রবিবার ১২ মে ২০২৪
Online Edition

আজ পবিত্র লাইলাতুল বারাত

স্টাফ রিপোর্টার : আজ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে পবিত্র লাইলাতুল বারাত। বাংলাদেশে এ রাতটি শবে বারাত নামে সমধিক পরিচিত। রাতকে আরবীতে ‘লাইল’ এবং ফার্সিতে শব বলা হয়। শাবান মাস মূলত পবিত্র মাহে রমযানের প্রস্তুতির মাস। পবিত্র হাদীস শরীফে উল্লেখ আছে, যারা ১৪ শাবান রাতে ইবাদত করবে তাদের জন্য মুক্তি। আর যে ব্যক্তি পরদিন ১৫ শাবান রোজা রাখবে জাহান্নামের আগুন তাকে স্পর্শ করবে না। প্রতিবারের মতো এবারও এ রাতটি ভাবগাম্ভীর্য ও যথাযথ মর্যাদার সাথে পালিত হবে।

পবিত্র লাইলাতুল বারাত উপলক্ষে আজ রাতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মসজিদ, মাদরাসা, খানকা ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আলোচনা, মিলাদ-মাহফিল ও নফল ইবাদতের আয়োজন করা হয়েছে। পবিত্র লাইলাতুল বরাতে বাড়ি বাড়ি হালুয়া-রুটি বিতরণ করেন। অনেকে এ কাজকে সওয়াবের কাজ হিসেবে মনে করে। কিন্তু পবিত্র কুরআন, হাদীসে হালুয়া-রুটি বিতরণ করা সম্পর্কে কোনো কথা উল্লেখ নেই বলে জানিয়েছেন জাতীয় আলেমগণ। পবিত্র লাইলাতুল বারাত উপলক্ষে টিভি চ্যানেলসমূহ ও বাংলাদেশ বেতার বিশেষ অনুষ্ঠানমালা প্রচার করবে। এছাড়া পত্র-পত্রিকাও বিশেষ নিবন্ধ প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে আজ জাতীয় সংবাদপত্রসমূহে ছুটি পালিত হবে। ফলে আগামীকাল শুক্রবার কোনো পত্রিকা প্রকাশিত হবে না। 

পবিত্র লাইলাতুল বারাত উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এডভোকেট ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। তারা জাতীয় উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য দোয়া করতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তাছাড়া বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বাণী দিয়েছেন।

ইসলামিক ফাউন্ডেশন এ রাতে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তাতে রয়েছে আলোচনা, জিকির, নফল নামায, ও বিশেষ মুনাজাত। এছাড়াও বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মুসলিম বিশ্বের কল্যাণ কামনা খালেদা জিয়ার : পবিত্র লায়লাতুল শবে বরাত উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে দেশ, জাতি তথা মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বাণীতে তিনি বলেন, পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ মুসলিম বিশ্বের সকল মানুষের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও উন্নতি কামনা করি। বিশ্ব মুসলিমের জন্য পবিত্র লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাতের রাত খুবই তাৎপর্যপূর্ণ ও মহিমান্বিত। এ মহান রাতে আল্লাহ পাক তার সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। আর এ কারণেই এই পবিত্র রাতে ধর্মপ্রাণ বান্দারা সারারাত আল্লাহর দরবারে নিজেদের ভুল-ভ্রান্তির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে। সকল অকল্যান ও অপবিত্রতা থেকে মুক্তি পাবার লক্ষ্যে এবং মহান রাব্বুল আলামীনের অনুগ্রহ লাভের আশায় বান্দারা মোনাজাত করেন। এই পবিত্র রজনীতে সবার জীবন আনন্দময় ও সুখ শান্তিতে ভরে উঠুক আমি এই প্রার্থনা করি।  আমরা সবাই হানাহানি, রক্তারক্তি, ঈর্ষা, বিদ্বেষ পরিহার করে মানব জাতির কল্যাণে কাজ করে যাবো এ মহান রাতে এটাই হোক আমাদের অঙ্গীকার।  আমি পবিত্র শবে বরাতের এই রজনীতে দেশ, জাতি তথা মুসলিম বিশ্বের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ