অবশেষে পেন্টাগনের দরজায় ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী উপদেষ্টা দল
১৮ নবেম্বর, পলিটিকো/দ্য হিল : অনেক জল্পনা-কল্পনার পর অবশেষে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা দলের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পেন্টাগন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাথমিক ব্রিফিং আয়োজন করতে বলেছেন তারা। আর সে খবরটি নিশ্চিত করে পেন্টাগণ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার হতে পারে প্রথম ব্রিফিং। উল্লেখ্য, ট্রাম্প আনুষ্ঠানিক শপথ নেবেন আসছে বছরের ২০ জানুয়ারি। মার্কিন রীতি মেনে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ের দিন থেকে শুরু করে ট্রাম্পের শপথের আগ পর্যন্ত কাজ করছে ক্ষমতা হস্তান্তরে গঠিত এক অন্তর্বর্তী দল। প্রেসিডেন্সিয়াল ট্রানজিশন অ্যাক্ট নামের আইনের অধীনে এই দল অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে সরকার গঠন ও অন্যান্য পদে নিয়োগ দেওয়াসহ বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে থাকে এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে যোগাযোগের কাজ করে। অথচ ৮ নবেম্বরের নির্বাচনের পর এক সপ্তাহ কেটে গেলেও বুধবার পর্যন্ত হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও পররাষ্ট্র দফতরে ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলের কেউ যোগাযোগ না করায় ট্রাম্পের দলে অভ্যন্তরীণ কোন্দল নিয়ে নানা গুঞ্জন চলতে থাকে। বলা হতে থাকে, ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলের প্রধান হিসেবে নিউ জার্সির গবর্নর ক্রিস ক্রিস্টিকে সরিয়ে দিয়ে মাইক পেন্সকে দায়িত্ব দেওয়ায় দলের অভ্যন্তরে অস্থিরতা চলছে। তাছাড়া ক্রিস্টির সঙ্গে সম্পর্ক থাকার কারণে ট্রাম্পের দল থেকে আরও কয়েকজনকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়। আর সেকারণেই অন্তর্বর্তী দল পেন্টাগন কিংবা হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিল না বলে মনে করা হচ্ছিলো।
তবে বৃহস্পতিবার পেন্টাগনের মুখপাত্র পিটার কুক জানান, ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলটি অবশেষে প্রতিরক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্রিফিং আয়োজন করতে বলেছেন। স্থানীয় সময় শুক্রবার প্রথম ব্রিফিংটি অনুষ্ঠিত হতে পারে জানিয়ে কুক বলেন ‘প্রতিরক্ষামন্ত্রী অ্যাশ কার্টার বলেছেন, একটি নির্বিঘ্ন ও কার্যকর ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে আমরা সব কিছু করব।’
এদিকে ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় কারা থাকবেন তা নিয়েও জল্পনা চলছে। অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিনকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ প্রস্তাব করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা গত বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছেন।
এদিকে সম্প্রতি মার্কিন গণমাধ্যম দ্য হিলের প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প মিট রমনিকে তার পররাষ্ট্র মন্ত্রীর পদে ভাবছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্র মিট রমনির পররাষ্ট্র মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।’ ট্রাম্প সরকারের জন্য প্রায় চার হাজার পদে নিয়োগ চূড়ান্ত করতে হবে। এরমধ্যে মার্কিন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কিছু পদও রয়েছে। সম্প্রতি হোয়াইট হাউজের শীর্ষ দুটি পদের জন্য নিয়োগ চূড়ান্ত করেছেন ট্রাম্প। রিপাবলিকানদের সুদীর্ঘকালের বন্ধু রেইন্স প্রিয়েবাসকে চিফ অব স্টাফ পদে এবং ব্রিটবার্ট নিউজ নেটওয়ার্কের স্টিভ বেননকে মুখ্য স্ট্র্যাটেজিক কর্মকর্তা ও সিনিয়র কাউন্সেলর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। আর ট্রাম্পের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা দলের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানায় জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব পালনের জন্য অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাইকেল ফ্লিনকে প্রস্তাব দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে ফ্লিন সে প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন কি করেননি তা নিশ্চিত করেননি ওই কর্মকর্তা।