রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

এবার বেলকুচির ৫ যুবককে কান ধরিয়ে উঠবস করানো হল

ভ্রাম্যমান প্রতিনিধিঃ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ অভিযানে যশোরের মনিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন বৃদ্ধকে মাস্ক না পড়ায় কান ধরিয়ে উঠবস করানোর ঘটনায় এসিল্যান্ড সাইয়েমা হাসানকে নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে ইউএনও সিফাত-ই-জাহান কর্তৃক ৫জনকে কান ধরিয়ে উঠবস করানোর ছবি স্থানীয়দের মাধ্যমে ফাঁস হয়েছে। ওই ঘটনায় এসিল্যান্ড সাইয়েমাকে প্রত্যাহার করে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংযুক্তির নির্দেশ দেন জনপ্রশাসন সচিব শেখ ইউসুফ। এসব ঘটনায় জনমনে চাপা ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
গত শুক্রবার (২৭মার্চ) দুপুরের দিকে বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়া বেড়ায় এ ঘটনা ঘটে বলে মুঠোফোনে ইউএনও অকপটে স্বীকার করেন।
এদিকে রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহানের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলেও এর দায় চাপান করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে থাকা পুলিশের একজন এসআইয়ের ওপর। কারণ, ওই ৫ যুবক গ্যাদারিং করছিলেন। তবে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার নজরে এলে তাৎক্ষণিক কান ধরে উঠবস বন্ধ করি।
প্রসঙ্গত, নভেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশের ন্যায় বেলকুচিতে সচেতনতামূলক অভিযান পরিচালনা করছে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই অভিযানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যামাণ আদালতের সাজা ও জমায়েত না হতে সর্তকবার্তাবাহী সংশ্লিষ্টদের স্থানীয়রা ধন্যবাদ জানান। তবে কান ধরে উঠবস করানোর ঘটনায় এলাকা জুড়ে চাপা ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে।
এব্যাপারে ধুকুরিয়া বেড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুর রশীদ শামীম বলেন, বিষয়টি আমি অবগত নই। তবে এমন ঘটনা ঘটে থাকলে তা সঠিক হয়নি।
বেলকুচি থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আদালতের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক নয়। তবে ইউএনও মহোদয় যদি পুলিশের ওপর দায় চাপিয়ে দিয়ে থাকেন সেটি হবে খুবই দুঃখজনক।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এটি আইনসিদ্ধ নয়। এ ধরনের ঘটনা ঘটে থাকলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সতর্ক করা হবে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ