প্রাইজমানি বুঝে না পাওয়ায় বাফুফে’কে বুরুন্ডির হুমকি
স্পোর্টস রিপোর্টার: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সবশেষ আসরের শেষ হয়েছে প্রায় তিন মাস আগে। কিন্তু এই আসরের প্রাইজমানি এখনও বুঝে পায়নি প্রতিযোগিতার ফাইনালিস্ট বুরুন্ডি। অর্থ বুঝে না পেলে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের বিরুদ্ধে ফুটবলের মাদার সংগঠন ফিফার কাছে অভিযোগ দায়ের করবে বলে হুমকি দিয়েছে আফ্রিকার দলটি।
বুরুন্ডির ম্যানেজার কন্সটাটইন মুটিমা প্রাইজমানির অর্থ বুঝে না পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন এক গণমাধ্যমকে। বাফুফের এমন অনভিপ্রেত কর্মকান্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, 'বিষয়টি শিগগিরই রফাদফা না হলে ফিফার দ্বারস্থ হবে বুরুন্ডি ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন।'
চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি গোল্ডকাপের ফাইনালটি অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনাল ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন হয় ফিলিস্তিন ও রানার্সআপ বুরুন্ডি। রানার্স আপ হিসেবে বুরুন্ডির পাবে ২০ হাজার ডলার আর চ্যাম্পিয়ন হিসেবে ফিলিস্তিন পাবে ৩০ হাজার ডলার। কিন্তু দু'দলের কেউই অর্থ বুঝে পায়নি এখনও।
দীর্ঘ বিলম্ব হলেও এখনও টাকা বুঝে পায়নি বুরন্ডন্ডি। এ নিয়ে বাফুফের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও বাফুফে কোনো সাড়া দেয়নি বলে অভিযোগ দলের ম্যানেজারের।
এক মাসের মধ্যে অর্থ বুঝিয়ে না দিলে ফিফার দ্বারস্থ হবেন বলে জানান বুরুন্ডির ম্যানেজার কন্সটাটইন মুটিমা, ‘আমরা বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বার্তা দিয়েছি। বার্তা পড়া হয়েছে কিন্তু কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি। এখন তারা যদি এই মাসের শেষ নাগাদ অর্থ না দেয, তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে যাব ফিফা এবং (বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে, কারণ তিনি ট্রফি ও পুরষ্কার বিতরণ করেছিলেন।’এ বিষয়ে ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানিয়েছেন, বড় অঙ্কের কোনো অর্থ বিদেশে পাঠাতে গেলে একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। বিষয়টি এখন সেখানে প্রক্রিয়াধীন আছে।
সোহাগ এক গণমাধ্যমকে বলেন, 'আমাদের মার্চ মাসের মধ্যে তাদের পুরস্কারের অর্থ পাঠিয়ে দেওয়া উচিৎ ছিল। তবে করোনভাইরাস পরিস্থিতির কারণে আমরা এই ইস্যুটিতে নজর না দেওয়ায় আমরা তা পাঠাতে পারিনি। আশা করছি, চলমান অচলাবস্থা (শাট ডাউন) শেষ হওযার সঙ্গে সঙ্গে আমরা পুরস্কারের অর্থ প্রদান করব।’‘বিদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে সব রকমের সরকারি পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশনা রয়েছে। অর্থ কোনো সমস্যা নয; আমরা অনুমতি পাওযার সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেব। আমরা ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমতি পেয়েছি। আর অর্থ প্রেরণ সম্পর্কিত ফাইলটি বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে রয়েছে।’ যোগ করেন সোহাগ।