সোমবার ১৩ মে ২০২৪
Online Edition

জানুয়ারিতে ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চায় ইসি

স্টাফ রিপোর্টার : প্রতিবছর জানুয়ারিতে হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে চায় নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিদ্যমান আইনের সংশোধন করে ভোটার তালিকা প্রকাশের সময় কমিশন নিজেই নির্ধারণ করতে চায়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে উচ্চ পর্যায়ের একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে নির্বাচন সহায়তা-২ শাখাকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিদ্যমান আইনে (ভোটার তালিকা আইন ২০০৯) প্রতিবছর ২ জানুয়ারি হতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ২ জানুয়ারি খসড়া ভোটার তালিকা এবং দাবি-আপত্তি ও সংশোধনী প্রস্তাব নিষ্পত্তি শেষে ৩১ জানুয়ারি হালনাগাদ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
গত ১০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাতীয় পরিচয় পত্র, ভোটার তালিকা এবং নির্বাচন ব্যবস্থাপনায় তথ্যপ্রযুক্তির প্রয়োগ কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে বলা হয় ‘ভোটার তালিকা আইনে খসড়া প্রকাশের যে তারিখ উল্লেখ রয়েছে, তা তুলে দিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত তারিখে ভোটার তালিকা প্রকাশের ক্ষমতা বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের হাতে থাকবে। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন সহায়তা-২ শাখাকে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।
এতে আরও বলা হয় ২০২০ সালের ভোটার তালিকা ১৫ জানুয়ারি হালনাগাদ ও ১ মার্চ জাতীয় ভোটার দিবসে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের ব্যবস্থা রেখে দাবি, আপত্তি ও নিষ্পত্তির তারিখ নির্ধারণ করে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনের পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
এরআগে গত সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত ইসির জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সঙ্গে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাদের সভায়ও এ বিষয়টি আলোচনা হয়েছিল। ওই বৈঠকে বলা হয় বর্তমানে হালনাগাদ ভোটার তালিকার খসড়া ও চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের জন্য ২ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি নির্ধারিত আছে। নভেম্বর হতে জানুয়ারি পর্যন্ত শীত থাকে ও বৃষ্টি কম হয়। স্কুল-কলেজ বন্ধ হওয়ায় নির্বাচন করা সুবিধা হয়। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হলেও তালিকাভুক্তরা ভোট দিতে পারেন না। তাতে বিভিন্ন ধরনের জটিলতা হয়।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, আগামী বছর (২০২০) খসড়া ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশের যে বাধ্যবাধকতা রয়েছে, তার আগেই আইনটির সংশোধনী চায় তারা। এক্ষেত্রে নভেম্বরে যে সংসদ অধিবেশন বসছে সেখানেই আইনের সংশোধনী বিষয়ক প্রস্তাবটি আসতে পারে। অবশ্য সংশোধনীটি মন্ত্রিপরিষদে অনুমোদনসহ অন্যান্য কার্যক্রম সম্পন্ন করে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য অনুষ্ঠেয় ওই অধিবেশনে তোলা সম্ভব না হলে রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ আকারে সেটা জারি হতে পারে। প্রসঙ্গত, ভোটার তালিকা প্রকাশের বিদ্যমান বাধ্যবাধকতা উঠে গেলে আগামী বছরের জানুয়ারিতেই ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথ সুগম হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ