শনিবার ১৮ মে ২০২৪
Online Edition

বেড়েছে চাল মুরগি ও চিনির দাম

স্টাফ রিপোর্টার : পেঁয়াজের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও রাজধানীর বাজারে হঠাৎ বেড়েছে মুরগির দাম। গত এক সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির দাম কেজি প্রতি অন্তত ১৫-২০ টাকা বেড়েছে। অন্যান্য মুরগির দামও ঊর্ধ্বমুখী। চালের দাম কেজিপ্রতি অন্তত দুই টাকা বাড়ানো হয়েছে।
দুয়েকটি সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও বেশিরভাগের দাম রয়েছে স্থিতিশীল। চিনির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। তবে ভোজ্য তেলসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা যায়। ক্রেতা ও বিক্রেতাদের তথ্য অনুযায়ী, হঠাৎ মুরগির দাম বেড়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ানবাজারসহ বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয়েছে ১৩০-১৩৫ টাকায়। সোনালী জাতের মুরগি বিক্রি হয়েছে ২২৫-২৫০ টাকায়। সপ্তাহের শুরুর দিকে এই মুরগি বিক্রি হতো সর্বোচ্চ ২০০ টাকায়। দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৪৫০-৫০০ টাকা। ছোট আকারের প্রতি পিস ৩০০ টাকা। বাজারে সব ধরনের মুরগির যথেষ্ট সরবরাহ থাকলেও হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ার সঠিক কোনো কারণ জানাতে পারেননি বিক্রেতারা।
তবে পেঁয়াজের দামে অনেকটা স্বস্তি ছিলো বাজারে। ডিমের দামেও ছিলো সুখবর। মুরগির ডিম ডজন প্রতি বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকায়। খুচরা বাজারে দেশী পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪০ টাকা। আমদানিকৃত ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকা দরে। তবে রাজধানীর  কয়েকটি মহল্লায় ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতারা আকারে ছোট আমদানিকৃত পেঁয়াজ ২৫ টাকা দরে বিক্রি করেছেন। প্রতি কেজি ভারতীয় রসুন বিক্রি হচ্ছে ৯০-১০০ টাকা। দেশী ৫০-৬০ টাকায়।
এদিকে দুয়েকটি সবজির দাম কিছুটা বাড়লেও বেশিরভাগই স্থিতিশীল রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি করলা খুচরা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকা, শিম ২০-২৫ টাকা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা, ফুলকপি-বাধাকপি ২৫-৩০ টাকা, পেপে ২০ টাকা, আলু ১৫ টাকা। আকারভেদে লাউ বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, টমেটো ২০ টাকা। বেগুন, সিসিঙ্গার দাম বেড়েছে। বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা। ঢেঁড়শ, শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারের তুহিন জেনারেল স্টোরের স্বত্বাধিকারী রায়হান জানান, গত কয়েকদিনে চিনি ছাড়া অন্য কোনো ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়েনি। চিনির দাম কেজি প্রতি ১০ টাকা বেড়ে ৬০ টাকায় দাঁড়িয়েছে।
তিনি জানান, বর্তমানে কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি খাঁটি সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০-৯২ টাকা, সুপার ৮০-৮২ টাকা, পাম অয়েল প্রতি কেজি ৭৫ টাকা। দেশী মুশুরি ডাল প্রতি কেজি ১০০ টাকা ও আমদানিকৃত ভারতীয় ডাল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। তিনি জানান, সব ধরনের মশলা ও গুঁড়া দুধের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
তবে চালের দাম কেজি প্রতি অন্তত দুই টাকা বেড়েছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা (স্বর্ণা), বিআর ৪৮ টাকা দরে। সরু মিনিকেট প্রতি কেজি ৬৪ ও নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। মানভেদে ৭০ টাকা। দীর্ঘদিন ধরেই চালের চড়া দাম নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় সেই ক্ষোভ আরো বেড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাজধানীর বাজারে বিভিন্ন ধরনের মাছের পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে রুই মাছ বিক্রি হয়েছে  প্রতিকেজি ২৫০-২৬০ টাকা, বোয়াল ২৫০ টাকা, কই ১৮০ টাকা, তেলাপিয়া ও পাঙ্গাস ১২০ টাকা, হরিণা চিংড়ি ৩০০-৩৬০, বাগদা চিংড়ি ৪৬০-৫০০ টাকা। ইলিশ মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি ৪০০-৬০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীতে গরুর গোশতের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৮০ টাকা দরে। খাসির গোশত বিক্রি হচ্ছে  ৭৫০-৮০০ টাকা দরে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ