শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

মিরসরাইয়ে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের দুর্ভোগ

মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা: মিরসরাইয়ে বাজারে লাগামহীন হয়ে পড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। প্রতিটি পণ্যের দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। কোনভাবেই কমছে না এসব দ্রব্যের মূল্যে। সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে প্রতিটি পণ্যের দাম। এক মাসের ব্যবধানে চালের দাম কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিটি নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের বাজারের দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি। কোনভাবেই কমছে না প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন খেটে খাওয়া মানুষেরা। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রসুনের বর্তমান বাজার মূল্য প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা, কাচা মরিচ ১৪০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ টাকা, করলা ৫৫ টাকা, ফুলকপি ১২০ টাকা, কচু ৫০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা একই সাথে বেড়েছে বিভিন্ন শাক-সবজির দাম। গত কয়েক দিনেই বেড়েছে ডালের দাম। মসুর ১২৫-১৩০ টাকা, মুগ ৭০-৭৫ টাকা, ছোলা ৬৫-৭০ টাকা, শুকনা মরিচ ২শ’ টাকা। চালের বাজারে ঘুরে দেখা গেছে, চিনিগুঁড়া প্রতি বস্তা (৫০ কেজি) ৪৩-৪৭শ’ টাকা), কাটারী ভোগ ২২-২৮শ’, পাইজাম আতপ ১৮-১৯শ’, পাইজাম ও পারিসিদ্ধ ১৯৫০ টাকা, মিনিকেট আতপ ২১০০শ’, মিনিকেট সিদ্ধ ১৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বড়দারোগাহাট বাজারে বাজার করতে আসা মধ্যম ওয়াহেদপুর এলাকার সাইফুল ইসলাম জানান, কাঁচাবাজারের কোন তরকারীর দাম কেজি প্রতি ৫০ টাকার নিচে নেই। যার ফলে তার মতো অল্প আয়ের লোকদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। দিনমজুর ওবায়দুল হক বলেন, বর্তমানে সাধারণ মানুষ বাজার করতে গিয়ে অল্প কিছু কিনেই বাড়ি ফিরে যাচ্ছে। এতে করে সংসার চালাতে চরম বেগ পেতে হচ্ছে। সবজি বাজারে গেলে দোকানীরা বলেন, গড়ে ৫০ টাকার নিচে কোন সবজি নাই। উচ্চমূল্যে তারা কাচা তরকারী কিনছেন তাই তাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
বাজার ঊর্ধ্বগতির জন্য সবজি বিক্রেতারা আমদানীকে দায়ী করলেও বাজার মনিটরিং না হওয়াকে দায়ী করছেন ক্রেতারা। তাদের দাবী এখন সবজির আমদানী অনেক বেশি কিন্তু বাজার মনিটরিং না থাকায় দাম বেশি নিচ্ছে বিক্রেতারা। পর্যাপ্ত পরিমাণ আমদানির পরও বাজারে কৃত্রিমভাবে এমন পরিস্থিতি সৃষ্ট করেছে ব্যবসায়ীরা। বাজার করতে গিয়ে চরম বিপাকে পড়ছে দিন এনে দিন খাই এমন লোকজন। বারইয়ারহাট বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক হেদায়েত উল্লাহ বলেন, কিছু অসাধু ব্যবসায়ী বেশি লাভের আশায় পণ্যে বেশি দামে বিক্রি করছেন। আমরা খুব শীঘ্রই বাজারে মনিটরিং করবো যাতে কেউ অতিরিক্র দামে বিক্রি করতে না পারে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ