বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪
Online Edition

বিরোধীদলের নির্বাচন বর্জনকে আওয়ামী লীগ সরকার হালকাভাবে নিয়েছে

আসিফ আরসালান

আজ ঠিক করেছি যে নির্বাচন কমিশন বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের একটি উক্তি নিয়ে আলোচনা করবো। আসলে আজকে তাইই করবো। কিন্তু এরমধ্যে মহানবী (স:) এর বিরুদ্ধে কটূক্তি নিয়ে পানি আরো অনেক দূর গড়িয়েছে। পৃথিবীর ৫৬ টি মুসলিম দেশের মধ্যে একমাত্র বাংলাদেশই অফিসিয়ালি প্রতিবাদ জানায়নি। ঐ দিকে ভারতে নূপুর শর্মা নামকা ওয়াস্তে দুঃখ প্রকাশ করেছে। ভারত সরকারিভাবে কোনো দুঃখ প্রকাশ করেনি। অথবা ভারতের প্রধানমন্ত্রী বা পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ ব্যাপারে কোনো দুঃখ প্রকাশ করেননি। বরং ভারতে যেটি হয়েছে সেটিকে সাধারণ ভাষায় বলা যায়, চুরি তো চুরি, তাও আবার সিনা জুরি। সকলেই জানেন ভারতের সবচেয়ে বড় প্রদেশের নাম হলো উত্তর প্রদেশ। এই প্রদেশে অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় জনসংখ্যাও সবচেয়ে বেশি। যদিও এই বড় প্রদেশের বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ হিন্দু, তৎসত্ত্বেও আনুপাতিক হারে মুসলমানদের সংখ্যাও এ প্রদেশে উল্লেখযোগ্য। স্বাভাবিকভাবেই মুসলিম জাহানের মুসলমানদের মত ভারতের মুসলমানদেরও মনে কুলাাঙ্গার নূপুর শর্মা এবং নবীন জিন্দলের কুৎসিত উক্তি প্রচ- আঘাত হেনেছে। সারা ভারতের মুসলমানরা বিজেপির এই দুই কর্মকর্তার স্পর্ধিত উক্তিতে প্রচ- ক্ষুব্ধ। প্রতিদিনই এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে পশ্চিমবঙ্গ, উত্তর প্রদেশ প্রভৃতি প্রদেশে। পশ্চিমবঙ্গেও হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। অর্থাৎ মোট জনসংখ্যার ৭২ শতাংশ হিন্দু। মুসলমানদের সংখ্যা ২৮ শতাংশ। অর্থাৎ এখানেও মুসলমানরা উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বসবাস করছেন। তারা কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করছেন। কিন্তু কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পশ্চিমবঙ্গের মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এ ব্যাপারে বিজেপিকে কঠোরভাবে তিরস্কার করেছেন। তবে তিনি মুসলিম সম্প্রদায়কে বলেছেন যে তাদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ যেন অহিংসতার সীমা ছাড়িয়ে সহিংসতায় না যায়। মুসলমানরাও মূখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর কথা রেখেছেন এবং তাকে সম্মান জানিয়েছেন। 

কিন্তু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নাম হলো যোগী আদিত্যনাথ। তিনি বিজেপির মুরব্বি রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ বা আরএসএসের একজন হার্ড কোর ক্যাডার। নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহ্ও আরএসএসের হার্ড কোর ক্যাডার। তাই যোগী সরকারের সাত খুন মাফ। যোগী আদিত্যনাথ হুঙ্কার দিয়েছেন যে, যেসব মুসলমান বিক্ষোভ করছেন তাদেরকে চরম শাস্তি দেয়া হবে। এবং তিনি ইতোমধ্যেই শাস্তি দেয়া শুরু করেছেন। ভিডিও ফুটেজ দেখে শনাক্ত করা হচ্ছে যে কারা বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। যারা অংশ নিয়েছেন বেছে বেছে তাদের বাড়ি ঘর বুল্ডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। মুসলমানরা তাদের বাড়ি ঘর ধ্বংস হওয়ার এই বর্বর কা-ের প্রতিবিধান চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। আমরা এখানে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে চোরের সাক্ষী গাঁট কাটা। সুপ্রিম কোর্ট আদেশ দিয়েছেন যে যোগীর সরকার যা কিছুই করুক না কেন, সেটা যেন আইনের মধ্যে করা হয়। যোগী আদিত্যনাথ সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছেন যে, তিনি যা কিছুই করছেন, সেটি আইনের মধ্যে থেকেই করছেন। এরপর আর বিজেপিকে পায় কে? সারা ভারত জুড়ে শুরু হয়েছে মুসলমানদের সহায় সম্পদ ধ্বংস করার উন্মাদনা। 

আমরা আগেই বলেছি যে বাংলাদেশ সরকার অফিসিয়ালি কোনো প্রতিবাদ জানায়নি। বরং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন এব্যাপারে যে বক্তব্য দিয়েছেন সেটি ভারতকে তোষামোদ করার এক জ¦লন্ত নজির। গত ১৫ জুন তিনি এক আলোচনা সভায় বক্তৃতাকালে এ বিষয়ে কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,  সুখের বিষয় হচ্ছে ভারত প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে, যাতে এর রেষ ধরে কোথাও কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা বা উত্তেজনা না হয়। এটা কি কোনো প্রতিবাদ হলো? তিনি বলেছেন যে ভারত সরকার নাকি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। কি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা? আমরা দুঃখের সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ভারতকে নিয়ে মাঝে মাঝেই এমন সব মন্তব্য করেন যেগুলো বাংলাদেশের মত একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের মান সম্মানের ওপর আঘাত করে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ধরনের একাধিক আপত্তিকর মন্তব্য শুনে ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহফুজ আনাম কয়েকদিন আগে স্বনামে তার পত্রিকায় একটি কলাম লিখেছিলেন। কলামটির শিরোনাম ছিল, What type of mentality is this? অর্থাৎ, এটা কি ধরনের মানসিকতা? 

॥ দুই ॥

সরকার যাই করুক, বাংলাদেশের মানুষ এবার জেগে উঠেছেন। শুধুমাত্র মুসল্লিরা নয়, নটর ডেম কলেজ থেকে শুরু করে বাংলাদেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমনকি ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পর্যন্ত ছাত্র জনতা প্রতিবাদে গর্জে উঠেছে। আমরা ঐসব প্রতিবাদের বিস্তারিত বিবরণে যাচ্ছি না। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এবং ইসলামী ছাত্রশিবির দেশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় জমায়েত এবং বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ রেজাউল করিমের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার এক বিশাল মিছিল ভারতীয় দূতাবাসের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। তবে শান্তিনগর মোড়ে পুলিশ বাধা দেয় এবং মিছিলকে আর অগ্রসর হতে দেয়নি। মিছিলের শুরুতে এবং শেষে ইসলামী আন্দোলনের প্রধান চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, বিক্ষোভ সমাবেশে দলের আমীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই সভাপতির বক্তব্যে বলেন, বর্তমান সরকারকে মুসলমানদের সরকার বলতে পারি না; এটা মোদির আজ্ঞাবহ সরকার। অবিলম্বে মহানবী (স:) কে নিয়ে কটূক্তির প্রতিবাদে জাতীয় সংসদে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। ভারতে এখন মুসলমানদের উপর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। ভারতে নবীপ্রেমিকদের বাড়ি ঘর বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এটা মানবতা বিরোধী অসভ্য সরকারের কাজ। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, বাংলাদেশের নবীপ্রেমিক মুসলমানদের শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করতে হবে। ভারতীয়রা অসভ্য জাতি। আমরা সকল ধর্মালম্বিদের নিয়ে সহবাস্থানে বসবাস করছি। মুসলমানরা কোনো অসভ্য জাতি হিসেবে পরিচয় দিতে পারে না। ভারত সরকারকে মহানবী (স:) কে নিয়ে অবমাননাকারী কুলাঙ্গারদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, পীর সাহেব চরমোনাই দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, ৯২% মুসলমান ও শতভাগ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের সরকার বিজেপির বীভৎস সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে কোন নিন্দা পর্যন্ত জানাতে পারেনি। এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কিছু হতে পারে না। পীর সাহেব চরমোনাই সরকারকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, অবিলম্বে চলতি সংসদেই ভারতীয় আচরণের বিরুদ্ধে নিন্দা প্রস্তাব আনুন। অন্যথায় আপনাদেরকেও বিজেপির সহযোগী বলে ধরে নেয়া হবে। পীর সাহেব চরমোনাই জাতিসংঘ, ওয়াইসিসহ বিশ্ব শক্তির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভারতের বর্বরতা রোধে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিন। অন্যথায় বিশ্বব্যাপী অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়বে তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘ মুসলমানদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যর্থ হয়েছে। ভারত নিজেদেরকে ধর্মনিরপেক্ষ সরকার দাবি করলেও হিন্দু ছাড়া অন্যান্য ধর্মাবলম্বিদের ধর্ম পালন করতে দিচ্ছে না। বিশ্ব মিডিয়ায় উঠে আসছে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের শিকার হচ্ছে সে দেশের মুসলমানরা।

নবী করিম (স:) এর অবমাননার ওপর লিখতে গিয়ে অনেক স্পেস নিতে হলো। কিন্তু বিষয়টি আমরা অর্থাৎ মুসলমানদের জন্য এত স্পর্শকাতর যে এজন্য যত স্পেস লাগুক সেটি ব্যয় করতে আমি কুণ্ঠিত নই। এবার সবচেয়ে আনন্দের সংবাদ এই যে, বিশে^র দুই বৃহৎ শক্তি অর্থাৎ আমেরিকা এবং চীন ভারতের এই দুর্বিনীত আচরণের প্রতিবাদ করেছে। চীন ভারতকে সংযত হওয়ার উপদেশ দিয়েছে। আমেরিকাও ইসলাম ধর্মের প্রতি কটূক্তি করার জন্য ভারতের সমালোচনা করেছে। তবে তারা একই নিঃশ^াসে ভারতকেও খুশি করার চেষ্টা করেছে। তারা বলেছে যে ভারতের ঐ দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। একটু আগেই আমরা বলেছি যে ভারত আসলেই কোনো প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেয়নি। তবুও মুসলমানদের জন্য এটুকু সুসংবাদ যে সমগ্র মুসলিম জাহানে প্রতিবাদের যে ঝড় বইছে সেই ঝড়ের আওয়াজ আমেরিকা এবং চীনের মত বিশ^ শক্তির কানে পৌঁছেছে। 

॥ তিন ॥

আমরা কয়েক দিন আগে বলেছি যে, কাজী হাবিবুল আউয়াল একজন স্মার্ট এবং চালাক অফিসার। তিনি কথার ফুলঝুরি রচনা করে বিরোধী দলকে নির্বাচনে আনার কৌশল করছেন। নিজেকে নিরপেক্ষ প্রমাণের জন্য ভাল ভাল কথা বলছেন। কিন্তু তার কথার ফাঁক দিয়েও মাঝে মাঝে যে দুই চারটি শব্দ বা বাক্য বেরিয়ে আসছে সেখান থেকেই তার প্রকৃত রূপ ধরা পড়ছে। কয়েক দিন আগে তিনি বলেছিলেন যে দিনের ভোট রাতে হওয়া মোটেই বাঞ্ছিত নয়। তবে একই নিঃশ^াসে তিনি বলেছেন যে তিনি রাতের ভোট হওয়ার খবর জানেন না। বাংলাদেশের ১৭ কোটি লোক যেখানে দেখল এবং জানল যে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর রাতেই ভোট হয়ে গেল। এটি নিয়ে দেশ বিদেশে শোরগোল পড়ে গেল। আর হাবিবুল আউয়াল রাতের ভোটের খবর পেলেন না। এটাও কি বিশ^াস করতে হবে? 

এই তো সেদিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বললেন যে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের নজির পৃথিবীর বহু দেশে আছে। পৃথিবীর বহু দেশ বলতে তিনি যাদের কথা বুঝিয়েছেন তাদের সাথে কি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের তুলনা চলে? এরা কি জনগণের ভোটে নির্বাচিত সরকার? ২০১৪ সালে ভোটের বাক্সে একটিও ভোট পড়ার আগেই ১৫৩ জন সদস্য বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে গেলেন। সিইসি সাহেব বলুন তো, পৃথিবীর প্রায় ২০০ টি দেশের মধ্যে এমন দেশটি কি কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবে যেখানে ইলেকশনের আগেই ১৫৩ জন সংসদ সদস্য, অর্থাৎ পার্লামেন্টের মেজরিটি সংখ্যক আসন দখল হয়ে যায়? কিন্তু এই বাংলাদেশে সেটি ঘটেছে। রাতের ভোটের কথা তো আগেই বলেছি। যখন ইন্টারমিডিয়েট পড়েছি তখন আমার একটি সাবজেক্ট ছিল লজিক। লজিকে একটি পরিভাষা রয়েছে। সেটি হলো, ব্যাড এ্যানালজি। অর্থাৎ খারাপ উদাহরণ। নতুন সিইসি ব্যাড এ্যানালজি দিয়েছেন। 

আরেকটি পয়েন্ট দিয়ে আজকের লেখা শেষ করবো। ১৭ জুন শুক্রবার দৈনিক সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত দ্বিতীয় প্রধান সংবাদের শিরোনাম, “বিএনপি ভোটে এলেই সমস্যা দূর হবে/যুক্তরাষ্ট্রকে জানালো সংসদীয় কমিটি”। সংবাদে বলা হয়েছে, “সবাই অংশ না নিলেই নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। নির্বাচন ঠেকাতে গেলেই গ-গোল হয়। বিএনপি ভোটে এলেই অনেক সমস্যা দূর হবে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিনিধি দল যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি সফরে গিয়ে তিন কংগ্রেসম্যানসহ দেশটির বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে বৈঠক করে। ওই সফরে তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও শ্রমিক ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন। এ সফরের আগে-পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি খাতবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। গতকাল বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে এই তিন সফর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। পরে সংসদীয় কমিটির সভাপতি মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।

আওয়ামী লীগ সরকার বিষয়টি বিএনপি তথা বিরোধী দলের আসন্ন নির্বাচন বর্জনকে হালকাভাবে দেখছেন। যদি তারা ইলেকশনের সময়ও হালকাভাবেই দেখতে থাকেন তাহলে বলতেই হবে, এই জাতির কপালে অনেক বড় দুর্ভোগ লেখা আছে। 

Email: [email protected]

 

অনলাইন আপডেট

আর্কাইভ