চট্টগ্রাম ইপিজেডের চীনা প্রতিষ্ঠানের চুরি হওয়া তেষট্টি লাখ ছিয়াত্তর হাজার টাকা উদ্ধার
চট্টগ্রাম ব্যুরো : চট্টগ্রাম ইপিজেডস্থ "জিহোং মেডিকেল প্রোডাক্ট বিডি লিঃ" এর শ্রমিকদের বেতনের চুরি যাওয়া তেষট্টি লাখ ছিয়াত্তর হাজার পাঁচশ টাকা উদ্ধারসহ আসামী মোঃ তুষার মাহমুদ রাসেলকে (২৬) গ্রেফতার করেছে র্যাব -৭।
সূত্রের খবর,গত ১২ মার্চ জিহোং মেডিকেল প্রোডাক্ট বিডি লিঃ এর ব্যবস্থাপক মোঃ মোফাজ্জল হোসেন র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এ অভিযোগ করেন যে, তাদের প্রতিষ্ঠানে স্টোর হেল্পার হিসেবে কর্মরত মোঃ তুষার মাহমুদ রাসেল (২৬) উক্ত প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট অফিস কক্ষে রক্ষিত ৬৫,৩০,০০০ টাকা ভোল্ট ভেঙে নিয়ে পালিয়ে যায় যা শ্রমিকদের বেতন ও অন্যান্য খরচ মিটানোর উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছে। মোঃ তুষার মাহমুদ রাসেল উক্ত প্রতিষ্ঠানের একজন অন্যতম পুরাতন কর্মচারী। পরবর্তীতে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম মহানগরীর ইপিজেড থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয় (যার মামলা নং ২৬/১১৪, তারিখ- ১২ মার্চ ২০২০)। র্যাব-৭ এ দাখিলকৃত অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি গোয়েন্দা দল চোরাইকৃত টাকা উদ্ধারের লক্ষ্যে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারি এবং ছায়া তদন্ত শুরু করে। পরবর্তীতে র্যাব সদর দপ্তরের সার্বিক সহায়তায় এবং র্যাব-৭, পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম এর একটি চৌকস অভিযানিক দল তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জানতে পারে যে, টাকা চোর চক্রের সদস্য ঢাকা মহানগরীর মিরপুরের কোন এক জায়গায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৩ মার্চ বিকালে র্যাব-৭ এর একটি দল ঢাকা মহানগরীর মিরপুর থানাধীন মেরুন রোডস্থ হোটেল লন্ডন প্লেসে অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ তুষার মাহমুদ রাসেল (২৬), পিতা- মোঃ ছিদ্দিক পালওয়ার, থানা- তালতলী, জেলা- বরগুনাকে আটক করে। পরবর্তীতে আটককৃত আসামীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও সনাক্ত মতে উক্ত কক্ষের মধ্যে একটি কালো ব্যাগের ভিতর লুকানো অবস্থায় ৬৩,৭৬,৫০০ টাকা উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী জিজ্ঞাসাবাদে জিহোং মেডিকেল প্রোডাক্ট বিডি লিঃ এর ম্যানেজমেন্ট অফিস কক্ষে রক্ষিত টাকা চুরির কথা স্বীকার করে।
জানা গেছে, র্যাব কর্তৃক দ্রুততম সময়ের মধ্যে চুরি যাওয়া টাকা উদ্ধারসহ আসামী গ্রেফতার হওয়ায় চীনসহ অন্যান্য বিদেশী বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আস্থা ফিরে আসে। এছাড়াও বেপজা কর্তৃপক্ষ এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকরা স্বস্তি প্রকাশ করার পাশাপাশি র্যাবকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে। র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মোঃ মশিউর রহমান জুয়েল মনে করেন যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে যে চোরাইকৃত টাকা উদ্ধার করা হয়েছে তাতে ইপিজেডসহ অন্যান্য এলাকার বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফিরে আসবে যা বৈদেশিক বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
গ্রেফতারকৃত আসামী, উদ্ধারকৃত অন্যান্য আলামত পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম মহানগরীর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-৩ হস্তান্তর করা হয়েছে।