রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

কাজিপুরে নাসিম এমপি এর অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: করোনা সংক্রমণ রোধে অঘোষিত লকডাউনের ফলে কাজ না থাকায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ বাছাই করা নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদনাসিম এমপি নিজস্ব অর্থায়নে তার নির্বাচনী এলাকা কাজিপুর সোনামুখী ইউনিয়নের ৫ শত পরিবারের মধ্যে গত মঙ্গলবার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। যমুনা নদীর দুর্গম চর সহ ১২ ইউনিয়নে তার ব্যক্তিগত তহবিল ও সরকারি বরাদ্দ থেকে রিকশা ভ্যান চালক, দিনমজুর, ধোপা, নাপিত, চা দোকানী সহ নিম্নআয়ের মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী ও সাবান বিতরণ অব্যাহত হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে থাকা নিম্ন আয়ের মানুষের তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি মহল্লায় চাল ডাল, তেল লবণ,পিয়াজ আলু ও একটি করে সাবান এবং একটি করে মাস্ক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সোনামুখী ইউনিয়নের শহীদ এম মনসুর আলী স্মৃতি পরিষদ চত্বরে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খলিলুর রহমান সিরাজী। এসময় উপস্থিত ছিলেন কাজীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দ্বীন মোহাম্মদ বাবলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক উজ্জ্বল কুমার ভৌমিক, সোনামুখী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম মাস্টার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম অরুণ সহ যুবলীগ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।

দিনাজপুরে জামাইয়ের শরীরে জ্বর দেখে
পালিয়ে গেল শ্বশুর বাড়ির লোকজন
দিনাজপুর অফিসঃ দিনাজপুরের বিরামপুরে নারায়ণগঞ্জ থেকে জ্বর শরীর নিয়ে গোলাম আজম (৩৮) নামের মেয়ে জামাই তার শ্বশুর বাড়িতে আসলে শাশুড়িসহ ওইবাড়ির ৫ সদস্য বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়। আর করোনা ভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে গোলাম আজমসহ ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সেই বাড়িটিসহ বাঁকি ৪ জনের বাড়িগুলোকে লকডাউন ঘোষণা করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। বিরামপুর উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের নয়ামারি গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে জ্বর নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন মেয়ে জামাই গোলাম আজম। বুধবার সকালেই ওই বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায় শাশুড়িসহ বাড়ির ৫ সদস্য। শাশুড়িসহ বাড়ির ৫ সদস্য পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাটি জানাজানি হলে সবার মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সোলায়মান হোসেন বলেন, শরীরে জ্বর, সর্দি ও গলাব্যাথা নিয়ে গোলাম আজম মঙ্গলবার রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিরামপুরে তার শ্বশুর বাড়িতে আসে। পরে এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তির শ্বশুর মোজাহার আলীর বাড়ি থেকে করোনা সন্দেহে তার শরিরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। একইভাবে উপজেলার আরো কয়েকটি স্থান থেকে করোনা সন্দেহে ৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। সেই সাথে ওই ৫ জন ব্যক্তির বাড়ির লোকজনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নমুনাগুলি পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি আরো জানান, করোনা সংক্রামন রোধে বেশি বেশি পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পাশপাশি বাহির থেকে কেউ এলাকায় আসলে তাকে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে রিপোর্ট করার ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান। এরপর চিকিৎসক তাকে দেখার পর সে যদি সুস্থ্য হয় তাহলে তাকে প্রত্যায়নপত্র দিবে তাতে করে সে বাড়িতে যেতে পারবে আর অসুস্থ্য হলে তাকে হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।

দিনাজপুর কারাগার থেকে ২৯৮ জন কারাবন্দী মুক্তির তালিকা
দিনাজপুর অফিসঃ মহামারী ও প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) এ পরিস্থিতিতে দিনাজপুর জেলা কারাগার হতে মুক্তি দেয়া যেতে পারে ৩৫ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীসহ ২৯৮ জনের তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
দিনাজপুর কারাগারের সুপার বজলুর রশিদ আখন্দ জানান, ইতিমধ্যেই তালিকাটি কারা অধিদপ্তরে প্রদান করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা একটি তালিকা পাঠিয়েছি, কিন্তু এখনও কোন রেজাল্ট পাইনি। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত যারা ২০ বছর সাজা খেটেছেন, যাদের সাজা সর্বোচ্চ ১ বছর এবং যাদের সাজা সর্বোচ্চ তার নিচে এমন ৩টি তালিকা পাঠানো হয়েছে। সরকারের চাহিদা মোতাবেক এই তালিকা পাঠানো হয়েছে। সারা বাংলাদেশ থেকেই এইরকম তালিকা পাঠানো হয়েছে, যা নিয়ে মন্ত্রণালয়ে মিটিং চলছে। অপেক্ষাকৃত লঘু অপরাধে এবং যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী যারা ইতিমধ্যেই ২০ বছরের অধিক সাজাভোগ করেছেন ও কর্মক্ষম নন এমন আসামীদের তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রণালয়ে জমা দিবেন কারা অধিদপ্তর। জানা যায়, করোনা আতঙ্ক কাটাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ এই বিশেষ জামিনের উদ্যোগ নিয়েছে।

দিনাজপুরে স্বেচ্ছায় লকডাউনে গেল ১৭০ পরিবার
দিনাজপুর অফিসঃ বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে দিনাজপুর শহরের এক পাড়ার ১৭০ পরিবার স্বেচ্ছায় লকডাউনে গেছে। গত মঙ্গলবার থেকে শহরের সুইহারী আশ্রমপাড়ার ১৭০ পরিবার স্বেচ্ছায় লকডাউনে যায়। আশ্রমপাড়ার বাসিন্দা চিরঞ্জিত সরকার জানান, বিশ্বজুড়ে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে আমরা এই লকডাউনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এই পাড়ার ৩টি প্রবেশপথের মধ্যে ২টি প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছি ও ১টি প্রবেশপথে হাতধোয়া ও স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি বলেন, পাড়ায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। জরুরি কাজ ছাড়া এই পাড়ার মানুষ বাইরে যাচ্ছেন না। এলাকায় প্রবেশের পূর্বে হাত ভালো করে ধুয়ে জীবানুনাশক স্প্রে করে প্রবেশ করতে বলা হয়েছে।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ