শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

এইচটি ইমামের বক্তব্যে স্পষ্ট ৫ জানুয়ারি নির্বাচন হয়নি -ডা. শফিকুর রহমান

প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ.টি ইমামের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল ডা. শফিকুর রহমান গতকাল শুক্রবার বিবৃতি দিয়েছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসন বিষয়ক উপদেষ্টা এইচ.টি ইমাম গত ১২ নবেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ছাত্রলীগের সমাবেশে বিসিএস-এ ভাইভা পরীক্ষা ছাড়াই ছাত্রলীগের ক্যাডারদের বিসিএস ক্যাডারে চাকরি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। একই সাথে গত ৫ জানুয়ারির ভোট ডাকাতির নির্বাচনের চালচিত্র তুলে ধরার মাধ্যমে প্রহসনের নির্বাচনের বিরোধী দলের বক্তব্যকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিনি নিজেকে আত্মস্বীকৃত দুর্নীতির একজন গডফাদার হিসেবে জাতির সামনে চিহ্নিত করেছেন। তিনি ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী ক্যাডারদের নিয়োগ দিয়ে সরকারি প্রশাসনকে কলুষিত করেছেন এবং প্রশাসনে কর্মরত আওয়ামী লীগের ক্যাডারদের দিয়ে ৫ জানুয়ারির ভোট ডাকাতির নির্বাচন করিয়ে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন। তার কথায় জাতির সামনে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, গত ৫ জানুয়ারি দেশে কোন নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের নামে সন্ত্রাস, খুন ও ভোট ডাকাতি হয়েছে। ভোট ডাকাতির নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদ ও সরকারের কোন বৈধতা নেই। তাদের ক্ষমতায় থাকারও কোন অধিকার নেই।
তিনি বলেন, এইচ.টি ইমাম টিএসসিতে ছাত্রলীগের সমাবেশে, নির্বাচনের সময় পুলিশ ও প্রশাসনকে নগ্নভাবে ব্যবহার করার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ‘আমি তো প্রত্যেকটি উপজেলায় কথা বলেছি, সব জায়গায় আমাদের যারা রিক্রুটেড তাদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরকে দিয়ে মোবাইল কোর্ট করিয়ে আমরা নির্বাচন করেছি। তারা আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে, বুক পেতে দিয়েছে’ মর্মে যে বক্তব্য রেখেছেন তার দ্বারাই প্রমাণিত হয় যে, গত ৫ জানুয়ারি ভোটারবিহীন ভোট ডাকাতির নির্বাচনে তিনি প্রশাসনে তার রিক্রুট করা আওয়ামী ক্যাডারদের দিয়ে কিভাবে ভোট ডাকাতি করে দেশের জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন। গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে শতকরা ৫ ভাগ ভোট কাস্ট হওয়ার দৃশ্যটিও এইচটি ইমামের বক্তব্যের মাধ্যমে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে। কোন দিক থেকেই এ নির্বাচনের কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই।
তিনি বলেন, এইচ.টি ইমাম সরকারের ভোট ডাকাতি, কেন্দ্র দখল, জালিয়াতি ও জনগণের ন্যায্য ভোটাধিকার হরণ করে  দলীয় ক্যাডার ও আজ্ঞাবহ প্রশাসনের মাধ্যমে ক্ষমতা জবরদখল করার ঘোষণা দিয়ে নিজেদেরকে আত্মস্বীকৃত ক্ষমতা জবরদখলকারী, চরম দুর্নীতিবাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ দখলবাজ সরকারের আর এক মুহূর্তও ক্ষমতায় থাকার কোন অধিকার নেই। তিনি দুর্নীতিবাজ উপদেষ্টা ও অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকারের এই মুহূর্তে পদত্যাগ দাবি করেন। তিনি দেশবাসীকে এ অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ