রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

গ্রাহকের স্বার্থ উপেক্ষা করেই একীভূত হচ্ছে রবি-এয়ারটেল

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের মোবাইল ফোন অপারেটর রবি-এয়ারটেল একীভূত (মার্জার) হতে বিটিআরসির বেঁধে দেওয়া সর্বশেষ শর্তের মধ্যে ৫টি মূল শর্তে গ্রাহক স্বার্থ উপেক্ষিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশন।
গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ স্বাক্ষারিত সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে এ অভিযোগ করা হয়।
 রবি-এয়ারটেলের মার্জারে বলা হয়েছে, একীভূত হওয়ার ফলে রবি ও এয়ারটেল অনেক সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার পরও গ্রাহক স্বার্থ সবচেয়ে বেশি রক্ষা করার কথা। কিন্তু দুঃখের বিষয়, প্রধান শর্তের মধ্যে গ্রাহকের স্বার্থ সংরক্ষণে কোনো শর্তারোপ করেনি বিটিআরসি। মোবাইল ফোন অপারেটর রবি-এয়ারটেল একীভূতকরণে বিটিআরসির দেওয়া প্রধান ৫ শর্তগুলো হলো।
 আগামী ২ বছরে ৩ কিস্তিতে একীভূত কোম্পানি (মার্জার) হতে ফি হিসেবে এয়ারটেলকে ৬০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করবে রবি। এর মধ্যে মার্জার ফি হিসেবে ১০০ কোটি টাকা আর এয়ারটেলের তরঙ্গ একীভূতকরণ ফি ধরা হয়েছে ৫০৭ কোটি টাকা। বিটিআরসির নোটিশ প্রদানে ৩০ দিনের মধ্যে এ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তবে কিস্তিতে পরিশোধের ক্ষেত্রে চিঠি পাওয়ার ১ মাসের মধ্যে ৪৯ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। বাকি ৫১ শতাংশ অর্থ পরবর্তী ২ বছরে ২ কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। ১ম বছরে বাকি ২৯ শতাংশ এবং ২য় বছরে ২২ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করতে হবে।
রবি-এয়ারটেল মার্জার কোম্পানি কোনো কর্মীকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না। ৯০০ মেগাহার্জ ব্যান্ড থেকে এয়ারটেলের ৫ মেগাহার্জ তরঙ্গ ফেরৎ দিতে হবে। একীভূত হওয়ার ২ মাসের মধ্যেই ভিআরএস/ভিএসএস কার্যকর করতে বলা হয়েছে।  বকেয়া পরিশোধে এয়ারটেলের ১ লাখ শেয়ার বৃদ্ধি করতে পারবে।
বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের মতে, ২টি অপারেটরকে খুশি করতেই দ্বিতীয় শর্ত দেওয়া হয়েছে। রবি-এয়ারটেলের মার্জারে গ্রামীণফোন ও বাংলালিংক বাধা হয়েছিল। কারণ বর্তমানে গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৫ কোটি ৬৩ লাখ আর বাংলালিংকের ২ কোটি ৮৯ লাখ। রবি ও এয়ারটেল মার্জার হলে দুই কোম্পানির মোট গ্রাহক সংখ্যা হবে ৩ কোটি ১১ লাখ। ফলে দেশের ২য় বৃহত্তম গ্রাহকের অপারেটরে পরিণত হবে এ মার্জার।
আর এয়ারটেলের অর্থ সংগ্রহের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতেই মূলত ৩ নম্বর শর্ত দেওয়া হয়েছে। এতে বিটিআরসির পাওনা পরিশোধ করতে সক্ষম হবে এয়ারটেল। প্রসঙ্গত, গত ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে রবি-এয়ারটেল (মার্জার) এর জন্য বিটিআরসিতে আবেদন করে। এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রবি-এয়ারটেলের একীভূতকরণের অনুমোদন দেয় বিটিআরসি।
বিটিআরসিতে জমা দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, একীভূত কোম্পানিতে রবির ৭৫ শতাংশ আর এয়ারটেলের ২৫ মালিকানা থাকবে। বর্তমানে রবির ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ শেয়ারের মালিক আজিয়াটা গ্রুপ আর ৮ দশমিক ৪ শতাংশ শেয়ারের মালিক এনটিটি ডোকোমো। এয়ারটেল বাংলাদেশের ১০০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ভারতীয় এয়ারটেল।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ