রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Online Edition

স্বামীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ক্ষোভে সতীনকে হত্যা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার বড়গ্রাম এলাকায় গৃহবধূ রোজিনা হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে স্বামীসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । পুলিশ বলছে, স্বামীকে ধর্মান্তরিত করে বিয়ে করার ক্ষোভ থেকে কাচের টুকরা দিয়ে সতীনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- নিহতের স্বামী রঞ্জিত সাহা ওরফে মো. আকাশ (৩১) ও মালা সাহা (২৫)। রোববার কেরানীগঞ্জ থানার খোলামোড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় হত্যায় ব্যবহৃত কাচের টুকরা ও ছদ্মবেশ ধারণের ব্যবহৃত বোরকা উদ্ধার করা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে  লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. মাহবুব-উজ-জামান বলেন, নিহত রোজিনা দেড় বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন রঞ্জিত সাহা ওরফে মো. আকাশ নামের এক যুবককে। সনাতন ধর্ম থেকে মুসলিম হয়ে রোজিনাকে বিয়ে করে কামরাঙ্গীচর এলাকায় বসবাস শুরু করেন। তবে রঞ্জিত সাহার পূর্বের বিয়ে ও প্রথম স্ত্রীর ঘরে সন্তান থাকার তথ্য নিহত রোজিনার কাছে গোপন করেন। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় বিষয়টি আকাশের দ্বিতীয় স্ত্রী রোজিনা জেনে যাওয়ায় পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয়। এই নিয়ে তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় কলহ হতো। রঞ্জিতের প্রথম স্ত্রীর ঘরে ১৫ ও ৮ বছরের দুই সন্তান ছিলো। তবে তিনি তাদের ভরণপোষণ দিতেন না। এ নিয়ে মালা সাহা স্বামীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি দুপুরে নিহতের স্বামী রঞ্জিত ওরফে আকাশ ও তার প্রথম স্ত্রী মালা সাহা মিলে কাচের টুকরা দিয়ে গলাকেটে হত্যা করেন।

লালবাগ বিভাগের ডিসি আরও বলেন, এই ঘটনায় নিহতের বাবা আব্দুর রহিম বাদী হয়ে মামলা করলে তদন্তে নেমে মাত্র ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে হত্যায় জড়িত ঘাতক ও নিহত রোজিনার স্বামী ও প্রথম স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডিসি মাহবুব বলেন, রোজিনাকে হত্যা করতে গোলাপী রংয়ের বোরকা ও কালো রঙয়ের হিজাব পরে ছদ্মবেশে হত্যা করে। এরপর তারা কেরানীগঞ্জ থানার খোলামোড়া এলাকায় গিয়ে আত্মগোপন করে।

পুলিশ জানায়, ভিকটিম রোজিনার লাশ উদ্ধার হলে তার বাবা আ. রহিম বাদী হয়ে কামরাঙ্গীরচর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তে ওই বাসার আশেপাশের প্রায় ৫০-৬০টি সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেন। পরবর্তীতে সন্দেহভাজন হিসেবে মূল আসামী মালা সাহা ও আকাশ ওরফে সঞ্জিত সাহাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার আসামীরা কৌশলে ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি এড়িয়ে যায়। পরবর্তীতে বিভিন্ন কলাকৌশল ও ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকা-ের কথা স্বীকার করে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ