রবিবার ১৯ মে ২০২৪
Online Edition

মোহামেডানের হোম ভেন্যু কুমিল্লা স্টেডিয়াম এখনো প্রস্তুত নয়

স্পোর্টস রিপোর্টার : বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলা শুরু হতে আারও কিছুদিন বিলম্ব হবে বলে জানা গেছে। কারন কুমিল্লার শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম প্রস্তুত হয়নি। ফলে আগামী রাউন্ডেও খেলা হচ্ছে না। এই ভেন্যুর দুই স্বাগতিক চট্টগ্রাম আবাহনী ও মোহামেডানকে সামনের রাউন্ডে হোম ম্যাচের পরিবর্তে অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে হবে। ১১ মার্চ ছিল চট্টগ্রাম আবাহনী ও বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ, এর পরের দিন উত্তর বারিধারা ও ঢাকা মোহামেডানের। মাঠ এখনো অপ্রস্তুত থাকায় চট্টগ্রাম আবাহনীকে খেলতে হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আর ঢাকা মোহামেডানকে ১২ মার্চ যেতে হবে গোপালগঞ্জে। মোহামেডানের পক্ষ থেকে তেমন প্রতিক্রিয়া না থাকলেও চট্টগ্রাম আবাহনী বসুন্ধরা কিংসের বিপক্ষে তাদের হোম কুমিল্লায় খেলতে অনড় ছিল। তারা তাদের হোম ম্যাচ প্রয়োজনে কিংস অ্যারেনায় না খেলে তৃতীয় বা নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলার প্রস্তাব দিলেও বাফুফে মানেনি। আবার কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলা বদল হওয়ার কারণ সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেছেন, ‘আমরা গতকাল কয়েকজন নিয়ে একটা অনলাইন সভা করেছি। সেখানকার সর্বশেষ ভিডিও, ছবি দেখেছি। অংশগ্রহণকারী চার দলের মতামত ও সব পর্যবেক্ষণের পরই রাউন্ডের খেলা অন্য ভেন্যুতে স্থানান্তরিত হয়েছে।’ নবম রাউন্ডে কুমিল্লায় খেলা নেই। এরপর জাতীয় দলের জন্য লিগে বিরতি। ফলে মার্চ মাসে আর কুমিল্লা ভেন্যুতে খেলা হচ্ছে না।ক্লাবগুলো ঢাকার বাইরের ভেন্যুগুলো হোম হিসেবে ব্যবহার করলেও তত্ত্বাবধানে ফুটবল ফেডারেশন। মাঠ প্রস্তুত না হওয়ার কারণ সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কোনো ঘাটতি ছিল না। সেরা গ্রাউন্ডসম্যান (চান্দু) সেখানে রয়েছে। প্রয়োজনীয় অর্থ আমরা দিয়েছি। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামেও মাঠের মাঝে পিচ ছিল। সেই পিচ সরিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে খেলা হচ্ছে সিলেটে। কুমিল্লায় ক্রিকেট লিগ শেষ ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে। এখনো মাঠ ফুটবল উপযোগী না হওয়ার কারণ সম্পর্কে সাধারণ সম্পাদকের ব্যাখ্যা, ‘সিলেট ও কুমিল্লায় পিচ ওঠানোর পদ্ধতিতে ভিন্নতা হয়েছে। কুমিল্লায় যেভাবে পিচ উঠানো হয়েছে এতে সময় ও মাঠে প্রভাব বেশি পড়েছে। মাঠ মূলত থাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থার অধীনে। সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক ও সিলেট ডিএফএ সভাপতি বাফুফে সদস্য মাহিউদ্দিন আহমেদ সেলিম হওয়ায় সিলেটে কাজটি দ্রুত হয়েছে। কুমিল্লায় ডিএসএ ও ডিএফএ কর্মকর্তা অবশ্য ভিন্ন দু’জন। সেই ভিন্নতায় কাজ বিলম্ব হলেও দু’দফা খেলা পরিবর্তনের দায় দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাফুফেকে নিতে হবেই।

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ