শুক্রবার ১৭ মে ২০২৪
Online Edition

খুলনায় বোরোর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

 

খুলনা অফিস : খুলনা মহানগরসহ জেলার ৯ উপজেলায় কৃষকরা পুরো উদ্যমে বোরো আবাদ শেষ করেছে। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকে শুরু বোরো আবাদ শুরু হয়। আগামি এপ্রিলের শেষ সপ্তাহ নাগাদ ফসল কাটা শুরু হবে। প্রাকৃতিক কোনো দুর্যোগ দেখা না দিলে এবং সেচ সমস্যা প্রভাব না ফেললে এবারও বোরোর বাম্পার ফলন আশা করছে কৃষি বিভাগ।

খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মওসুমে খুলনা জেলায় ৫০ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে চারার উৎপাদন ভালো এবং সারের সংকট না থাকায় মহানগরীসহ খুলনার ৯ উপজেলায় চলতি বোরো মওসুমে খুলনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বোরো উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ২১ লাখ ৭২১ মেট্রিক টন ধান। এর মধ্যে মহানগরীতে ৬৫৫ হেক্টর, লবনচরায় ৩৬০ হেক্টর, রূপসায় ৫ হাজার ৭৫৫ হেক্টর, বটিয়াঘাটায় ৩ হাজার ৪শ’ হেক্টর, দিঘলিয়ায় ৪ হাজার ৬১০ হেক্টর, ফুলতলায় ৪ হাজার ৪১৫ হেক্টর, ডুমুরিয়ায় ২০ হাজার হেক্টর, তেরখাদায় ৬ হাজার ৮শ’ হেক্টর, দাকোপে ৪৫ হেক্টর, পাইকগাছায় ২ হাজার ১০৫ হেক্টর এবং কয়রায় ২ হাজার ৪৮০ হেক্টর জমিতে। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০ হাজার ৬২৭ হেক্টর জমিতে। অর্জিত হয়েছিল ৫১ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে। গতবারের চেয়ে এবার লক্ষ্যমাত্রা বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। খুলনা জেলাধীন বটিয়াঘাটা উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকার কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এবার চারার উৎপাদন ভালো হয়েছে। যে কারণে বেশি জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। তিনি জানান, আবাদকৃত বোরো ধানে এবার বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেননা কোথাও কোনো রোগ-বালাই বা বিরূপ আবহাওয়া নেই। ডুমুরিয়া উপজেলার বরাতিয়া গ্রামের কৃষক লিয়াকত সরদার জানান, তিনি গতবার ২ বিঘা জমিতে বোরো আবাদ করেছিলেন। এবার শীত ও কুয়াশা দেরিতে আসা এবং চারা উৎপাদন ভালো হওয়ায় তিনি ৩ বিঘা জমিতে বোরোর আবাদ করেছেন। বর্তমান সারের অভাব নেই। ফলে ভালো ফলনের আশাও করছেন তিনি। খুলনার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আব্দুল লতিফ জানান, এ বছর বীজতলায় চারা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা যা’ নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি অর্জিত হয়েছে। চাষের লক্ষ্যমাত্রা বাড়ানো হয়েছে। বীজ, সার সঠিকভাবে যেহেতু কৃষক পাচ্ছে সেহেতু শতভাগ অর্জিত হবে বলে আশা করছেন তিনি।  জৈব ও প্রাকৃতিক সার ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি কীটনাশকের ব্যবহার কমিয়ে আলোর ফাঁদ ব্যবহারের মাধ্যমে কীট-পতঙ্গ নির্মূলের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ