রবিবার ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
Online Edition

নিউজিল্যান্ডকে ২৫৪ রানে আটকে দেয় বাংলাদেশ

স্পোর্টস রিপোর্টার:বোলারদের কল্যাণে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে ২৫৪ রানে আটকে দিয়েছে বাংলাদেশ। ফলে জয়ের জন্য বাংলাদেশ পায় ২৫৫ রানের টার্গেট। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি সফরকারীরা। ৪৯ দশমিক ২ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে নিউজিল্যান্ড করে ২৫৪ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রান করেন টম ব্লান্ডেল। আরো কম রানে আটকে যেতে পারত দলটি। কিন্তু শেষ চার উইকেটে ৯৫ বলে ৮৮ রান তুলেছেন নিউজিল্যান্ডের লোয়ার অর্ডার ব্যাটাররা। ফলে দলটি পায় ২৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (রাত ৮টা) ৫ উইকেটে ২৪ ওভারে ১০৯ রান নিয়ে ব্যাট করছিল। গতকাল মিরপুর স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টস হেরে প্রথমে বোলিংয়ে নামে বাংলাদেশ। 

প্রথম ওয়ানডের একাদশ থেকে পেসার তানজিম হাসান ও উইকেটরক্ষক ব্যাটার নুরুল হাসানের পরিবর্তে দুই পেসার হাসান মাহমুদ ও খালেদ আহমেদকে মাঠে নামায় টাইগাররা। ব্যাট হাতে নেমে মুস্তাফিজুর রহমানের প্রথম বলেই বাউন্ডারি দিয়ে নিউজিল্যান্ডের ইনিংস শুরু করেন ওপেনার ফিন অ্যালেন। তৃতীয় ওভারে আরেক ওপেনার উইল ইয়ংকে শূন্যতে বিদায় দিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন মুস্তাফিজ। সপ্তম ওভারে  স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ক্যাচ দিয়ে মুস্তাফিজের শিকার হন ১২ রান করা অ্যালেন। অষ্টম ওভারে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেই উইকেট তুলে নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা খালেদ। পুল করতে গিয়ে তাওহিদ হৃদয়কে ক্যাচ দিয়ে খালেদের শিকার হন ১৪ রান করা চ্যাড বোয়েস। এতে ৩৬ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতেই ব্যাকফুটে নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে চাপমুক্ত করতে চতুর্থ উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন হেনরি নিকোলস ও টম ব্লান্ডেল। উইকেটে সেট হয়ে রানের চাকা ঘুরিয়ে ২১তম ওভারে দলের রান ১শতে নেন তারা। ২৬তম ওভারে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন ব্লান্ডেল। অন্যপ্রান্তে হাফ-সেঞ্চুরির অপেক্ষায় ছিলেন নিকোলস। কিন্তু পরের ওভারে খালেদের বলে উইকেটের পেছনে বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাসকে ক্যাচ দিয়ে থামেন নিকোলস, ৬টি চারে ৬১ বলে ৪৯ রান করেন নিকোলস। চতুর্থ উইকেটে ১১১ বলে ৯৫ রান যোগ করেন নিকোলস-ব্লান্ডেল।

নিকোলস ফেরার পর নতুন ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে দ্রুত রান তোলার চেষ্টা করেন ব্লান্ডেল। জুটিতে ২৩ বলে ২৬ রান তুলে ফেলেন তারা। ৩১তম ওভারে হঠাৎ করে স্পিনার মাহেদি হাসানকে ফিরিয়ে এনে সাফল্যের দেখা পান দলপতি লিটন। ১০ রান করা রবীন্দ্রকে শিকার করেন মাহেদি। মাহেদির পর গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন পেসার হাসান। হাফ-সেঞ্চুরির ইনিংসকে বড় করার চেষ্টায় থাকা ব্লান্ডেলকে বোল্ড করেন হাসান। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ৬৬ বলে ৬৮ রান করেন ব্লান্ডেল। ৩৪তম ওভারে দলীয় ১৬৬ রানে ষষ্ঠ ব্যাটার হিসেবে ব্লান্ডেল ফেরার পর লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের দৃঢ়তায় লড়াকু সংগ্রহ পায় নিউজিল্যান্ড। কোল ম্যাককোঞ্চি ও কাইল জেমিসন ২০ রান করে ও অধিনায়ক লুকি ফার্গুসন ১৩ রান করেন। 

ইনিংসের ৪৬তম ওভারের চতুর্থ বলে ইশ সোধিকে মানকাডিং আউট করেন হাসান। থার্ড আম্পায়ার আউট দিলে ১৭ রান নিয়ে মাঠ ছাড়ার পথে থাকেন সোধি। কিন্তু অন ফিল্ড আম্পায়ারের সাথে কথা বলে সোধিকে ফিরিয়ে আনেন লিটন। এতে আবারও ব্যাট করার সুযোগ পান সোধি। সেই সুযোগে খালেদের করা ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে আউট হবার আগে ৩টি ছক্কায় ৩৯ বলে ৩৫ রান করেন  সোধি। ৪ বল বাকী থাকতে ২৫৪ রানে অলআউট হয় নিউজিল্যান্ড। শেষ চার উইকেটে ৯৫ বলে ৮৮ রান পায় কিউইরা। বাংলাদেশের হয়ে  খালেদ ৬০ রানে ও মাহেদি ৪৫ রানে ৩টি করে, মুস্তাফিজ ২টি ও হাসান-নাসুম ১টি করে উইকেট নেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ