বুধবার ২২ মে ২০২৪
Online Edition

এন্টার্কটিকায়

আখতার হামিদ খান : এন্টার্কটিকায় ‘রক্তবর্ণের জলপ্রপাত’ এর রহস্য উদঘাটন করেছেন বিজ্ঞানীরা। তারা ধারণা করছেন, এই জলপ্রপাতের মূল উৎস একটি লোনা পানির হ্রদ। ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা এবং কলোরাডো কলেজের এক দল গবেষক জলপ্রপাতটি নিয়ে গবেষণা করে এ দাবি করছেন। আনন্দবাজারের এক খবরে বলা হয়, এন্টার্কটিকায় ঠাণ্ডার মধ্যেও কিভাবে এই জলপ্রপাতের উদ্ভব তা নিয়ে দীর্ঘদিন অনুসন্ধান চালাচ্ছিলেন বিজ্ঞানীরা। শুধু তাই নয়, জলপ্রপাতের পানি লাল হওয়ার কারণ কী- সেটা নিয়েও চলে গবেষণা।
কেউ বলেছেন, লাল রঙের শ্যাওলার কারণে পানির রঙ লাল, কেউ বলেছেন অক্সিডাইজড আয়রনই এর জন্য দায়ী! এন্টার্কটিকার ম্যাক মারডো শুষ্ক উপত্যকায় ৫তলা সমান উঁচু এই জলপ্রপাতটি ১৯১১ সালে আবিষ্কার করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ভূতত্ত্ববিদ গ্রিফিথ টেলর। পানির রঙ নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক থাকলেও, রক্তবর্ণ জলপ্রপাত (ব্লাড ফলস) এর উৎস নিয়ে কিন্তু ধোঁয়াশাই থেকে গিয়েছিল। সম্প্রতি ইউনিভার্সিটি অব আলাস্কা এবং কলোরাডো কলেজের গবেষকরা তার রহস্য ফাঁস করলেন।
তাদের দাবি, এই জলপ্রপাতটির মূল উৎস নোনা পানি হ্রদ। যেটা ৫০ লাখ বছর ধরে টেলর হিমবাহের নিচে চাপা পড়ে আছে।
নিজেদের বক্তব্যের সমর্থনে তারা রেডিও-ইকো সাউন্ডিং প্রযুক্তির সাহায্য নেন। এই প্রযুক্তির সাহায্যে হিমবাহের নিচে বৈদ্যুতিক তরঙ্গ পাঠানো হয়। সেখান থেকে যে বার্তা এসেছে, তা বিশ্লেষণ করে তারা প্রমাণ করেন, হিমবাহের নিচে তরল অবস্থায় থাকা এই বিশাল হ্রদের অস্তিত্ব।
প্রশ্ন উঠছে হিমবাহের নিচে কিভাবে হ্রদের পানি তরল অবস্থায় থাকে? হিমবাহ বিজ্ঞানী এরিন পেতিত বলছেন, জমে যাওয়ার আগে পানি থেকে তাপ বের হয়। সেই তাপ নোনা পানিকে জমতে দেয় না। ফলে ওই তাপমাত্রাতেও পানি তরল থাকে। বিজ্ঞানীরা জানান, লৌহ সমৃদ্ধ হ্রদের পানি যখন অক্সিজেনের সংস্পর্শে আসছে, তখনই সেটা লাল হয়ে যাচ্ছে। ফলে টেলর হিমবাহের গায়ে রক্তবর্ণের মতো দাগ তৈরি হচ্ছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ