মিরসরাই ও কুষ্টিয়ায় বন্দুকযুদ্ধে ৫ ডাকাত নিহত
সংগ্রাম ডেস্ক : মিরসরাই ও কুষ্টিয়ায় পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৫ ডাকাত নিহত হয়েছে। এর মধ্যে মিরসরাইয়ে ৩ ডাকাত নিহত ও অস্ত্র উদ্ধার এবং কুষ্টিয়ায় ২ ডাকাত নিহত হয়েছে।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে টহলের সময় ডাকাতের কবলে পড়েছে র্যাব-৭ এর একটি দল। ডাকাত দল র্যাবের টহলরত মাইক্রোবাসে হামলা চালিয়ে গাড়ির চাকা ফুটো করে দেয়। পরে র্যাব সদস্যরা গাড়ি থেকে নেমে পাল্টা হামলা চালায়। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বেশ কয়েক রাউন্ড গুলী বিনিময় হয়। গোলাগুলীর একপর্যায়ে তিন ডাকাত নিহত হয়েছে। একই ঘটনায় র্যাবের দুই সদস্যও আহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৮অক্টোবর) রাত আড়াইটার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার ১৫ নং ওয়াদেহপুর ইউনিয়নের নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র থেকে চারশ গজ দক্ষিণে কমলদহ বাইপাসে এলাকায় এঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ডাকাতদের ব্যবহৃত ৩টি বিদেশী পিস্তল, ২টি ওয়ান সুটার, ৫ রাউন্ড কার্তুজ, ডাকাতি করা স্বর্ণালংকার, ১১ হাজার টাকা ও মহিলাদের দুইটি হাত ব্যাগ উদ্ধার করেছে র্যাব। শনিবার ভোর ৫টায় মিরসরাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। তবে নিহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
চট্টগ্রাম র্যাব-৭এর এডি (মিডিয়া) চন্দন দেবনাথ জানান, শুক্রবার রাতে র্যাবের টহলরত একটি মাইক্রোবাস ফেনী থেকে চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার পথে নিজামপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর দক্ষিণে কমলদহ বাইপাস এলাকায় ডাকাতদল তাদের সাধারণ যাত্রী ভেবে আটকেছিলো। গাড়ি থামিয়ে চাকা পাংচার করে দেয়। এ সময় র্যাব ডাকাতদের প্রতিরোধে গুলী ছুঁড়লে ডাকাতরাও পাল্টা গুলী ছুঁড়ে। দুই পক্ষের গুলী বিনিময়ে ঘটনাস্থলে তিন ডাকাত মারা যায় এবং র্যাবের দুই সদস্য আহত হয়। ঘটনাস্থল থেকে র্যাব ডাকাতদের ব্যবহৃত অস্ত্র ও স্বর্ণালংকার উদ্ধার করেছে। পরে নিহতদের লাশগুলো মিরসরাই থানা পুলিশ উদ্ধার করে। তিনি জানান, নিহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
থানার উপ-পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম পিপিএম জানান, র্যাব-৭ চট্টগ্রামের সাথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কমলদহ বাইপাস এলাকায় ডাকাতদের বন্দুক যুদ্ধে তিনজন নিহত হয়। র্যাব সদস্যদের থেকে খবর পেয়ে আমরা লাশ গুলো উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। লাশের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক)মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। র্যাব থেকে এখনও লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়নি বলে জানান তিনি। সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে, তিনজনের বুকে ও গলায় গুলীর চিহ্ন রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বড়তাকিয়া দক্ষিণ বাইপাস থেকে বড়দারোগাহাট ভাঙ্গাপোল পর্যন্ত এই এলাকায় প্রায় সময় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ গত ৬ অক্টোবর কমলদহ বাইপাসে ডাকাতের হামলায় সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট কর্নেল খালেদ কামাল ও তার গাড়ির চালক মোহাম্মদ রাহাত গুরুতর আহত হয়।
কুষ্টিয়া সংবাদদাতা : কুষ্টিয়ার মিরপুরে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টাকালে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত সাড়ে ১২ টার দিকে মিরপুর ভেড়ামারা আঞ্চলিক সড়কের গোবিন্দগুনিয়া ব্রীজের সন্নিকটে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, জয়নাল (৩০) ও আসাদুল (৪০)। বন্দুকযুদ্ধের বার ঘন্টা পর পুলিশ তাদের পরিচয় জানতে পারে। নিহত জয়নাল সদর উপজেলার কুমারগাড়া এলাকার শহিদুলের পুত্র এবং আসাদুল দৌলতপুরের সেনপাড়া গ্রামে জামাত মন্ডলের পুত্র।
এ সময় মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিনসহ ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী জালাল উদ্দিন জানান, রাতে মিরপুর ভেড়ামারা সড়কের গোবিন্দগুনিয়া ব্রীজের কাছে ডাকাতি হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডাকাতরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশও তাদের পাল্টা গুলী ছুড়লে তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়। এ সময় ২ ডাকাতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে। পরে লাশ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ব্যবহৃত একটা পিস্তল, ৪টা বোমা, ২টা রামদা, ২টা হাসুয়াসসহ ডাকাতি সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে।
করিমন চালক নিহত
কুষ্টিয়ার মিরপুরে কলা বোঝাই করিমনের সাথে ট্রাকের সংর্ঘষে ইসলাম (৪৫) নামের করিমন চালক নিহত হয়েছেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের মিরপুর বিজিবি সেক্টরের নিকট এ দুর্ঘটনা ঘটে।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী জালাল উদ্দিন জানান, ইসলাম করিমন যোগে কলা বোঝাই করে ভেড়ামারা যাচ্চিল। যাওয়ার পথে বিজিবি সেক্টরের সামনে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাকের সামনে পড়লে সংর্ঘষ হয়। এতে করিমন উল্টে চালক ইসলাম ঘটনাস্থলে মৃত্যুবরণ করে।
ওসি জানান, নিহতের ইসলামের মরদেহ উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘাতক ট্রাক ও চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি। নিহত ইসলাম চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার বোয়ালমারী এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে।