শনিবার ০৯ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল!

গোমস্তাপুর (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) : বর্ষার শেষেই শুরু হয় শরতের রাজত্বকাল। শরৎ বেশ তাৎপর্য বহন করে প্রকৃতি প্রেমি আর ভ্রমণ পিপাসুদের কাছে। শরৎ ঘিরে রয়েছে কাশফুলের চমৎকার মিতালী। রোমাঞ্চে ভরা কাশফুলের নরম শুভ্রতা নিয়ে বরেণ্য কবিদের অসংখ্য কবিতার পঙক্তিমালা মন ছুঁয়ে যাবে যে কারো। শরৎ নিয়ে কবিতা লিখেছেন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কবি নির্মেলেন্দু গুণসহ বিখ্যাত কবিরা। শরৎ মানেই নিল আকাশের নিচে ডানা মেলা পরীর মতো সাদা সাদা কাশফুল। আবহমানকাল থেকে শরৎে জেগে উঠা কাশফুল এখন অনেক নদীতীর কিংবা বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। বিশেষ করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার প্রকৃতিতে কাশফুলের দেখা মেলা কল্পনাতীত। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভিতর দিয়ে প্রবাহিত পদ্মা, মহানন্দা নদীর পাড়ে জেগে উঠা চরে সারিবদ্ধ কাশফুলের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এসব কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিদিনই দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসা পর্যটকদের জটলা লেগেই থাকতো। এখন আর তেমন চোখে পড়ে না। ওই দু'টো নদীর তীর ঘেঁষে জেগে উঠা বালুচরে দেখা মিলে কিছু সাদা কাশফুলের অভয়ারণ্য। যদিও লোকচক্ষুর আড়ালে হওয়ায় এখানকার কাশবন নিয়ে মাতামাতি খুব একটা নেই। সাধারণত নদীর তীর কিংবা গ্রামের উঁচু জায়গায় কাশবনের দেখা মেলে বেশি। তবে নদীর তীরেই কাশফুল বেশি জন্মাতে দেখা যায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ