সোমবার ১৩ মে ২০২৪
Online Edition

অর্থনৈতিক বুনিয়াদ প্রতিষ্ঠায় বঙ্গোপসাগরের রয়েছে অসামান্য অবদান

চট্টগ্রাম ব্যুরো : ১৯ জুলাই বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘরের উদ্যোগে জাদুঘর প্রাঙ্গনে ‘উত্তর বঙ্গোপসাগরের প্রেক্ষাপটে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক বিষয়ের উপর একটি বক্তৃতা-অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই বক্তৃতা-অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চবি   উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার এবং কলা ও মানববিদ্যা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. সেকান্দর চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভারতের নতুন দিল¬ী শিব নাদর বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ব ও ইতিহাসের সহযোগী অধ্যাপক ড. স্যামুয়েল ফ্রাঁসোয়া বারথে।  উপাচার্য তাঁর বক্তব্যে দেশের অহংকার বীর চট্টলার ভৌগোলিক, রাজনৈতিক, সামাজিক, আর্থ-সমাজিক প্রেক্ষাপট এবং গৌরবময় ইতিহাস-ঐতিহ্য-সংস্কৃতি আলোকপাত করে বলেন, উত্তর বঙ্গোপসাগর চট্টগ্রাম তথা দেশের প্রাণ। হাজার বছর ধরে উত্তর বঙ্গোপসাগরকে ঘিরেই এ জনপদের জীবন প্রবাহ পরিচালিত হয়ে আসছে। এ দেশের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ সু-প্রতিষ্ঠায় এ সমুদ্র বন্দর অসামান্য অবদান রেখে চলেছে। এছাড়া এ অঞ্চলে বসবাসরত বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়-গোষ্ঠীর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তথা মেলবন্ধন বসবাসরত জনগোষ্ঠীর এক অনবদ্য সৃষ্টি। তিনি আরও বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিষ্ঠিত দেশের একমাত্র একাডেমিক জাদুঘরে সুরক্ষিত প্রাচীনতম নিদর্শন আমাদের শিক্ষক-গবেষকদের গবেষণা কর্মে বিশেষ সহায়ক  ভূমিকা রেখে চলেছে। ড. স্যামুয়েল ফ্রাঁসোয়া বারথে বলেন, বাংলাদেশে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সামাজিক ও সামগ্রিক উন্নয়নে বঙ্গোপসাগর তথা চট্টগ্রামের রয়েছে অসামান্য অবদান। চট্টগ্রাম নিয়ে তাঁর অনেক গবেষণা কর্ম আন্তর্জাতিক জার্নালে ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ড. স্যামুয়েল ফ্রাঁসোয়া বারথে চট্টগ্রামের সাথে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর মর্মে মনোভাব ব্যাক্ত করেন।
চ.বি. জাদুঘরের পরিচালক প্রফেসর ড. ভূইয়া ইকবালের সভাপতিত্বে ও পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চ.বি. জাদুঘরের সাবেক কিউরেটর ড. জে ও এম শামসুল হোসাইন। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত শিক্ষক-গবেষক এবং বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ