রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

মুক্তি তালিকায় রয়েছেন চট্টগ্রামের ৩২১জন কারাবন্দী

চট্টগ্রাম ব্যুরো : করোনা ভাইরাস পরিস্থিতিতে সারাদেশের কারাগার  থেকে প্রায় ৩ হাজার কারাবন্দীকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে কারা অধিদপ্তর। এর ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৩২১জন কারাবন্দীর তালিকা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা আসলে মুক্তি পাবেন এসব কারাবন্দী।
চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে এখান থেকে ইতোমধ্যে তালিকা পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কারা অধিদপ্তর, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধান বিচারপতির অনুমোদন শেষে এসব কারাবন্দী মুক্তি পেতে পারেন-এমটাই জানিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে কয়েদি রয়েছেন ১৭০জন এবং হাজতি আছেন ১৫১।  কারামুক্তির তালিকা করার আগে ৩২১জন কারাবন্দী কাছ থেকে উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। প্রতিজনের কাছ থেকে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত উৎকোচ নেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।  তবে, বিষয়টি অস্বীকার করেছেন কারা কর্তৃপক্ষ।  যাদের সাজার মেয়াদ ৬ মাস বাকি আছে, লঘু অপরাধে আটক, কারাবিধির প্রথম খন্ডের ৫৬৯ ধারা অনুযায়ী মুক্তিযোগ্য, অচল ও অক্ষম এবং গুরুতর দূরারোগ্য রোগে আক্রান্ত, সর্বোচ্চ ৬মাস থেকে ১ বছর সাজাপ্রাপ্ত এমন ১৭০জন কয়েদির নাম ওই তালিকায় স্থান পেয়েছেন। চুরি, মারামারি ও যৌতুকরে মতো জামিনযোগ্য ধারায় আটক ১৫১জন হাজতির নামও রয়েছেন ওই তালিকায়।  এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিপুটি জেলার মাজহারুল ইসলাম বলেন, কয়েক দফায় মুক্তির জন্য ১৭০জন কয়েদির তালিকা চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কারা অধিদপ্তরে যাবে। ওখান থেকে স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধান বিচারপতির কাছ থেকে অনুমোদন আসলে তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। উৎকোচ নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এটা একটি সহজ বিষয়, কে কার কাছ থেকে টাকা নেবে। টাকা নেয়ার বিষয়টি সম্পুর্ণ মিথ্যা। কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তার নাম-পরিচয় দিলে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান তিনি।  ডিপুটি জেলার আব্দস সালাম জানান, চুরি, মারামারি ও যৌতুকের মতো জামিনযোগ্য ধারায় আটক এমন ১৫১ জনের তালিকা সপ্তাহখানেক আগে চট্টগ্রাম বিভাগের কারা উপমহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে কারা অধিদপ্তরে যাবে। নির্দেশনা পেলে তারা মুক্তি পাবেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের পরিদর্শক আব্দুল হান্নান লিটন বলেন, মুক্তির জন্য কয়জন কারাবন্দীর তালিকা পাঠানো হয়েছে আমরা কেউ জানিনা। কাদের মুক্তি দিচ্ছেন তাও আমাদের জানানো হয়নি। পুরো বিষয়টি জানেন কারা কর্তৃপক্ষ। জানতে চাইলে আরেক কারা পরিদর্শক শেখ ফোরকানুল হক চৌধুরী বলেন, এ বিষয়ে কারা অধিদপ্তর থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে জেল কোড অনুযায়ী এখান থেকে তালিকা পাঠানো হবে।  এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার রফিকুল ইসলাম বলেন, লঘু অপরাধ ও জামিনযোগ্য ধারায় কারাবন্দী এমন ৩২১ জনের কারামুক্তির জন্য তালিকা পাঠানো হয়েছে। অনেক যাচাই-বাচাই করে তাদের তালিকা পাঠানো হয়। নির্দেশনা পেলে তাদের মুক্তি দেয়া হবে। সিনিয়র জেল সুপার মো. কামাল হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকাবার চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ