রবিবার ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪
Online Edition

রেল করিডোর : ভারত পাচ্ছে নিরাপত্তার সুবিধা আর বাংলাদেশ পাচ্ছে নিরাপত্তার হুমকি

আসিফ আরসালান

বাংলাদেশের ১ ইঞ্চি জমিও ব্যবহার করে ভারতকে রেল করিডোর দিতে দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন। তিনি বলেন, দেখবেন ধনীরা প্রাইভেট গানম্যান রাখে। তেমনি এই সরকারেরও বাংলাদেশের বাইরে প্রাইভেট গানম্যান বাহিনী আছে। সেটি হচ্ছে ভারত। ওই ভারত এই সরকারকে রাখে। তিনি বলেন, ভারত যখন এই সরকারকে বলে, তুমি ভোটে পাস করোনি, তোমাকে তোমার দেশের জনগণ চায় না, তোমার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ, তুমি গণতন্ত্র দাও না, মানবাধিকার হরণ কর, তোমাকে কেউ পছন্দ করে না। তারপরও তুমি বলছো তোমাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। তাহলে তো তোমাকে আমাদের ফি দিতে হবে। আদানী কোম্পানির কাছ থেকে তোমাকে দুই-তিনগুণ বেশি দামে বিদ্যুৎ নিতে হবে। ২৫ বছর বিদ্যুৎ নিতে হবে। না নিলেও ভারতের কোম্পানিকে টাকা দিতে হবে। ইতোমধ্যে ১২শ’ কোটি টাকা পেমেন্ট করেছি। মনে হচ্ছে ভারত লুটপাট করবে এ জন্য বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্র হয়েছে। এখানে সাহায্য করছে বর্তমান অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার।

ওপরের এই কথাগুলি আমাদের নয়। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ড. আসাদুজ্জামান রিপন সম্প্রতি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সমাবেশে যা বলেছেন সেটি একটি বাংলা জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা পত্রিকান্তরে প্রকাশিত রিপোর্টের অংশ বিশেষ ওপরে হুবহু তুলে দিলাম। বিএনপির এই ভাইস-চেয়ারম্যান আরও বলেন, ভারত এখন নতুন করে আবদার করেছে, বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ৮৬১ কিলোমিটার রেললাইন নেবে। এটা কি চিন্তা করা যায়? আমি কেন জমি দেব? আমার তো দরকার নেই। শুধুমাত্র ভারতের সুবিধার জন্য আমি কেন তোমাকে রেল লাইন দেব? বাংলাদেশের এক ইঞ্চি জায়গা ব্যবহার করে ভারতীয় রেল এখানে চলতে পারবে না। আমাদের সমুদ্রসীমায় ভারতীয় কোনো রাডার থাকবে না।

প্রিয় পাঠক, ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া সম্পর্কে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত বিএনপির অন্যতম নেতা আসাদুজ্জামান রিপনের বক্তব্যের একটি বড় অংশ উপরে হুবহু তুলে দিলাম। কারণ এই মুহূর্তে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে জ¦লন্ত সমস্যা। বিএনপি এবং জামায়াত তো ভারতকে করিডোর দেওয়া সম্পর্কে অতীতেও কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ করেছে। তখন কিন্তু স্থল ও নৌ করিডোর দেওয়া হলেও রেল করিডোর দেওয়া হয়নি, বিশেষ করে পণ্যবাহী মালগাড়ি রেল করিডোর। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ জুন ভারত  সফরে গিয়ে সেটিও দিয়ে আসলেন। অতীতে করিডোর দেওয়ার বিরুদ্ধে বিরোধী দলসমূহ যত না জোরে সোরে প্রতিবাদ করেছে তারচেয়ে আরো বহুগুনে শক্ত ভাষায় এবার বিএনপি রেল করিডোরের প্রতিবাদ করেছে। গণতন্ত্র মঞ্চের শরিক আ স ম আব্দুর রবের জেএসডি, মাহমুদুর রহমান মান্নার নাগরিক ঐক্য, সাইফুল হকের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি এবং জোনায়েদ সাকির গণসংহতি আন্দোলনকে অতীতে করিডোর বা ভারত সম্পর্কে সরব হতে দেখা যায়নি। এই চারটি দলকে ডান ও বামের মধ্যপন্থী দল হিসেবে গননা করা হয়। কিন্তু এবার তারাও উচ্চ কন্ঠে প্রতিবাদ করছেন। এমনকি মস্কোপন্থী দুটি দল সিপিবি এবং বাসদও বিএনপি জামায়াত বা গণতন্ত্র মঞ্চের মতো উচ্চকন্ঠ ও কঠোর ভাষায় প্রতিবাদ না করলেও এই রেল করিডোরকে তারা সমর্থন করেনি। তবে এখন পর্যন্ত কেউ এই কথা বলেনি যে বাংলার বুকের ওপর দিয়ে রেল করিডোর দেবো না। এক্ষেত্রে বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. আসাদুজ্জামান রিপনই এই প্রথম কোনো রাখঢাক না করে সরাসরি বললেন যে বাংলাদেশের মাটির ওপর দিয়ে ভারতকে রেল করিডোর দেওয়া হবে না। 

শেখ হাসিনার ২১ জুন দিল্লী সফরের সময় পশ্চিমবঙ্গের গেদে থেকে বাংলাদেশের দর্শনা ও চিলাহাটি হয়ে পশ্চিমবঙ্গের হলদিবাড়ি পর্যন্ত গুডস ট্রেন অর্থাৎ পন্যবাহী ট্রেন করিডোর দেওয়া হয়েছে। এটি রেল পথে একটিমাত্র করিডোর নয়। এ পর্যন্ত চলমান এবং শীঘ্রই চালু হবে এমন ১২ টি রেল করিডোর দেওয়া হবে। এই ১২ টি রেল করিডোরের বিস্তারিত অনেকে জানেন না। তাদের জন্য বিভিন্ন রুটের বিস্তারিত বিবরণ নীচে দেওয়া হচ্ছে। 

॥ দুই ॥

বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তারা জানান, মোট ১২টি রুট দিয়ে ভারতের ট্রেন বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। আপাতত যেসব রুট তৈরি আছে এবং যেগুলো তৈরি করা হবে সেগুলো হলো, 

(১) বালুরঘাট (ভারত)-হিলি-পার্বতীপুর-কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলহাট-গীতালদহ (ভারত) ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এই রেলপথে ১৪ কিলোমিটার হবে নতুন রেললাইন এবং ১৮ কিলোমিটারের গেজ পাল্টানো হবে। বালুরঘাট (ভারত)-গীতলদহ-বামনহাট-সোনাহাট-গোলকগঞ্জ-ধুবরির (ভারত) দৈর্ঘ্য হবে ৫৬ কিলোমিটার, যার মধ্যে ৩৮ কিলোমিটার হবে নতুন রেললাইন এবং ১৮ কিলোমিটার হবে গেজ রূপান্তর। 

(২) বালুরঘাট (ভারত)-হিলি-গাইবান্ধা-মহেন্দ্রগঞ্জ-তুরা-মেন্দিপাথর (ভারত) রুটে ২৫০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে।

(৩) মঙ্গুরজান (ভারত)-পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-হলদিবাড়ি (ভারত) রুটে ৬০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন নির্মাণ করা হবে। 

(৪) ডালখোলা (ভারত)-পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-হলদিবাড়ি (ভারত) রুটে ৮০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন হবে।

(৫) রাধিকাপুর (ভারত)-বিরল-পার্বতীপুর-কাউনিয়া-গীতলদহ (ভারত) রুটের দৈর্ঘ্য হবে ৩২ কিলোমিটার, যার মধ্যে ১৪ কিলোমিটার নতুন রেললাইন এবং ১৮ কিলোমিটার হবে গেজ রূপান্তর।

(৬) গেদে (ভারত)-দর্শনা-ঈশ্বরদী-টঙ্গী-ভৈরববাজার-আখাউড়া-আগরতলা (ভারত) রুটে ১০০ কিলোমিটার গেজ রূপান্তর করতে হবে। 

(৭) পেট্রাপোল (ভারত)-বেনাপোল-নাভারন-যশোর-রূপদিয়া-পদ্মবিলা-লোহাগাড়া-কাশিয়ানী-শিবচর-মাওয়া-নিমতলা-গেন্ডারিয়া-ঢাকা-টঙ্গী-ভৈরববাজার-আখাউড়া-আগরতলা রুটে ১২০ কিলোমিটার গেজ রূপান্তরের প্রয়োজন হবে।

(৮) বালুরঘাট (ভারত)-হিলি-পার্বতীপুর-কাউনিয়া-লালমনিরহাট-মোগলহাট-গীতালদহ (ভারত) রুটটি ৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ। এখানে ১৪ কিলোমিটার বরাবর ট্র্যাক স্থাপন করতে হবে এবং বাকি ১৮ কিলোমিটারের জন্য গেজ রূপান্তর করতে হবে।

(৯) বালুরঘাট (ভারত)-হিলি-গাইবান্ধা-মহেন্দ্রগঞ্জ-তুরা-মেন্দিপাথারের মতো কয়েকটি রুট আছে, যেখানে ২৫০ কিলোমিটারের পুরো অংশে নতুন রেল ট্র্যাক স্থাপন করতে হবে। 

(১০)ডালখোলা-পীরগঞ্জ-ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়-হলদিবাড়ি অংশে ৮০ কিলোমিটার নতুন রেললাইন হবে।

(১১) সবর্শেষ, গেদে-চিলাহাটি-দর্শনা-হলদিবাড়ি। 

॥ তিন ॥

বাংলাদেশের নিকট থেকে ভারত যে করিডোর পেয়েছে এবং পেতে যাচ্ছে তার ফলে ভারতের যে সুযোগ সুবিধা এবং লাভ হবে সেটি হবে অকল্পনীয়। একদিকে তাদের দূরত্ব অর্ধেকেরও বেশি কমে যাবে। অন্যদিকে সময়ও অর্ধেকেরও কম লাগবে। দূরত্ব এবং সময় অস্বাভাবিকভাবে কম লাগায় তাদের খরচও অস্বাভাবিক রকম কমে যাবে। 

ভারতের ইকোনমিক টাইমসের এক রিপোর্টে বলা হয়, কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি-গুয়াহাটি হয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার দূরত্ব ১ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। কিন্তু কলকাতা-টঙ্গী-আখাউরা-আগরতলা রুট ব্যবহার করলে দূরত্ব হবে মাত্র ৫০০ কিলোমিটার। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, বর্তমানে আগরতলা-কলকাতা রুটে যাত্রীবাহী ট্রেনের সময় লাগে ৩৬ ঘণ্টা। কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রস্তাবিত রুটে ট্রেন চললে লাগবে ১০ ঘণ্টার কম। অর্থাৎ সময় কমে যাবে কমপক্ষে ২৬ ঘণ্টা। 

ভারতের পশ্চিমের রাজ্যগুলো থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে। ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৬৮০ কিলোমিটার। আর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলার দূরত্ব মাত্র ২৪৮ কিলোমিটার। অর্থাৎ দূরত্ব কমে যাবে ১ হাজার ৪৩২ কিলোমিটার। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ১৫০ কিলোমিটার হলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এ দূরত্ব ৫৭০ কিলোমিটার। অর্থাৎ দূরত্ব কমে যাবে ৫৮০ কিলোমিটার। মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ৬৫৫ কিলোমিটার আর কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৫৫০ কিলোমিটার। এখানে দূরত্ব কমে যাবে ৮৯৫ কিলোমিটার। নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ৮৮০ কিলোমিটার হলেও কলকাতার দূরত্ব ১ হাজার ৪৫০ কিলোমিটার। এখানে দূরত্ব কমবে ৫৭০ কিলোমিটার। সুতরাং কল্পনা করুন, সেভেন সিস্টার্সের ৭ টি রাজ্যের সাথেই শত শত এবং ক্ষেত্র বিশেষে হাজার মাইল দূরত্ব কমে যাবে বাংলাদেশের করিডোরের বদৌলতে। এরফলে তাদের সাশ্রয় হবে হাজার হাজার কোটি টাকা।

॥ চার ॥

এর বিপরীতে কি পাচ্ছে বাংলাদেশ? বলতে গেলে কিছুই না। দক্ষিণ এশিয়ার একজন রাষ্ট্র নায়ক বলেছিলেন, ভারত প্রতিবেশীকে যে সুবিধা দেয় তাকে তুলনা করা যেতে পারে চীনা বাদামের সাথে। বাংলাদেশের নাকি বেনিফিট হবে। এর আগে তো সরকারের একাধিক মন্ত্রী বলেছেন যে ভারতকে করিডোর দিলে নাকি বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর হয়ে যাবে। স্থল ও নৌ করিডোর তো ২০১০ সালেই দেওয়া হয়েছে। তারপর ১৩ বছর গেছে। এই ১৩ বছরে বাংলাদেশ ভারতের নিকট থেকে টোল বা মাশুল বাবদ কত কোটি টাকা পেয়েছে? ১৩ বছরেও সরকার এই হিসেব দেয়নি। দিতে পারবেও না। কারণ সরকারের অন্যতম উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান বলেছেন যে রাস্তা ভাড়া দিয়ে শুল্ক আদায় নাকি ভদ্রতার বাইরে। এসব ভদ্রতা শিষ্টাচার দ্বিপাক্ষিক বা ত্রিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কে খাটে না। এখানে যা কিছুই হয় তার সবই হয় দেওয়া নেওয়ার ভিত্তিতে। এখন যদি বাংলাদেশ ভারতের নিকট থেকে চীনা বাদাম পেয়ে থাকে তাহলে তারা সেটা বলবে কোন মুখে? 

॥ পাঁচ ॥

ভারতের নিকট থেকে করিডোরের বদলে বাংলাদেশের কিছু পাওয়া বাতুলতা মাত্র। বরং বাংলাদেশ এই করিডোরের মাধ্যমে নিজের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে বিরাট হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যেসব রাজ্যে দীর্ঘদিন ধরে অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেসব অঞ্চলে ভারত হয়তো এই রেলপথ ব্যবহার করতে চাইবে। 

এসব রাজ্যে অতীতে ভারতীয় নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সংঘাতও হতে দেখা গেছে। অন্যদিকে চীন-ভারত সীমান্তেও বিভিন্ন সময় সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হতে দেখা গেছে।’ তৌহিদ হোসেন আরও বলেন, ‘এমন সংঘাতময় পরিস্থিতিতে বা দুঃসময়ে ভারত অবশ্যই এসব ট্রানজিট রুট ব্যবহার করতে চাইবে এবং সেটিই দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের জন্য দুশ্চিন্তার সবচেয়ে বড় কারণ হয়ে উঠতে পারে।’ 

বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির বলছেন, ট্রানজিট দেওয়ার পর সেটির ওপর বাংলাদেশ কতটুকু নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে, সেটির ওপরেই নিরাপত্তা হুমকির বিষয়টি অনেকাংশে নির্ভর করবে। ট্রানজিটে যদি শুধু পণ্য পরিবহনের কথা বলা থাকে, তাহলে সেটি ছাড়া ট্রেনে অন্য কিছু আনা-নেওয়া করা হচ্ছে কি না, সেটি যদি ঠিকমতো না দেখা হয় বা সেটির নিয়ন্ত্রণ যদি বাংলাদেশের হাতে না থাকে, তাহলে তো সমস্যা হতেই পারে।’

বাংলাদেশের সামনে সমূহ বিপদ। আর এই বিপদকে স্বেচ্ছায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বিপদকে বাংলাদেশের মানুষ জামাই আদরে বরণ করবে না। বিএনপি নেতা আসাদুজ্জামান রিপনের কথা অনুযায়ী বাংলাদেশের এক ইঞ্চি ভূমিকেও করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবে না। কিন্তু সেকথা সিম্পোজিয়াম সেমিনারে বললেই কি হবে? এজন্য চাই সক্রিয় কর্মসূচি। 

Email: [email protected]

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ