ রাখতে ঘুম খুবই জরুরি। যা শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। তাই কম ঘুম ঠাণ্ডা লাগার গুরুত্বপূর্ণ একটি কারণ। শরীরে আয়রন খুবই দরকারি একটি উপাদান। রক্তে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে এই আয়রন। তাই শরীরে আয়রনের মাত্রা যদি কমে যায়, তাহলে সবসময় ঠাণ্ডালাগতে পারে। সংকট বেশি মনে হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। অনেক সময় এই শীত শীত লাগা ক্যান্সারের বার্তা দেয়। ফলে বসে থাকলে ক্ষতির কারণ হতে পারে। কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করাই ভাল হবে। তথ্যসূত্র : ইন্টারনেট।