মঙ্গলবার ২১ মে ২০২৪
Online Edition

কৃষি ঋণে ১ লাখ ৬৭ হাজার মামলা আর মওকুফ পাচ্ছে বড় খেলাপিরা

স্টাফ রিপোর্টার : সরকার কৃষকের ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ আদায়ের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬৭ হাজার মামলা দায়ের করেছে। সরকার ন্যূনতম এই কৃষি ঋণ মওকুফ করার পরিবর্তে লুটেরাদের তারা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তৎপরতা গ্রহণ করেছে। আমরা সরকারকে বলেছি তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করুন।
 বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ মিছিলে বাধা দিয়েছে পুলিশ। এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটেছে। পরে বাম দলের নেতা বজলুর রশিদ ফিরোজের নেতৃত্বে সেখানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে নেতাকর্মীরা।
গতকাল রোববার অর্থমন্ত্রণালয় অভিমুখে যাত্রাকালে রাজধানীর পল্টন জিরো পয়েন্টে এ ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ সমাবেশে বাম দলের নেতা কমরেড বজলুর রশিদ ফিরোজ, মোশারফ হোসেন নান্নু, শাহ আলম, শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, মানস নন্দীসহ বিভিন্ন কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ পেট্রোল ইন্সপেক্টর শেখ বাশার বলেন, তাদের বিক্ষোভ মিছিল অর্থ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রিক। কিন্তু এভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে মন্ত্রণালয় যাওয়ার কোনও সুযোগ নেই। তাই আমরা পল্টন জিরো পয়েন্ট মোড়ে তাদেরকে বাধা দেই। পরে তারা সেখানে কিছু সময় অবস্থান নিয় চলে যায়।
এর আগে, প্রেস ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ঋণখেলাপিদের ঋণ মওকুফ করার জন্য দায়িত্ব আপনাকে কে দিয়েছে? বাংলাদেশ ব্যাংক এ ব্যাপারে কোনও নির্দেশনা দিয়েছে? আপনি কোন ক্ষমতাবলে, কোন নির্দেশনায় ব্যাংক লুটেরাদের সুবিধা দেওয়ার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন? আমরা এই উদ্যোগের নিন্দা জানাই।
তিনি আরও বলেন, আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমে দেখছি অনেকে ঋণখেলাপি হতে চায়। ঋণখেলাপি হতে পারলে আর কোনও টাকা ফেরত দিতে হবে না। বাংলাদেশের ব্যাংকের টাকা উড়ে ফিলিপাইনসহ বিদেশের জুয়ার আড্ডায়। আমাদের এখানে রাষ্ট্রীয় কোষাগার গুলোকে খালি করে দেওয়া হয়েছে লুটপাট ও দুর্নীতির জন্য।
অন্যদিকে কৃষকদের ৫০০ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণের আদায়ের জন্য তাদের বিরুদ্ধে ১ লাখ ৬৭ হাজার মামলা দায়ের করেছে। সরকার ন্যূনতম এই কৃষি ঋণ মওকুফ করার পরিবর্তে লুটেরাদের তারা বাড়তি সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার জন্য তৎপরতা গ্রহণ করেছে। আমরা সরকারকে বলেছি তৎপরতা অবিলম্বে বন্ধ করুন।
 দেশের বাইরে সেকেন্ড হোমের নামে অর্থ পাচারের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আপনারা জানেন গত কয়েকদিন ধরে শেয়ার মার্কেটে ধস নেমেছে। গত এক মাসে কয়েক হাজার কোটি টাকা শেয়ার মার্কেট থেকে তারা সরিয়ে নিয়েছে। এই দুর্নীতিবাজদের টাকা বাংলাদেশে কোনও ব্যাংকে থাকে না। আপনারা জানেন, কানাডা থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সেকেন্ড হোম মনে করে তারা গাড়ি, বাড়ি ও ব্যবসার নাম করে বাইরে পাচার করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কতগুলো টাকাতে লোপাট হলো, সেই ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। রাষ্ট্রীয় কোষাগারে হরিলুট চলছে কিন্তু কারও বিরুদ্ধে দেখলাম না দুদক থেকে কোনও মামলা বা ব্যবস্থা নিতে।
অর্থমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ঋণখেলাপিদের থেকে যদি এই ঋণ গুলো উদ্ধার করতে না পারেন তাহলে অনতিবিলম্বে অর্থ মন্ত্রণালয় দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করুন। লুটপাটের এই সংস্কৃতি থেকে বাম জোট বাংলাদেশকে বের করে আনতে চায়।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ