মশার কামড়ে শরীর জুড়ে লাল র্যাশ : কমবে কীভাবে?
গরম বাড়তে থাকলে পাল্লা দিয়ে বাড়বে মশার উৎপাত। মশার হুল মাঝেমধ্যেই ইঞ্জেকশনের সুচের চাইতেও মারাত্মক হয়ে যায়। সেই সঙ্গে দেহে প্রবেশ করিয়ে দেয় ফরেন বডি। আর এই ধরনের ফরেন বডির সঙ্গে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা লড়াই করে। আর তার ফলেই ত্বকে দেখা যায় চুলকানি, লাল র্যাশ এবং ফোলাভাব। কিন্তু তা থেকে মুক্তির উপায় কী? জানলে অবাক হবেন, আমাদের হাতের কাছেই বেশ কিছু উপাদান থাকে যেগুলোর সাহায্যে এই ধরনের অস্বস্তিকর উপসর্গ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। আপনার রান্নাঘরেই এমন কিছু উপাদান আছে, যা ত্বকে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে চুলকানি, লাল র্যাশ এবং ফোলাভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সেই সব উপাদানের তালিকায় কী কী রয়েছে? মধু: কামড়ের জায়গায় সামান্য মধু নিয়ে ধীর ধীরে আঙুল দিয়ে বোলান। স্বস্তি পাবেন। অ্যান্টিসেপটিক গুণ রয়েছে মধুর। ফলে প্রদাহ এবং চুলকানি কমাতে সক্ষম মধু। এছাড়া মশার কামড়ে ও চুলকানির চোটে কোনও সংক্রমণ হলে তাও প্রতিরোধ করতে পারে মধু। আর লাল র্যাশ এবং ফোলাভাব বাড়তে দেয় না। অনেকেরই মশা কামড়ানোর জায়গাটা কালো দাগ হয়ে যায়। মধু লাগালে সেই সমস্যাও হয় না। ঠান্ডা টি ব্যাগ: ঠান্ডা গ্রিন টি ব্যাগ নিয়ে লাগাতে পারেন কামড়ের অংশে। গ্রিন টি-এর অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি গুণের কারণে দ্রুত ফোলা ও লাল ভাব কমে যাবে। হ্রাস পাবে চুলকানি। অ্যালোভেরা: অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে অ্যালোভেরায়। ফলে মশার কামড়ের জায়গায় সামান্য মাত্রাতে হলেও অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করলে চুলকানি কমে যায়। আপনার বারান্দায় অ্যালোভরা গাছ থাকলে ভাল হয়। অ্যালোভেরা আজকাল কিনতেও পাওয়া যায়। সূত্র : ইন্টারনেট।