রবিবার ১২ মে ২০২৪
Online Edition

প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিবাদ

 

দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান  মো. নূরে আলম সিদ্দিকীকে ইউপি চেয়ারম্যানদের আল্টিমেটাম মর্মে গত ২০ এপ্রিল স্থানীয় পত্রিকায় এবং প্রথম আলো পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন নবাবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নূরে আলম সিদ্দিকী। গতকাল শনিবার দেয়া বিবৃতিতে তিনি বলেন উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ সাংবাদিক সম্মেলনে যে সব অভিযোগ দিয়েছেন তা সবই ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট। 

তিনি বলেন, বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানের জন্য ইউনিয়ন পরিষদের কমিটির অনুমোদনের পরে তা উপজেলা সমাজসেবা অফিসারের কার্যালয়ে জমা হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হয়ে বিধি মোতাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুমোদনের জন্য তালিকা জমা হওয়ার কথা, যা এখনো জমা হয়নি। অথচ ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ কর্তৃক রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন যে, পরিপত্র অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক তালিকা রেজুলেশন করে সমাজসেবা অফিসে জমা করা হয়েছে। তাদের দেয়া তালিকায় উপজেলা চেয়ারম্যান অনুমোদন করছেন না। কিন্তু ২০ এপ্রিল মাতৃছায়া পত্রিকায় তাদের সাংবাদিক সম্মেলনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে এখন পর্যন্ত ইউনিয়ন পর্যায়ে ভাতাভোগীর চূড়ান্ত তালিকা তৈরী ও অনুমোদন করেন নি এবং কোনো তালিকা কোথাও জমা দেয়া হয়নি। তাহলে রংপুর বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ কর্তৃক লিখিত অভিযোগ ও সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য পরস্পর বিরোধী।  

উল্লেখ্য, বয়স্কভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধি ভাতা প্রদানের জন্য উপকারভোগী যাড়াই-বাছাইয়ের জন্য প্রত্যেকটা ইউনিয়নে মাইকিং করে উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার এবং সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সহ দু:স্থ্য ও অসচ্ছল ব্যক্তিদের তালিকা করা হলেও পরবর্তীতে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানগণ সমাজসেবা অধিদপ্তরের পরিপত্রের বিধি মোতাবেক তালিকা চুড়ান্ত করেন নি।

সাংবাদিক সম্মেলনে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানগণ কর্তৃক উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে উপস্থাপিত উপজেলা সেচ কমিটি সভাপতি হিসেবে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়া, ভাদুরিয়া হাট চান্দিনার জমি দখল, সরকারী গাড়ি ব্যবহারে অনিয়ম এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে আর্থিক অনিয়মের যেসব অভিযোগ করেছেন তা সবই মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।  

তিনি বলেন, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য দৈনিক মাতৃছায়া ও প্রথম আলো পত্রিকার পুরো সংবাদটি মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াটভাবে প্রকাশিত করা হয়েছে। তিনি ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ