রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় রংপুর মহানগরীতে বুধবার সন্ধ্যা থেকে চলাচলে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

রংপুর অফিস : রংপুরে নভেল করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রংপুর নগরীতে গতকাল বুধবার সন্ধা থেকে অপ্রয়োজনে সর্বসাধারণের চলাচলে কঠোর অবস্থনা ঘোষণা করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। এই আইনে প্রতিদিন বিকেল ৫টা থেকে পরদিন সকাল ৬টা পর্যন্ত ওষুধের দোকান ব্যতীত প্রয়োজনীয় সব ধরনের দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে কঠোরভাবে বলা হয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন এলাকায় জরুরি সেবা, চিকিৎসা, ভোগ্য ও রফতানি পণ্য পরিবহন কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও যানবাহন ছাড়া সব ধরনের ব্যক্তি ও যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। এ ব্যাপারে গতকাল থেকেই মহানগর জুড়ে মাইকিং শুরু করা হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে র‌্যাব, পুলিশ, সেনাবাহিনী ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গতকাল বুধবার সকালে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ আব্দুল আলিম মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, মানুষকে ঘরবন্দি করতে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নানা ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। কিন্তু প্রশাসনের উপস্থিতি পেলে সাধারণ মানুষ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়। আর চোখের আড়াল হলেই বেড়ে যায় মানুষের চলাচল। তিনি  জানান, রংপুর নগরীর সব শ্রেণী-পেশার মানুষকে ঘরে থাকতে বিশেষভাবে অনুরোধ করে মাইকিং করা হচ্ছে। মানুষের  প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ভ্রাম্যমাণ দোকান স্থাপন করা হয়েছে। মেট্রোপলিটন পুলিশের হটলাইনে ফোন করলে চাহিদা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য পৌঁছে যাবে ক্রেতার বাড়িতে। ঔষধ সহ সব ধরনের ভোগ্যপণ্য সরবরাহ করবে এই ভ্রাম্যমাণ দোকান। এরপরও মানুষ সচেতন হচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়েই এই সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। কেউ এ আইন অমান্য করলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে রংপুর নগরীসহ জেলার ৮ উপজেলায় পৃথকভাবে কাজ করছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ কমিটি ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতায় কিছুটা হলেও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। কিন্তু উপজেলা শহর ও গ্রামের মানুষদের মাঝে করোনা ভীতি নেই। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে উপজেলার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
জেলা প্রশাসক আসিব আহসান জানান, স্বল্পমূল্যে চাল, আটা ও টিসিবির পণ্য বিক্রিতে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে প্রশাসনসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে। জনসমাগম রোধে ইতোমধ্যে বিকেল ৫ টার পর জেলার সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার নির্দেশ জারি করা হয়েছে। নিম্নবিত্ত মানুষদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। জেলার ৮ উপজেলা, ৩ পৌরসভা  এবং রংপুর সিটি কর্পোরেশনের জন্য ৬০০ মেট্রিক টন চাল ও ২৭ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ইতোমধ্যে প্রায় ২০ লাখ টাকা মূল্যের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ