চান্দিনায় বোমা ও ছুরিসহ ২ জেএমবি সদস্য গ্রেফতার
কুমিল্লা দক্ষিণ সংবাদদাতা : ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনায় বোমা ও ছুরিসহ জসিম (২৩) ও হাসান (২৫) নামে দুই জনকে আটক করেছে হাইওয়ে পুলিশ। পুলিশের দাবি আটক দুইজন জেএমবি’র সদস্য। গতকাল মঙ্গলবার সকাল আনুমানিক ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের তীরচর এলাকার ২৪ রাউন্ড গুলীবর্ষণের পর ওই জেএমবি সদস্যদের গুলীবিদ্ধ অবস্থায় আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। আটক জেএমবি সদস্য হাসান চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া উপজেলার শান্তিরহাট গ্রামের মৃত মোহাম্মদ হোসাইনের ছেলে এবং গুলীবিদ্ধ জসিমের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
হাইওয়ে পুলিশ ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুল ইসলাম জানান, মহাসড়কের চলাচলরত অধিক গতিসম্পন্ন গাড়ি চিহ্নিত করণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলার কুটুম্বপুর এলাকায় ইলিয়টগঞ্জ ফাঁড়ির সার্জেন্ট কামাল হোসেনের নেতৃত্বে অভিযান চলাকালীন মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসের অধিক গতি চিহ্নিত হয়। পুলিশ গাড়িটি ধাওয়া করে আটক করার পর বাস থেকে নেমে আসা যাত্রীবেশী দুই জেএমবি সদস্য ‘আল্লাহু আকবর’ ধ্বনি দিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়ে মারে। কিন্তু ভাগ্যবশত ওই বোমা বিস্ফোরিত না হওয়ায় পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া শুরু করলে তারা বোমা ছোঁড়া অবস্থায় দৌড়ে গ্রামের ভিতরে প্রবেশ করে। এসময় পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে গুলী ছুঁড়ে। প্রায় ২০ মিনিট প্রচেষ্টায় ২৪ রাউন্ড গুলী ছুঁড়ে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় গুলীবিদ্ধ অবস্থায় জসিমকে এবং হাসান নামে আরও এক জেএমবি সদস্যকে আটক করে হাইওয়ে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি বোমা ও ১টি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়।
হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট কামাল হোসেন জানান, আমরা গতি নিয়ন্ত্রণে গাড়িটি ধাওয়া করলেও বাসে থাকা জেএমবি সদস্যরা তাদেরকে সন্দেহ করে আটকের বিষয়টি ভেবে আমাদের উপর হামলার চেষ্টা করে। গুলীবিদ্ধ জেএমবি সদস্য জসিমকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অপর জেএমবি সদস্য হাসানকে পুলিশ হেফাজতে চান্দিনা হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এদিকে ঘটনার পরপর হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অঞ্চল সুপার রেজাউল করিম, জেলা পুলিশ সুপার শাহ্ মো. আবিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।