ঢাকা, রোববর 19 May 2024, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী
Online Edition

সিদ্দিকুরের হাতে বাংলাদেশের পতাকা

অনলাইন ডেস্ক: নানা সমালোচনা আর বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে শুরু হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়াযজ্ঞ অলিম্পিক গেমস। এবারের আসরে ২০৬টি দেশ ও শরণার্থীদের একটি দল অংশ নিচ্ছে। উদ্বোধনের পরপরই প্রতিটি দেশের ক্রীড়াবিদরা স্টেডিয়ামে হাজির হন নিজ দেশের পতাকা হাতে।

বাংলাদেশের পতাকা বহন করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান। বাংলাদেশ থেকে এবারই প্রথমবারের মতো সরাসরি অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন সিদ্দিকুর।

৩১তম অলিম্পিকের এই মহা ক্রীড়া-আসরের শুরুটা হলো ঠিক যেভাবে আয়োজকরা চেয়েছিলেন সেভাবেই। ছিল ব্রাজিলিয়ান ইতিহাসের প্রদর্শনী ও ঐতিহ্যের নিদর্শন, আরো ছিল আমাজনীয়দের সভ্য হয়ে ওঠার গল্পও। শিল্প, সংস্কৃতির স্বরূপ বর্ণনা থেকে বিশ্ব পরিবেশে যে বিপর্যয় ঘটছে তাও দেখানো হয়েছে এই আড়ম্বরপূর্ণ উদ্বোধনীতে।

বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়ছে। গলছে বরফ, টিকে থাকাই হয়ে উঠছে কঠিন থেকে কঠিনতর। সেখানে হাজারো প্রতিকূলতা পাশ কাটিয়ে অঙ্কুরোদগম হলো একটি ছোট বৃক্ষের। এ যেন ব্রাজিলে অলিম্পিক আয়োজনেরই গল্পের প্রতীকী রূপ। শত কাঠিন্যেও সফল হবার প্রমাণ।

নিজের বিশালতার মাঝে ব্রাজিলের শত সহস্র বছরের ঐতিহ্য লালন করে আমাজন। সেই আমাজনীয় সভ্যতার কালের বিবর্তনে সভ্য হয়ে ওঠার রূপক প্রদর্শনী দিয়ে শুরু হয় রিও মহাযজ্ঞের।

এর আগে স্বাগতিক দেশের বিজ্ঞাপন স্বরূপ ব্রাজিলের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে ও পতাকা উত্তোলন করে শুরু হয় আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

প্রাকৃতিক ও পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে হৃদয় নাড়ানো এক প্রদর্শনীর পর শুরু হয় অ্যাথলিটদের মাঠে ঢোকা। মারাকানার বুক জুড়ে শত সহস্র অ্যাথলিটদের মাঝে
শুধু পরিবেশ বিপর্যয় নিয়ে কথার তুবড়ি ছোটানো নয়, প্রত্যেক অ্যাথলিটের হাতে একটি করে গাছের চাড়া তুলে দেয়া হয় যা তারা নিজেরাই রোপণ করবেন। সে হিসেবে মোট বৃক্ষ রোপণ হবে ১২ হাজার, আর যার মধ্যে থাকবে ২০৮ প্রজাতির গাছ।

এই গেমসের পাঁচটি ইভেন্টে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের সাতজন ক্রীড়াবিদ। সিদ্দিকুর ছাড়াও বাংলাদেশ থেকে অলিম্পিকে অংশ নিচ্ছেন শ্যামলী রায় (আর্চারি), আব্দুল্লাহ হেল বাকি (শ্যুটিং), মাহফিজুর রহমান (সাঁতার), সোনিয়া আক্তার (সাঁতার), শিরিন আক্তার (অ্যাথলেটিকস) ও মেজবাহ আহমেদ (অ্যাথলেটিকস)।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ