রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

বোধোদয় হোক তবে

মাইমুনা সুলতানা : আমরা আজ পর্যুদস্ত, ভীষণভাবে পরাজিত। ছন্দময় পৃথিবীর দুর্নিবার গতি হঠাৎ করেই যেন থমকে গেছে। পৃথিবীর চিরায়ত রীতিগুলো পুরো ১৮০ ডিগ্রী উল্টে গেছে। এক অদৃষ্ট অণুজীবের অস্পৃশ্য হানা মানুষের অসহায়ত্বকে খুব বেশী প্রকট করে তুলেছে। সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের অহমবোধ আজ ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সৃষ্টির কাছে অবদমিত। তাইতো কুরআনের অমোঘ বাণী- “তোমরা পৃথিবীতে দম্ভভরে পদচারণা করো না, নিশ্চয়ই তুমি তো কখনোই পৃথিবীকে বিদীর্ণ করতে পারবে না এবং উচ্চতায় তুমি কখনো পর্বত সমান হতে পারবে না। (সূরা বনী ইসরাঈল, ১৭:৩৭) পৃথিবীর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, মানুষ যখনি সীমালংঘন করেছে, স্রষ্টার অবাধ্যতায় নিজের খাহেশের অনুবর্তী হয়ে জীবন-যাপন করেছে, তখনি দুনিয়াতে নেমে এসেছে অমানিশার আঁধার। মানুষের উপর মানুষের প্রভুত্ব, দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচার, জাতিতে জাতিতে সংঘাত, অপরের অধিকার হরণ করে আত্মপ্রতিষ্ঠার অসুস্থ প্রতিযোগিতা ইত্যাদি অসঙ্গতিগুলো সমগ্র ভূলোকে অরাজকতার অনল প্রবাহ ছড়িয়ে দিয়েছে। মানুষের মাত্রাধিক অবাধ্যতার পরিণতিতে তাই যুগে যুগে আল্লাহর পক্ষ থেকে শাস্তিস্বরূপ নেমে এসেছে প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানাবিধ ভয়াবহ সংকট। মানবজাতির উদ্দেশে মহান প্রভুর সাবধান বাণী- “মানুষের কৃতকর্মের দরুণ জলে-স্থলে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, যার ফলে আল্লাহ তাদেরকে তাদের কিছু কৃতকর্মের স্বাদ আস্বাদন করাতে চান, হয়তো তারা বিরত হবে।” (সূরা রুম, ৩০:৪১) এ আয়াত থেকে বুঝা যাচ্ছে, আল্লাহ যুগে যুগে মানুষের উপর বিভিন্ন বড় বিপদ চাপিয়ে দিয়ে মানবজাতিকে এটা স্মরণ করিয়ে দিতে চান, আল্লাহ এমন কোন স্রষ্টা নন যে, তিনি তাঁর সৃষ্টির ব্যাপারে বিন্দুমাত্র গাফেল থাকতে পারেন। তাই ক্ষমতার দম্ভে অন্ধ হয়ে যারা বেপরোয়া জীবন-যাপন করছে তারা আল্লাহর পাকড়াও থেকে কখনো রেহাই পাবে না। তবে আল্লাহ মানুষকে সাময়িক অবকাশ দেন, যেন তারা নিজেদের কর্মনীতি সংশোধন করতে পারে। কুরআনের ভাষায়- “আল্লাহ যদি মানুষকে তাদের বাড়াবাড়ি করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে পাকড়াও করতেন তাহলে ভূপৃষ্ঠে কোন একটি জীবকেও ছাড়তেন না। কিন্তু তিনি সবাইকে একটি নির্ধারিত সময় পর্যন্ত অবকাশ দেন। তারপর যখন সেই সময়টি এসে যায় তখন তা থেকে এক মুহূর্তও আগে পিছে হতে পারে না। (সূরা নাহল, ১৬:৬১) আমাদের সুমহান রব অত্যন্ত দয়ালু, তাই তো তিনি তাঁর সৃষ্টিকে শাস্তি দেয়ার পূর্বে আমরা যেন তাঁর সামনে অনুতপ্ত হয়ে ক্ষমার আরজি পেশ করি এই প্রত্যাশায় আমাদের সুযোগ দিতে থাকেন। কিন্তু আফসোস, শেষ মুহূর্র্ত পর্যন্ত অবকাশ পেয়েও আমরা তাঁর দরবারে প্রত্যাবর্তনের সৌভাগ্য থেকে নিজেদের বঞ্চিত করি। আল্লাহ কী বলছেন শুনেন, “কাজেই যখন আমার পক্ষ থেকে বিপদাপদ আরোপিত হলো তখন তারা বিনম্র হলো না কেনো ? বরং তাদের মন আরো বেশি কঠিন হয়ে গেছে এবং শয়তান তাদের কাজগুলো তাদের জন্য শোভিত করে দিয়েছে।” (সূরা আনআম, ৬:৪৩) এমনিভাবে আল্লাহর পক্ষ থেকে বারবার রিমাইন্ডার দেয়ার পরও যখন মানুষের হুঁশ ফেরে না, তাঁর সাবধান বাণীকে উপেক্ষা করে অধপতনের অতল গহ্বরে তলিয়ে যায় তখন তিনি আর ছাড় দেন না। আল্লাহর ভাষায়-“আর তোমার রব যখন কোন অত্যাচারী জনপদকে পাকড়াও করেন তখন তাঁর পাকড়াও এমনি ধরণেরই হয়। প্রকৃতপক্ষে তাঁর পাকড়াও হয় বড়ই কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক।” (সূরা হুদ, ১১:১০২)
মানবজাতির সূচনা থেকে আজ অবধি বহু প্রতাপশালী জাতি আল্লাহর ক্রোধের শিকার হয়ে ভূগর্ভে  বিলীন হয়ে গেছে। সেসব ধসে যাওয়া প্রাচীন সভ্যতাগুলোর অনেক ধ্বংসাবশেষ এখনো বিভিন্ন স্থানে দেখতে পাওয়া যায়। পূববর্তী  জাতিগুলোর পরিণতি থেকে শিক্ষা নেয়ার জন্যই আল্লাহ নিদর্শনস্বরূপ এগুলোকে সংরক্ষণ করেছেন। কিন্তু মানুষ এতটাই নির্বোধ যে, এমন চাক্ষুষ দৃষ্টান্তগুলো দেখেও শিক্ষাগ্রহণ করে না। এজন্যই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলছেন, “পৃথিবীর পূববর্তী অধিবাসীদের পর যারা তার উত্তরাধিকারী হয়, তারা কি এ বাস্তবতা থেকে ততটুকুও শেখেনি যে, আমি চাইলে তাদের অপরাধের দরুন তাদেরকেও পাকড়াও করতে পারি।” (সূরা আরাফ, ৭:১০০) এ পর্যায়ে আমরা একটু কুরআন থেকে অতীতের জাতিগুলোর ধ্বংসের কারণগুলো জেনে নিতে পারি-
নূহ (আ) এর জাতি : কুরআনের ইঙ্গিত ও বাইবেলের সুস্পষ্ট বিবরণ থেকে জানা যায়, বর্তমান ইরাকেই হযরত নূহের সম্প্রদায়ের বসবাস ছিল। বেবিলনের প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের অভ্যন্তরে বাইবেলের চেয়েও যে প্রাচীন লিপি পাওয়া গেছে, তা থেকেও এর সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। আজো মুসেলের উত্তরে ইবনে উমর দ্বীপের আশেপাশে এবং আর্মেনিয়া সীমান্তে ‘আরারাত’ পাহাড়ের আশেপাশে নূহ (আ) এর বিভিন্ন নিদর্শন চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। ধারণা করা হয় এ পাহাড়েই তাঁর নৌকা নোঙর করেছিল।
আল্লাহর একত্ববাদ ও তাঁর প্রেরিত নবীকে অস্বীকার করার দরুন তাদেরকে শাস্তি দেয়া হয়েছিল। কুরআনে তার বিবরণ দেয়া হয়েছে এভাবে-“নূহকে আমি তার সম্প্রদায়ের কাছে পাঠাই। সে বলে, হে আমার স্বগোত্রীয় ভাইয়েরা! আল্লাহর ইবাদাত করো, তিনি ছাড়া তোমাদের আর কোনো ইলাহ নেই। আমি তোমাদের জন্য একটি ভয়াবহ দিনের আযাবের আশংকা করছি। তার সম্প্রদায়ের প্রধানরা জবাব দেয়, আমরা তো দেখতে পাচ্ছি তুমি সুস্পষ্ট গোমরাহীতে লিপ্ত হয়েছো।” (সূরা আরাফ, ৭:৫৯-৬০) “কিন্তু তারা তাকে মিথ্যাবাদী সাব্যস্ত করলো। অবশেষে আমি তাকে ও তার সাথীদেরকে একটি নৌকায় (আরোহন করিয়ে) রক্ষা করি এবং আমার আয়াতকে যারা মিথ্যা বলেছিল তাদেরকে ডুবিয়ে দেই। নিঃসন্দেহে তারা ছিল দৃষ্টিশক্তিহীন জনশক্তি।” (৭:৬৪)
আদ জাতি : কুরআনের বণনা মতে এ জাতিটির আবাসস্থল ছিল ‘আহকাফ’ এলাকা। এ এলাকাটি হিজাজ, ইয়ামেন ও ইয়ামামার মধ্যবর্তী ‘রাবয়ুল খালী’র দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে অগ্রসর হয়ে তারা ইয়ামেনের পশ্চিম সমুদ্রোপকূল এবং ওমান ও হাজরা মাউত থেকে ইরাক পর্যন্ত নিজেদের ক্ষমতা ও কতৃত্ব বিস্তিৃত করেছিল। ঐতিহাসিক দৃষ্টিতে এ জাতিটির নিদর্শনাবলী দুনিয়ার বুক থেকে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। কিন্তু দক্ষিণ আরবের কোথাও কোথাও এখনো কিছু পুরাতন ধ্বংসস্তূপ দেখা যায়। সেগুলোকে আদ জাতির নিদর্শন মনে করা হয়ে থাকে। হাজরা মাউতে এক জায়গায় আদ জাতির নিকট প্রেরিত নবী হযরত হূদ (আ) এর নামে একটি কবরও পরিচিতি লাভ করেছে।
কুরআনের বণনা থেকে জানা যায়, শক্তি ও ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে তারা দুর্বলদের উপর জুলুম করতো, এ কারণেই তাদের শাস্তি দেয়া হয়।
“আর আদ জাতি, তারা তো পৃথিবীতে সত্যের পথ থেকে সরে গিয়ে অহংকার করতে থাকে এবং বলতে থাকে, কে আছে আমাদের চেয়ে বেশী শক্তিশালী?” (হা-মীম আস সাজদা, ৪১:১৫) “আর তারা প্রত্যেক সত্যের দুশমন জালেম একনায়কের হুকুম পালন করে।” (সূরা হুদ, ১১:৫৯) “আদ জাতি রাসূলদের প্রতি মিথ্যারোপ করলো। স্মরণ করো যখন তাদের ভাই হুদ তাদের বলেছিলো, তোমরা ভয় করছো না? (সূরা শুয়ারা, ২৬:১২৩-১২৪) “তোমাদের এ কী অবস্থা, প্রত্যেক উঁচু জায়গায় অনর্থক একটি ইমারত বানিয়ে ফেলছো এবং বড় বড় প্রাসাদ নির্মাণ করছো, যেন তোমরা চিরকাল থাকবে? আর যখন কারো উপর হাত ওঠাও প্রবল একনায়ক হয়ে হাত ওঠাও। কাজেই তোমরা আল্লাহর ভয় করো এবং আমার আনুগত্য করো।” (২৬:১২৮-১৩১) “তারা জবাব দিল, তুমি উপদেশ দাও বা না দাও, আমাদের জন্য এ সবই সমান” (২৬:১৩৬) “শেষ পর্যন্ত তারা তাকে প্রত্যাখ্যান করলো এবং আমি তাদেরকে ধ্বংস করে দিলাম। নিশ্চিতভাবেই এর মধ্যে আছে একটি নিদর্শন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মেনে নেয় নি।” (২৬:১৩৯)
সামূদ জাতি : হিজর ছিল সামূদ জাতির কেন্দ্রীয় আবাসস্থল। এ জায়গাটি মদীনা তাইয়্যেবা ও তাবুকের মধ্যবর্তী হিজাজের বিখ্যাত আল’উলা নামক স্থান (যাকে রাসূল সা এর সময়ে ‘ওয়াদিউল কুরা’ বলা হত) থেকে কয়েক মাইল উত্তরে অবস্থিত। স্থানীয় লোকেরা আজও এ জায়গাকে ‘আল হিজর’ ও ‘মায়দানে সালেহ’ নামে স্মরণ করে থাকে। সামূদ জাতির ইমারতগুলোর কিছুসংখ্যক আজো টিকে আছে। এখানে বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হওয়া পাহাড় দেখে বুঝা যায়, তিন চারশো মাইল দীর্ঘ ও একশো মাইল প্রস্থ বিশিষ্ট একটি এলাকা ভূমিকম্পে একেবারে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল।
কুরআনের বণনায়, অসৎ লোকদের আনুগত্য করে পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করার অপরাধে তাদেরকে ধ্বংস করে দেয়া হয়।
কুরআনের বর্ণনা-“স্মরণ করো যখন তাদের ভাই সালেহ তাদেরকে বললো, তোমরা কি ভয় করো না? আমি তোমাদের জন্য একজন আমানতদার রাসূল।” (সূরা শুআরা, ২৬:১৪২-১৪৩) “যেসব লাগামহীন লোক পৃথিবীতে বিপর্যয় সৃষ্টি করে এবং কোন সংস্কার সাধন করে না তাদের আনুগত্য করো না। তারা জবাব দিল, তুমি নিছক একজন যাদুগ্রস্ত ব্যক্তি।” (২৬:১৫১-১৫৩) “আযাব তাদেরকে গ্রাস করলো। নিশ্চিতভাবেই এর মধ্যে রয়েছে একটি নিদর্শন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই মান্যকারী নয়।” (২৬:১৫৮)
লূত (আ)-এর জাতি : বাইবেলের বর্ণনাসমূহ, প্রাচীন গ্রীক ও ল্যাটিন রচনাবলী, আধুনিক ভূমিস্তর গবেষণা এবং প্রত্নতাত্ত্বিক অনুসন্ধান ও পর্যবেক্ষণ থেকে জানা যায়, মরু সাগর বা ডেড সী এর দক্ষিণ ও পশ্চিমে যে এলাকাটি বর্তমানে একেবারেই বিরাণ ও পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে সেখানে বিপুল সংখ্যক পুরাতন জনপদের ঘর-বাড়ির ধ্বংসাবশেষ দেখতে পাওয়া যায়। এগুলো প্রমাণ করে যে, এটি একসময় ছিল অত্যন্ত জনবহুল এলাকা। এটিই ছিল সিদ্দিম উপত্যকা এবং এখানেই ছিল লূতের জাতির সাদোম, ঘমোরা, অদমা, সবোয়ীম ও সুগার- এর মতো বড় বড় শহরগুলো। খৃষ্টপূর্ব দু’হাজার বছরের কাছাকাছি এক সময় একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে এ উপত্যকাটি ফেটে ভূগর্ভে প্রোথিত হয়ে যায় এবং মরুসাগরের পানি একে নিমজ্জিত করে ফেলে।
কুরআন থেকে জানা যায়, অন্যান্য অনেক অপরাধের পাশাপাশি তাদের সবচেয়ে বড় অপরাধ ছিল প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও সমকামিতার মতো বিকৃত যৌনাচার। এজন্যই তাদের ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল।
“আর আমি লূতকে পাঠাই, যখন সে তার সম্প্রদায়কে বললো, তোমরা তো এমন অশ্লীল কাজ করছো যা তোমাদের পূর্বে বিশ্ববাসীদের মধ্যে কেউ করে নি। তোমাদের অবস্থা কি এ পযায়ে পৌঁছে গেছে যে, তোমরা পুরুষদের কাছে যাচ্ছো, রাহাজানি করছো এবং নিজেদের মজলিসে খারাপ কাজ করছো? তারপর তার সম্প্রদায়ের কাছে এছাড়া আর কোন জবাব ছিলো না যে, তারা বললো, নিয়ে এসো আল্লাহর আযাব যদি তুমি সত্যবাদী হও” (সূরা আনকাবুত, ২৯:২৮-২৯) জবাবে আল্লাহ বলেন, “আমরা এ জনপদের লোকদের উপর আকাশ থেকে আযাব নাযিল করতে যাচ্ছি তারা যে পাপাচার করে আসছে তার কারণে। আর আমি সে জনপদের একটি সুস্পষ্ট নিদর্শন রেখে দিয়েছি তাদের জন্য যারা বুদ্ধি খাটিয়ে কাজ করে।” (২৯:৩৪-৩৫)
শো’য়াইব (আ) এর জাতি : মাদয়ানবাসী ও আইকাবাসীদের কাছে শো’য়াইব (আ) প্রেরিত হয়েছিলেন। এ দু’টি আলাদা গোত্র হলেও একই বংশধারার দু’টি পৃথক শাখা। মাদয়ানবাসীদের বসতি উত্তর হেজাজ থেকে ফিলিস্তিনের দক্ষিণ পর্যন্ত এবং সেখান থেকে সিনাই ব-দ্বীপের শেষ কিনারা পর্যন্ত লোহিত সাগর ও আকাবা উপসাগরের পশ্চিম উপকূল এলাকায় বিস্তৃত হয়। এর কেন্দ্রস্থল ছিল মাদয়ান শহর। অপরদিকে বনী কাতুরার অন্যান্য গোত্রের মধ্যে বনী দিদান তুলনামূলকভাবে বেশী পরিচিত। উত্তর আরবে তাইমা, তাবুক ও আলা’উলার মাঝামাঝি স্থানে তারা বসতি গড়ে। তাদের কেন্দ্রীয় স্থান ছিল তাবুক। প্রাচীনকালে একে আইকা বলা হতো। (চলবে)

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ